মথুরা ও বৃন্দাবনের কথা
মানুষ অনুসন্ধান করে তাহাকে কিন্তু জানে না পথের সন্ধান শাস্ত্র সমূহ জীবকে নির্দেশ দেন সেই পথেরই স্পষ্ট ভাবে। যাহার ভাগ্যহত তাহারা ভজন সাধন করিতে পারেনা কেবল দুঃখের পাথারে ভাসে তাহারা এই রূপ জীবের সংখ্যা সর্বাধিক এই কলি যুগে। তাই কলিযুগ আগমনে সঙ্গে সঙ্গে শ্রীমদ্ভাগবত শাস্ত্র জগতে প্রকাশিত হয়েছে ।
শ্রীভাগবত বলিয়াছেনঃ-
হে জীব তোমার তো সার্মথ্য নাই ভজিবার যোগ্যতা নাই ডাকিবার গ্রহণ কর তুমি আমার কথা। থাক তুমি কান পাতিয়া নীরবে; তুমি আর তাহাকে কি ভজিবে শুন তিনিই তোমাকে ডাকিতেছেন। মানুষ ভগবানের কাছে যাইতে পারে না তাই ভগবান নামিয়া আসিয়াছেন মানুষের কাছে। মানুষ চায় ভগবানকে। ইহা অপো বড়কথা ভাগবতের ভগবান চায় মানুষকে। ভক্ত ব্যাকুল ভগবানের জন্য। ইহা অপো ও মনোরম ভাগবতের অন্তরের কথা ভগবান ব্যাকুল ভক্তের জন্য। ব্রজ ললনার মন হরণ করিয়া নিকটে আনিবার জন্য বাঁশরীতে কলোধ্বনি করিয়াছেন গোপীজন বল্বভ ইহাই ভাগবতীয় লীলার মধুরিমা। শ্রীবৃন্দাবনের প্রিয়জনদের প্রতি তুলনা নাই জগতে কোথাও একথা সত্য বটে। কিন্তুু মথুরার ভক্তরাও ছোট নহেন। শ্রীকৃষ্ণকে পুত্ররূপে পাইবেন এর জন্য কি কঠোর সাধনাই না করেছিলেন বসুদেব, দেবকী কৃষ্ণভূমিষ্ট হওয়ার পরে ও অতিত হইয়াছে কত বেদনা ভরা দশ বৎসর আটমাস কাল। পিতা-মাতা ছাড়া আরও অনেক ভক্ত আছেন মথুরায় অনেক কষ্ট সহ্য করিয়া আসিবেন এই আশায় বুক বাধিয়া। শ্রীউদ্ভব মহারাজের ব্রজযাত্রা বর্ননের পূর্বে আলোচনীয় আছে কটি কথা। পরম প্রেমময় ব্রজভূমি ছাড়িয়া মথুরায় গেলেন কেন আদৌ ব্রজ প্রাণ? গেলেন যদি প্রয়োজনে ফিরেন নাই কেন কংস নিধন করিয়াই, একেবারে নাই বা ফিরলেন আসেন না কেন মাঝে মাঝে ? যদি না যাওয়ার সঙ্গত কারণ থাকে নাইবা গেলেন নিকটে রাখেন না কেন প্রিয়জনদের মথুরায় আনিয়া ব্রজবাসিদের মথুরায় রাজধানীতে লইয়া আসিয়া দুই সংসার একত্র করিয়া বাস করিলে কেমন হইতো ?
তাহাতে এক অদ্ভুত রস সঙ্কট উপস্থিত হয়॥ মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের ত্রিয়াবেশ। বৃন্দাবনে তাহার গোপাবেশ ও গোপবেশ। মথুরায় বৃষিগণের তিনি পরদেবতা, বৃন্দাবনের গোপগণের তিনি স্বজন, যাদবেরা কৃষ্ণের পদধুলি শিরে ধরে, গোপবালকেরা তাহার স্কন্ধে উঠিয়া “হারে ওরে ” বলিয়া ডাকে। দেবকী জননী কৃষ্ণের প্রণাম নিতে ভয় পান। জননী যশোদা রঞ্জু দিয়া বন্ধন করিয়া কঠোর ভৎসনা বাক্য বলেন। মথুরার ভক্ত কৃষ্ণের পদতলে বসিয়া প্রসাদ পাইয়া ধন্য হয়।
ব্রজ বালকগণ তাহার কণ্ঠধরিয়া উচ্ছিষ্ট খাওয়াইয়া আনন্দে নাচে। তাই ঐশ্বর্য্যও মাধর্য্য অবগাহী দুইটি প্রীতি রসের ধারাকে একই ভূমিকায় আনিয়া তাহাদের রস মর্যাদা রা করা রসরাজের পে ও অসম্ভব। পুস্প বনেই সুন্দর। বৃম্ভচ্যুত করিয়া গৃহে আনিলেই মলিন। ব্রজ রস ব্রজকুঞ্জেই মধুময়। রাজধানীতে আসিলেই আহত শ্রীহীন।
