জীবের করনিও
    পারমার্থিক জীবন ধারনে প্রথমে দিাগুরুর নিকট হইতে দীা মন্ত্র গ্রহণ করিতে হবে। স্থোলের দেশের সকল কর্ম শেরে নির্দিষ্ট সময়ে শিামন্ত্র গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে মানব জন্ম পেয়ে আমরা ধরাধামে এসেছি। গোবিন্দ ভজনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংসার মায়ায় আমরা ভুলে গেছি পূর্বের প্রতিশ্র“তির কথা চৈতন্য শাস্ত্রে বলা হয়েছেঃ-
কৃষ্ণভূলি যেই জীব অনাদি বহির মুখ ॥
এতএব মায়া তারে দেয় সংসার সুখ ॥
চৈতন্য হারিয়ে আমরা সংসার সুখে মজেছি। আমার ঘুমন্ত চেতনাকে জাগ্রত করতে প্রয়োজন চৈতন্যগুরুর আশ্রয় গ্রহণ করা। ভগবানের শুদ্ধভক্ত ও কৃষ্ণতত্ত্ববেত্তা গুরুরেদবই পারেন এই অচৈতন্য জীবকে চেতনা ফিরিয়ে দিতে। তাই জীবের কর্তব্য শিা গুরুর নিকট হইতে মন্ত্র গ্রহণ করা ।
(ক)  প্রত্যেহ ভোর ৪.৩০মিনিটে ঘুম হইতে উঠিয়া নিত্য কর্ম (মল মুত্র স্নানাদি) করিবেন।
(খ)  গুরু গোবিন্দের সেবা ও জল তুলসী দেওয়ার জন্য ফুল, তুলসী চয়ন করিবেন ।
মন্দিরে (যদি থাকে) গুরু গোবিন্দের আসনের সম্মুখে উপবেশন করিয়া শ্রীগুরু প্রদত্ত (বীজ গায়ত্রী) মন্ত্রে সন্ধ্যা আহ্ণিক করিবে।
* সন্ধ্যার মূল মন্ত্র  (যারা শিামন্ত্র প্রাপ্ত)*
গুরুবীজঃ-ঐঁংশ্রী গুরুদেবায় স্বাহা =১০ বার (জপ)
গুরু গায়ত্রীঃ- ঐঁশ্রীগুরু-দেবায় বীদ্মহে চৈতন্য রূপায় ধীমহি তন্নো  গুরূপ্রচোঁদয়াৎ=৩ বার ।
গৌর বীজঃ - কীংঁ শ্রীঁং হ্রীঁং  শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য চন্দ্রায় স্মাহা = ১০বার।
গৌর গায়ত্রী ঃ-শ্রী গৌরাঙ্গ দেবায় বীদ্মহে বিশম্ভরায় ধীমহি তন্নো গৌর প্রচোঁদয়াৎ =৩বার।
কৃষ্ণবীজ ঃ-কীং কৃষ্ণায় গোবিন্দায় গোপিজন ভল্লবায় স্বাহা =১০৮বার।
কাম গায়ত্রী ঃ-কীংঁ কাম দেবায় বীদ্ময়েপু®প বানায় ধীমহি তন্নো   হনঙ্গপ্রচোঁদয্যাৎ=৩বার ।
যোগল বীজঃ- কীঁং রাধা কৃষ্ণায় স্বাহা=১০বার।
শ্রীরূপ মঞ্জুরী ভক্তি ঃ- রাধা কৃষ্ণ সোঃ হং বন্ধে যোগলানন্দ মাধুরী বৃন্দাবনং  রম্য স্থান নমস্থে শ্রীরূপ মঞ্জুরী ।
জয় নিতাই গৌর হরিবল। ধ্বনি দিয়ে সন্ধ্যা সমাপন  করবেন ॥*
* মালা আধারী নিয়ে মালা জপ করবেন ।
* গুরু গোবিন্দের চরন  জল তুলষী দিয়ে পাদ্য অর্ঘে পুজা করে ভোগ নিবেদন করিবেন।

0 comments:

Post a Comment