আত্ম তত্ত্ব ও গর্ভবাস কতোপকথন ঃ-
সাধু গুরু বৈষ্ণবেতে আর্শিবাদ লইয়া। আতœ জ্ঞান কথা কিছু কহি বিবরিয়া।
শতেক বৎসর যদি কৃষ্ণসেবা করে। আতœজ্ঞান বীনা জীব বৃথা শ্রমে মরে ॥
আত্ম জ্ঞান বিনা যে সাধন করয়ে। সে সাধন বৃথা তার শ্রম মাত্র হয় ॥
আত্মজ্ঞান বিনা জীব মুক্ত নহে ভবে। মুক্ত দেহ বিনা সাধন বিফল হইবে ॥
কাহারে সাধন করে কেবা সাধন করে। তত্ত্ব না জানিয়া কেন বৃথাশ্রমে মরে।
আত্মজ্ঞানে দেহে বর্তিবে কৃষ্ণগুণ। সেহেতু আতœজ্ঞানে হও সুনিপুন ॥
জাতি বিদ্যা মহতত্ত্বা রূপ ও যৌবন। এইপঞ্চ কণ্ঠক বলি আছে নিরূপন ॥
ঘৃনা লজ্জাঅষ্ট পাশ ষড় রিপু সহ। মায়া ভ্রান্তিধরি বিষেতে গমন করহ ॥
এই বিষয় বিষ দেহে হয় জ্বালাতন। এইআতœ জ্ঞানামৃত বিষ করহ সাধন ॥
আতœজ্ঞানে আতœ দৃষ্টি বলিতব কাছে। পরমাতœা সহজীব বাক্যবদ্ধআছে॥
সপ্তম মাসেতে পরমতœা মহা গুরু। জীবকে চৈতন্য দেয় মহা মন্ত্র শুরু ॥
চৈতন্যপাইয়া জীব চু খুলি চায়। পরমাতœা প্রভূ সেইসম্মুখে দণ্ডায় ॥
** মাতৃগর্ভে পরমাত্মা প্রভূর (চৈতন্য গুরুর) সাাৎ পেয়ে জীব বলতেছে প্রভূগো আমি যে আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিনা তাই আপনি কৃপা করে আমাকে যন্ত্রণা থেকে উদ্ধার করুন প্রভূ ।
জীবের শুনিয়া স্তুুতি পরমাতœা বলে,
গর্ভ বাস কষ্টযাবে জম্পু দিপে গেলে ।
* প্রভূ বলতেছে জীব তুমি যদি জম্পুদিপে যাও অর্থাৎ পৃথিবীতে (মায়ার দেশে) যাও তবেই তোমার এই কষ্ট হতে রা হবে। জীব বলতেছে না প্রভূ জম্পুদিপ মায়ার রাজ্য সেখানে গেলে আমি তোমায় ভূলে যাব। তোমায় ভূলে সংসার জ্বালায় সদা জ্বলে পুড়ে মরব ।
মায়া বাদি লোক সব আমাকে মায়া পাশ গলে বেধে দিবে নিশ্চয়। আর মায়ার কবলে পড়ে আমি অন্যায় ও অনিত্য আচারে পড়ে নিত্য বস্তুু তোমাকে পাশরিব। তাই আমাকে আর সেখানে পাঠাবেন না।
প্রভূ বলতেছেন ঃ-
পূর্ব জন্মার্জিত যতছিল পাপ ছয়,
মোর দরশনে সব পরিত্যাগ হয়।
সেই পাপ তুমি গ্রহণ না করিও আর,
জম্পুদিপে ত্বরান্নিতে যাও এই বার ॥
প্রভূ বলেছেনঃ-
হে জীব তুমি এই গর্ভবাসে আমাকে যে চিনতে পেরেছ। আমার সাথে কথা বলতেছ কি ভাবে তুমি জান না। একটু আগে ও তোমার এইজ্ঞান ছিল না আমার দর্শনে তোমার দিব্য জ্ঞান হয়েছে তাই পূর্বের যত পাপ তোমার ছিল তা য় হয়েছে। এুনি তুমি আর সে পাপ গ্রহণ কর না । তুমি যদি তোমার মাতৃ গর্ভ হতে ভূমিষ্ট না হও তবে তুমি মারা যাবে আর তোমার গর্ভধারিনী মাও মারা যাবে। আর তুমি সেই পাপে লিপ্ত হয়ে যাবে। তাই তোমাকে ভূমিষ্ট হতেই হবে।