মানুষ অনুসন্ধান করে তাহাকে কিন্তু জানে না পথের সন্ধান শাস্ত্র সমূহ জীবকে নির্দেশ দেন সেই পথেরই স্পষ্ট ভাবে। যাহার ভাগ্যহত তাহারা ভজন সাধন করিতে পারেনা কেবল দুঃখের পাথারে ভাসে তাহারা এই রূপ জীবের সংখ্যা সর্বাধিক এই কলি যুগে। তাই কলিযুগ আগমনে সঙ্গে সঙ্গে শ্রীমদ্ভাগবত শাস্ত্র জগতে প্রকাশিত হয়েছে ।
শ্রীভাগবত বলিয়াছেনঃ-
হে জীব তোমার তো সার্মথ্য নাই ভজিবার যোগ্যতা নাই ডাকিবার গ্রহণ কর তুমি আমার কথা। থাক তুমি কান পাতিয়া নীরবে; তুমি আর তাহাকে কি ভজিবে শুন তিনিই তোমাকে ডাকিতেছেন। মানুষ ভগবানের কাছে যাইতে পারে না তাই ভগবান নামিয়া আসিয়াছেন মানুষের কাছে। মানুষ চায় ভগবানকে। ইহা অপো বড়কথা ভাগবতের ভগবান চায় মানুষকে। ভক্ত ব্যাকুল ভগবানের জন্য। ইহা অপো ও মনোরম ভাগবতের অন্তরের কথা ভগবান ব্যাকুল ভক্তের জন্য। ব্রজ ললনার মন হরণ করিয়া নিকটে আনিবার জন্য বাঁশরীতে কলোধ্বনি করিয়াছেন গোপীজন বল্বভ ইহাই ভাগবতীয় লীলার মধুরিমা। শ্রীবৃন্দাবনের প্রিয়জনদের প্রতি তুলনা নাই জগতে কোথাও একথা সত্য বটে। কিন্তুু মথুরার ভক্তরাও ছোট নহেন। শ্রীকৃষ্ণকে পুত্ররূপে পাইবেন এর জন্য কি কঠোর সাধনাই না করেছিলেন বসুদেব, দেবকী কৃষ্ণভূমিষ্ট হওয়ার পরে ও অতিত হইয়াছে কত বেদনা ভরা দশ বৎসর আটমাস কাল। পিতা-মাতা ছাড়া আরও অনেক ভক্ত আছেন মথুরায় অনেক কষ্ট সহ্য করিয়া আসিবেন এই আশায় বুক বাধিয়া। শ্রীউদ্ভব মহারাজের ব্রজযাত্রা বর্ননের পূর্বে আলোচনীয় আছে কটি কথা। পরম প্রেমময় ব্রজভূমি ছাড়িয়া মথুরায় গেলেন কেন আদৌ ব্রজ প্রাণ? গেলেন যদি প্রয়োজনে ফিরেন নাই কেন কংস নিধন করিয়াই, একেবারে নাই বা ফিরলেন আসেন না কেন মাঝে মাঝে ? যদি না যাওয়ার সঙ্গত কারণ থাকে নাইবা গেলেন নিকটে রাখেন না কেন প্রিয়জনদের মথুরায় আনিয়া ব্রজবাসিদের মথুরায় রাজধানীতে লইয়া আসিয়া দুই সংসার একত্র করিয়া বাস করিলে কেমন হইতো ?
তাহাতে এক অদ্ভুত রস সঙ্কট উপস্থিত হয়॥ মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের ত্রিয়াবেশ। বৃন্দাবনে তাহার গোপাবেশ ও গোপবেশ। মথুরায় বৃষিগণের তিনি পরদেবতা, বৃন্দাবনের গোপগণের তিনি স্বজন, যাদবেরা কৃষ্ণের পদধুলি শিরে ধরে, গোপবালকেরা তাহার স্কন্ধে উঠিয়া “হারে ওরে ” বলিয়া ডাকে। দেবকী জননী কৃষ্ণের প্রণাম নিতে ভয় পান। জননী যশোদা রঞ্জু দিয়া বন্ধন করিয়া কঠোর ভৎসনা বাক্য বলেন। মথুরার ভক্ত কৃষ্ণের পদতলে বসিয়া প্রসাদ পাইয়া ধন্য হয়।
ব্রজ বালকগণ তাহার কণ্ঠধরিয়া উচ্ছিষ্ট খাওয়াইয়া আনন্দে নাচে। তাই ঐশ্বর্য্যও মাধর্য্য অবগাহী দুইটি প্রীতি রসের ধারাকে একই ভূমিকায় আনিয়া তাহাদের রস মর্যাদা রা করা রসরাজের পে ও অসম্ভব। পুস্প বনেই সুন্দর। বৃম্ভচ্যুত করিয়া গৃহে আনিলেই মলিন। ব্রজ রস ব্রজকুঞ্জেই মধুময়। রাজধানীতে আসিলেই আহত শ্রীহীন।
0 comments:
Post a Comment