শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য ও প্রভূ নিত্যানন্দ
করুনা করে কলি যুগে অবতীর্ন হয়েছেন।
ব্রজে যে বিহরে পুর্Ÿে কৃষ্ণ বলরাম ।
কোটি চন্দ্র সূর্য্য যিনি দোহার নিজ ধাম ।
সেই দুই জগতেরে হইয়ে সদয়।
গৌড় দেশে পূর্ব্ব শৈলে করিল উদয় ।।
দ্বাপর যুগের শেষ ভাগে যশোদানন্দ শ্রীকৃষ্ণ আর রুহিনী নন্দন শ্রী বলরাম এইদুই রূপে যারা ক্রীড়া বিহার করতেন জগতের প্রতি অশেষ করুণা পরশ হয়ে তারাই নদীয়ায় উদিত হলেন। নাম একটু বদলিয়ে যেমনঃ-
শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য আর প্রভূ নিত্যানন্দ ।
দোহার প্রকাশে সর্ব্ব জগৎ আনন্দ।
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভূ এসেছিলেন জাতির দূদির্নে তাদের রা করতে প্রেম দিয়ে নাম দিয়ে। কিন্তু দেখা যায় তৎকালীন সময়ে এক শ্রেণীর মানুষ মহাপ্রভুকে মেনে নিতে পারেনি (ব্রাহ্মন সমাজ)। অনেকে বলতেন জগন্নাথ মিশ্রের ছেলে নিমাই কি ভগবান ? আরও অনেক কথা দুঃখের বিষয় জগন্নাথ মিশ্রের পূত্র রুপে শচী মাতা গর্ভে ভগবান আসবেন তা তিনি আসার পূর্ব্বে অনেক গ্রন্থাদিতে ও পুরানে তা লিপিবদ্ধ হয়েছে। যেমনঃ- বামন পুরানে ভগবান বলেছেন-
কলিযোগে তমাছন্ন সর্বনাসায় বজিতাং ।
শচী গর্ভেচ সম্ভুয়তারে স্বামী নারদা।
শ্রী ভগবান বললেন হে নারদ। আমি শচী গর্ভে অবতীর্ন হইয়া আচারহীন কলিহত জীবকে উদ্ধার করিব। বিষ্ণু পুরানে বলেছেনঃ-
অহমেব কলৌ বিপ্রনিত্য প্রচ্ছন্ন বিগ্রহ।
ভগবৎ ভক্ত রুপেন লোকান রামি সর্বদা।
দ্বিভূজ ভূবি জায়োধ্যং ভক্ত রুপি নহঃ
কলৌ সংকির্তনারম্ভে ভবিষ্যামি শচীসুত ॥
* হে বিপ্র আমি কলি যুগে ভক্ত রূপ ধারন করিয়া সকল জনগনকে নামও প্রেম দিয়ে রা করিব। শচীর পুত্র রুপে হে দেবতাগণ তোমরা ভক্তরুপে প্রকটিত হইয়া হরিণাম সংকীর্ত্তন প্রচার কর।
গঙ্গায় দণিভাগে নবদ্বীপে মনোরমে
কলি পাপ বিনাশায় শচী গর্ভে সনাতনি।
জনিষ্যতি প্রিয়েমিশ্র পুরন্দরগৃহে স্বয়ম ।
ফাল্গুনে পৌর্নিমা মার্স্যাঞ্চ নিশায়াং গৌর বিগ্রহ ॥
* বিশ্বসার তন্ত্রে উত্তর খন্ডে একাদশ পটলে দেবদিদেব মহাদেব পার্বতীকে বলিতেছন হে প্রিয় কলির কুলষ বিনাশের নির্মিত্তে গঙ্গার দণি তীর বর্তী অতি মনোরম নবদ্বীপ গ্রামে ফাল্গুনী পুর্ণিমা নিশিতে ভগবান মিশ্র পুরন্দর গৃহে শচীদেবীর গৃহে গৌর রুপে অবর্তিন হইবেন। হলো ঠিক তাই ১৪০৭ শতকে ফাল্গুন মাসে পুর্ণিমা তিথিতে শচীমাতার গর্ভে ত্রয়োদ্বশমাস গত হওয়ার পরে গৌর চন্দ্র নদীয়ায় উদয় হলেন এবং১৪৫৫ শতকে অর্ন্তধ্যান হন। এই ৪৮ বৎসর প্রভূ লীলা করেন। তন্মধ্যে প্রথম ২৪ বছর প্রভূ নিরন্তর গৃহবাস এবং পরের ২৪বছর প্রভূ নিলাচলে বাস করেন। তাই বলি তদাকথিত (ব্রাহ্মণ সমাজ) কেন যে প্রভূ ও লীলকে মেনে নিতে পারেনি কোন জন্মেও বা কোন পূন্যের ফলে যে