জীব বলে জম্পুদিপে তোমায় নাহি পাব,
সে দেশের পাপ পূন্য কিশেতে নাশিব।
পরমাত্মা বলে শুন আমি সাধু বেসে
জীব নিস্থারিতে সদা ঘুরি জম্পু দেশে ॥
যদি সাধু সঙ্গ কোথা পার করিবার,
তার কাছে জিজ্ঞাসিও সংবাদ আমার ॥
আত্ম তত্ত্ব দেহ তত্ত্ব বর্নিবারে পারে,
তুমি তখন গুরু স্বীকার করিও সে সাধুরে
তার মূখে মহা মন্ত্র শুনিবে তখন,
মন্ত্র অর্থে চৈতন্যরূপে পাবে আমার দরশন।
* সূধীজন প্রভূ বলেন, আমি সাধু বেশে পৃথিবীতে ঘুরাঘুরি করি জীব নিস্তার এর জন্য তাই সাধু সঙ্গ করে জানতে হবে ভগবানের সংবাদ এক মাত্র সাধুই জানেন অন্য কেহ জানে না। আমি এহেন অধম সাধুকে চিনব কেমন করে। সাধুর লন বা কি ?
মহাজন সিদ্ধান্ত ঃ- সা + ধু = সাধু।
সা শব্দে = সাধনা সার্দ্দেতি কামং পর লোক উল্লাসিতা,
বিকারাদি বর্জিতা সদা সাকারে তষ্য লণ।
ধু কারে = ধৈর্য্যতা ধীরতা স্বত্ত্বীকাশ্রিতা অষ্ট পাপ
বিবজ্জীতা ধু কারে তর্ষ্য লন।।
* পরমাতœা গুরুর নিকট হইতে তা জেনে জীব জম্পু দ্বীপ আসে। তার পরও জীব প্রশ্ন করে প্রভূ যদি আমি বাক্য ভ্রষ্ট হয়ে অপরাধী হয়ে যাই কিসে সে অপরাধের মুক্তিপাব ?
প্রভূ বললেনঃ-
ভাগ্যফলে সাধু সঙ্গে পায়আত্মজ্ঞান ,
সদ্জ্ঞান জন্মিলে দেখে আত্মাভগবান ॥
গর্ভে পরমাত্মা বলে জীবের সদনে,
আত্মার উদ্ধার নাই আত্মজ্ঞান বিনে ॥
তাই আমার গুরুদেব শ্রী শ্রীসুধীর গোস্বামী বলতেন হে জীব মুনিষ্য জন্ম পেয়ে মায়ার কবলে অষ্ট পাশে বন্দি হয়ে সংসারের অনিত্য শোক ভোগে লিপ্ত একবার ও কি ভেবেছ যে স্ত্রী পুত্রের কথা ? তাহারা কেহই তোমার আপন নয়। পিতার মৃত্যুর পর পুত্র কাঁদে হায়রে আরকটি বছর বাঁচলে পেনসন হয়ে যেত, অনেক গুলি টাকা পেতাম একটি সুন্দর বাড়ী করতাম ছোট বোনটিকে ভাল পাত্র দেখে মহা সমারোহে বিবাহ দিতাম হায় বিধি তুমি যে কি নির্দয় আমার সব কিছুতে নৈরাশ করলে আমার পিতাকে একটি ভালবাসা করার সুযোগটুকু দিলে না। মামাকে জড়িয়ে ধরে ও মামা তুমিতো সবই জান মামা তোমার সাথে বাবাতো সব কথা বলতেন । পেনসনের টাকা পেয়েই আমাকে কানাডা পাঠাবার কথা আমি বলতে পারি না, মামা বল মামা, এত সব রেখে বাবা চলে গেলেন কী করে, স্ত্রী কাঁদছেন হায় “তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে আমি বুঝিনী” তুমি না আমাকে বলেছিলে চাকুরী হতে পেনসন হলেই আমাকে অনেক গুলো গহণা কিনে দিবে, কই’তা হলো না। আমি আর বুক ধরাতে পারছিনা। তুমি আমার মনের আশাও বাক্যটা রা করার সময় পেলে না। এই দুঃখ আমি জীবনেও ভূলতে পারব না । প্রতি বেশীকে জড়িয়ে ধরে ও দিদিগো তুমি আমায় বলো গো, এখন এই ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার কি করি, তাদের বিয়ে শাদি কি করে দেই, এত সব কর্ম আমার উপর দিয়ে কি করে তিনি চলে গেলেন গো, সারাটি জীবন আমাকে কতনা ভালবাসতেন গো, কি করে আমি এসব ভালবাসা ভূলে থাকি। এই ভাবে হৃদয় ফাটা কাঁন্না কাঁদছেন কিন্তুু গ্রামের ময়মুরব্বী এসে যখন বলেন ওরে, তোমরা আর এভাবে কান্নাঁকাটি করে কি হবে সবই তার ইচ্ছা। রাত্র ১১.০০টা বেজে গেছে তোমরা সব এসো মৃত ব্যক্তির সৎকারের ব্যবস্থা করা হউক। মৃত ব্যাক্তির স্ত্রীকে যদি বলেন ওগো আমরা সবাই শবের দাহ্ কার্যের ব্যবস্থা করতে যাই তুমি তোমার মৃত স্বামী কে একা রেখে যেও না তাই তুমি ঘরে তোমার উত্তর শিরা স্বামীর নিকট একটু থাক। উত্তরে স্ত্রী বললেন, আমি মরা বড় ভয় করি। তাই একা মৃত ব্যক্তির কাছে থাকতে পারিব না। (এ রকম উত্তর আসার সম্ভাবনা বেশী) আমি সারা জীবন মরা ডরাই। মানুষ একটু চিন্তা করুন আমাদের হুশ থাকা প্রয়োজন সবাই যার যার সার্থে কাঁদে। যাক আমরা আমাদের পূর্বের কথায় যাই-
*হেন আত্মজ্ঞান লাভ চাহ করিবারে
সদ্গুরু আশ্রয় কর নিষ্টা ভক্তি ভরে ।
সদ্গুরুর মুখেতে পাবে আত্মার ইতিহাস,
যেবা শুনে তার নাহি হয় গর্ভবাস।
গুরুতত্ত্ব সে বিষয় জানিও ত্বরিতে।
সদ্গুরুর আশ্রয় লও আত্মা উদ্ধারিতে।
ইতি
সাধু গুরু বৈষ্ণবেতে আর্শিবাদ লইয়া। আতœ জ্ঞান কথা কিছু কহি বিবরিয়া।
শতেক বৎসর যদি কৃষ্ণসেবা করে। আতœজ্ঞান বীনা জীব বৃথা শ্রমে মরে ॥
আত্ম জ্ঞান বিনা যে সাধন করয়ে। সে সাধন বৃথা তার শ্রম মাত্র হয় ॥
আত্মজ্ঞান বিনা জীব মুক্ত নহে ভবে। মুক্ত দেহ বিনা সাধন বিফল হইবে ॥
কাহারে সাধন করে কেবা সাধন করে। তত্ত্ব না জানিয়া কেন বৃথাশ্রমে মরে।
আত্মজ্ঞানে দেহে বর্তিবে কৃষ্ণগুণ। সেহেতু আতœজ্ঞানে হও সুনিপুন ॥
জাতি বিদ্যা মহতত্ত্বা রূপ ও যৌবন। এইপঞ্চ কণ্ঠক বলি আছে নিরূপন ॥
ঘৃনা লজ্জাঅষ্ট পাশ ষড় রিপু সহ। মায়া ভ্রান্তিধরি বিষেতে গমন করহ ॥
এই বিষয় বিষ দেহে হয় জ্বালাতন। এইআতœ জ্ঞানামৃত বিষ করহ সাধন ॥
আতœজ্ঞানে আতœ দৃষ্টি বলিতব কাছে। পরমাতœা সহজীব বাক্যবদ্ধআছে॥