তারা ভগবানের লীলার বিরোধীতার সুযোগ পেল ? তাই জানতে ইচ্ছা হয় কেন তারা এসব বাস্তব প্রমাণ থাকা স্বত্বেও এ হীন কার্যের সুযোগ পেল সে সব সমাজ। সত্য যুগের জয় বিজয়; ত্রেতা যুগের হিরণা ও হিরণ্যকশিপু; দ্বাপর যুগের রাবণ কুম্ভ কর্ণ/কংস ও চেদিরাজ, শিশুপাল এদের মতো কি শত্র“ুভাবে ভগবান পাদ পদ্মলাভের কোন আকাঙ্খা ছিল কি না তথাকতিত ব্রাহ্মণ সমাজের ? যদি নাই বা থাকে তবে কেন তারা মহাপ্রভুর লীলা কার্যে বিভিন্ন ভাবে বিরোধীতা করলেন? যাক এসব কথা আমরা ফিরে যাই মহাবধ্যান্য অবতার গৌরসুন্দরের আগমনের কথায়। ভগবান যুগে যুগে ধরণীর ধূলায় নেমে আসেন সকলেই জানি কিন্তু প্রয়োজন হয় ভক্তের আহব্বানের। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। শান্তি পুরের শ্রীল অদৈত্য প্রভূর কলি জীবের দুঃখ র্দুদশা দেখে ভাবলেন, কেমনে জীব উদ্ধার পাবে তাই ভেবে চিত্তে স্থির করলেন ভগবানকে আনতে হবে। অদৈত্য প্রভূ এমন প্রতিজ্ঞা করে বললেন ঃ-
শুনি শ্রীনিবাস, গঙ্গাদাস, শুকাম্ভুর।
করাইব কৃষ্ণ সর্ব নয়ন গোচর ।
সবা উদ্ধারিব কৃষ্ণ আপনে আনিয়া।
বুঝাইব কৃষ্ণভক্তি তোমা সবা লইয়া ।
দেখিব কি হয় এ নদীয়া ভিতর ।
তবে সে অদৈত্য নাম কৃষ্ণের কিঙ্কর।
* কেমন প্রতিজ্ঞা করে বসলেন অদৈত্য প্রভূ তিনি সারা জগতের কৃষ্ণ দেখাবেন। হলো ঠিক তাই, গঙ্গাজল তুলসী পত্র দিয়ে ভজনা করে প্রাণ গোবিন্দ কে এনেছিলেন অদৈতপ্রভূ।
করুনা করে কলি যুগে অবতীর্ন হয়েছেন।
ব্রজে যে বিহরে পুর্Ÿে কৃষ্ণ বলরাম ।
কোটি চন্দ্র সূর্য্য যিনি দোহার নিজ ধাম ।
সেই দুই জগতেরে হইয়ে সদয়।
গৌড় দেশে পূর্ব্ব শৈলে করিল উদয় ।।
দ্বাপর যুগের শেষ ভাগে যশোদানন্দ শ্রীকৃষ্ণ আর রুহিনী নন্দন শ্রী বলরাম এইদুই রূপে যারা ক্রীড়া বিহার করতেন জগতের প্রতি অশেষ করুণা পরশ হয়ে তারাই নদীয়ায় উদিত হলেন। নাম একটু বদলিয়ে যেমনঃ-
শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য আর প্রভূ নিত্যানন্দ ।
দোহার প্রকাশে সর্ব্ব জগৎ আনন্দ।
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভূ এসেছিলেন জাতির দূদির্নে তাদের রা করতে প্রেম দিয়ে নাম দিয়ে। কিন্তু দেখা যায় তৎকালীন সময়ে এক শ্রেণীর মানুষ মহাপ্রভুকে মেনে নিতে পারেনি (ব্রাহ্মন সমাজ)। অনেকে বলতেন জগন্নাথ মিশ্রের ছেলে নিমাই কি ভগবান ? আরও অনেক কথা দুঃখের বিষয় জগন্নাথ মিশ্রের পূত্র রুপে শচী মাতা গর্ভে ভগবান আসবেন তা তিনি আসার পূর্ব্বে অনেক গ্রন্থাদিতে ও পুরানে তা লিপিবদ্ধ হয়েছে। যেমনঃ- বামন পুরানে ভগবান বলেছেন-
কলিযোগে তমাছন্ন সর্বনাসায় বজিতাং ।
শচী গর্ভেচ সম্ভুয়তারে স্বামী নারদা।
শ্রী ভগবান বললেন হে নারদ। আমি শচী গর্ভে অবতীর্ন হইয়া আচারহীন কলিহত জীবকে উদ্ধার করিব। বিষ্ণু পুরানে বলেছেনঃ-