সপ্তম মাসেতে পরমতœা মহা গুরু। জীবকে চৈতন্য দেয় মহা মন্ত্র শুরু ॥
চৈতন্যপাইয়া জীব চু খুলি চায়। পরমাতœা প্রভূ সেইসম্মুখে দণ্ডায় ॥
** মাতৃগর্ভে পরমাত্মা প্রভূর (চৈতন্য গুরুর) সাাৎ পেয়ে জীব বলতেছে প্রভূগো আমি যে আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিনা তাই আপনি কৃপা করে আমাকে যন্ত্রণা থেকে উদ্ধার করুন প্রভূ ।
জীবের শুনিয়া স্তুুতি পরমাতœা বলে,
গর্ভ বাস কষ্টযাবে জম্পু দিপে গেলে ।
* প্রভূ বলতেছে জীব তুমি যদি জম্পুদিপে যাও অর্থাৎ পৃথিবীতে (মায়ার দেশে) যাও তবেই তোমার এই কষ্ট হতে রা হবে। জীব বলতেছে না প্রভূ জম্পুদিপ মায়ার রাজ্য সেখানে গেলে আমি তোমায় ভূলে যাব। তোমায় ভূলে সংসার জ্বালায় সদা জ্বলে পুড়ে মরব ।
মায়া বাদি লোক সব আমাকে মায়া পাশ গলে বেধে দিবে নিশ্চয়। আর মায়ার কবলে পড়ে আমি অন্যায় ও অনিত্য আচারে পড়ে নিত্য বস্তুু তোমাকে পাশরিব। তাই আমাকে আর সেখানে পাঠাবেন না।
প্রভূ বলতেছেন ঃ-
পূর্ব জন্মার্জিত যতছিল পাপ ছয়,
মোর দরশনে সব পরিত্যাগ হয়।
সেই পাপ তুমি গ্রহণ না করিও আর,
জম্পুদিপে ত্বরান্নিতে যাও এই বার ॥
প্রভূ বলেছেনঃ-
হে জীব তুমি এই গর্ভবাসে আমাকে যে চিনতে পেরেছ। আমার সাথে কথা বলতেছ কি ভাবে তুমি জান না। একটু আগে ও তোমার এইজ্ঞান ছিল না আমার দর্শনে তোমার দিব্য জ্ঞান হয়েছে তাই পূর্বের যত পাপ তোমার ছিল তা য় হয়েছে। এুনি তুমি আর সে পাপ গ্রহণ কর না । তুমি যদি তোমার মাতৃ গর্ভ হতে ভূমিষ্ট না হও তবে তুমি মারা যাবে আর তোমার গর্ভধারিনী মাও মারা যাবে। আর তুমি সেই পাপে লিপ্ত হয়ে যাবে। তাই তোমাকে ভূমিষ্ট হতেই হবে।
জীব বলে জম্পুদিপে তোমায় নাহি পাব,
সে দেশের পাপ পূন্য কিশেতে নাশিব।
পরমাত্মা বলে শুন আমি সাধু বেসে
জীব নিস্থারিতে সদা ঘুরি জম্পু দেশে ॥
যদি সাধু সঙ্গ কোথা পার করিবার,
তার কাছে জিজ্ঞাসিও সংবাদ আমার ॥
আত্ম তত্ত্ব দেহ তত্ত্ব বর্নিবারে পারে,
তুমি তখন গুরু স্বীকার করিও সে সাধুরে
তার মূখে মহা মন্ত্র শুনিবে তখন,
মন্ত্র অর্থে চৈতন্যরূপে পাবে আমার দরশন।
* সূধীজন প্রভূ বলেন, আমি সাধু বেশে পৃথিবীতে ঘুরাঘুরি করি জীব নিস্তার এর জন্য তাই সাধু সঙ্গ করে জানতে হবে ভগবানের সংবাদ এক মাত্র সাধুই জানেন অন্য কেহ জানে না। আমি এহেন অধম সাধুকে চিনব কেমন করে। সাধুর লন বা কি ?