অহমেব কলৌ বিপ্রনিত্য প্রচ্ছন্ন বিগ্রহ।
ভগবৎ ভক্ত রুপেন লোকান রামি সর্বদা।
দ্বিভূজ ভূবি জায়োধ্যং ভক্ত রুপি নহঃ
কলৌ সংকির্তনারম্ভে ভবিষ্যামি শচীসুত ॥
* হে বিপ্র আমি কলি যুগে ভক্ত রূপ ধারন করিয়া সকল জনগনকে নামও প্রেম দিয়ে রা করিব। শচীর পুত্র রুপে হে দেবতাগণ তোমরা ভক্তরুপে প্রকটিত হইয়া হরিণাম সংকীর্ত্তন প্রচার কর।
গঙ্গায় দণিভাগে নবদ্বীপে মনোরমে
কলি পাপ বিনাশায় শচী গর্ভে সনাতনি।
জনিষ্যতি প্রিয়েমিশ্র পুরন্দরগৃহে স্বয়ম ।
ফাল্গুনে পৌর্নিমা মার্স্যাঞ্চ নিশায়াং গৌর বিগ্রহ ॥
* বিশ্বসার তন্ত্রে উত্তর খন্ডে একাদশ পটলে দেবদিদেব মহাদেব পার্বতীকে বলিতেছন হে প্রিয় কলির কুলষ বিনাশের নির্মিত্তে গঙ্গার দণি তীর বর্তী অতি মনোরম নবদ্বীপ গ্রামে ফাল্গুনী পুর্ণিমা নিশিতে ভগবান মিশ্র পুরন্দর গৃহে শচীদেবীর গৃহে গৌর রুপে অবর্তিন হইবেন। হলো ঠিক তাই ১৪০৭ শতকে ফাল্গুন মাসে পুর্ণিমা তিথিতে শচীমাতার গর্ভে ত্রয়োদ্বশমাস গত হওয়ার পরে গৌর চন্দ্র নদীয়ায় উদয় হলেন এবং১৪৫৫ শতকে অর্ন্তধ্যান হন। এই ৪৮ বৎসর প্রভূ লীলা করেন। তন্মধ্যে প্রথম ২৪ বছর প্রভূ নিরন্তর গৃহবাস এবং পরের ২৪বছর প্রভূ নিলাচলে বাস করেন। তাই বলি তদাকথিত (ব্রাহ্মণ সমাজ) কেন যে প্রভূ ও লীলকে মেনে নিতে পারেনি কোন জন্মেও বা কোন পূন্যের ফলে যে তারা ভগবানের লীলার বিরোধীতার সুযোগ পেল ? তাই জানতে ইচ্ছা হয় কেন তারা এসব বাস্তব প্রমাণ থাকা স্বত্বেও এ হীন কার্যের সুযোগ পেল সে সব সমাজ। সত্য যুগের জয় বিজয়; ত্রেতা যুগের হিরণা ও হিরণ্যকশিপু; দ্বাপর যুগের রাবণ কুম্ভ কর্ণ/কংস ও চেদিরাজ, শিশুপাল এদের মতো কি শত্র“ুভাবে ভগবান পাদ পদ্মলাভের কোন আকাঙ্খা ছিল কি না তথাকতিত ব্রাহ্মণ সমাজের ? যদি নাই বা থাকে তবে কেন তারা মহাপ্রভুর লীলা কার্যে বিভিন্ন ভাবে বিরোধীতা করলেন? যাক এসব কথা আমরা ফিরে যাই মহাবধ্যান্য অবতার গৌরসুন্দরের আগমনের কথায়। ভগবান যুগে যুগে ধরণীর ধূলায় নেমে আসেন সকলেই জানি কিন্তু প্রয়োজন হয় ভক্তের আহব্বানের। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। শান্তি পুরের শ্রীল অদৈত্য প্রভূর কলি জীবের দুঃখ র্দুদশা দেখে ভাবলেন, কেমনে জীব উদ্ধার পাবে তাই ভেবে চিত্তে স্থির করলেন ভগবানকে আনতে হবে। অদৈত্য প্রভূ এমন প্রতিজ্ঞা করে বললেন ঃ-
শুনি শ্রীনিবাস, গঙ্গাদাস, শুকাম্ভুর।
করাইব কৃষ্ণ সর্ব নয়ন গোচর ।
সবা উদ্ধারিব কৃষ্ণ আপনে আনিয়া।
বুঝাইব কৃষ্ণভক্তি তোমা সবা লইয়া ।
দেখিব কি হয় এ নদীয়া ভিতর ।
তবে সে অদৈত্য নাম কৃষ্ণের কিঙ্কর।
* কেমন প্রতিজ্ঞা করে বসলেন অদৈত্য প্রভূ তিনি সারা জগতের কৃষ্ণ দেখাবেন। হলো ঠিক তাই, গঙ্গাজল তুলসী পত্র দিয়ে ভজনা করে প্রাণ গোবিন্দ কে এনেছিলেন অদৈতপ্রভূ।
0 comments:
Post a Comment