মহাজন সিদ্ধান্ত ঃ- সা + ধু = সাধু।
সা শব্দে = সাধনা সার্দ্দেতি কামং পর লোক উল্লাসিতা,
বিকারাদি বর্জিতা সদা সাকারে তষ্য লণ।
ধু কারে = ধৈর্য্যতা ধীরতা স্বত্ত্বীকাশ্রিতা অষ্ট পাপ
বিবজ্জীতা ধু কারে তর্ষ্য লন।।
* পরমাতœা গুরুর নিকট হইতে তা জেনে জীব জম্পু দ্বীপ আসে। তার পরও জীব প্রশ্ন করে প্রভূ যদি আমি বাক্য ভ্রষ্ট হয়ে অপরাধী হয়ে যাই কিসে সে অপরাধের মুক্তিপাব ?
প্রভূ বললেনঃ-
ভাগ্যফলে সাধু সঙ্গে পায়আত্মজ্ঞান ,
সদ্জ্ঞান জন্মিলে দেখে আত্মাভগবান ॥
গর্ভে পরমাত্মা বলে জীবের সদনে,
আত্মার উদ্ধার নাই আত্মজ্ঞান বিনে ॥
তাই আমার গুরুদেব শ্রী শ্রীসুধীর গোস্বামী বলতেন হে জীব মুনিষ্য জন্ম পেয়ে মায়ার কবলে অষ্ট পাশে বন্দি হয়ে সংসারের অনিত্য শোক ভোগে লিপ্ত একবার ও কি ভেবেছ যে স্ত্রী পুত্রের কথা ? তাহারা কেহই তোমার আপন নয়। পিতার মৃত্যুর পর পুত্র কাঁদে হায়রে আরকটি বছর বাঁচলে পেনসন হয়ে যেত, অনেক গুলি টাকা পেতাম একটি সুন্দর বাড়ী করতাম ছোট বোনটিকে ভাল পাত্র দেখে মহা সমারোহে বিবাহ দিতাম হায় বিধি তুমি যে কি নির্দয় আমার সব কিছুতে নৈরাশ করলে আমার পিতাকে একটি ভালবাসা করার সুযোগটুকু দিলে না। মামাকে জড়িয়ে ধরে ও মামা তুমিতো সবই জান মামা তোমার সাথে বাবাতো সব কথা বলতেন । পেনসনের টাকা পেয়েই আমাকে কানাডা পাঠাবার কথা আমি বলতে পারি না, মামা বল মামা, এত সব রেখে বাবা চলে গেলেন কী করে, স্ত্রী কাঁদছেন হায় “তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে আমি বুঝিনী” তুমি না আমাকে বলেছিলে চাকুরী হতে পেনসন হলেই আমাকে অনেক গুলো গহণা কিনে দিবে, কই’তা হলো না। আমি আর বুক ধরাতে পারছিনা। তুমি আমার মনের আশাও বাক্যটা রা করার সময় পেলে না। এই দুঃখ আমি জীবনেও ভূলতে পারব না । প্রতি বেশীকে জড়িয়ে ধরে ও দিদিগো তুমি আমায় বলো গো, এখন এই ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার কি করি, তাদের বিয়ে শাদি কি করে দেই, এত সব কর্ম আমার উপর দিয়ে কি করে তিনি চলে গেলেন গো, সারাটি জীবন আমাকে কতনা ভালবাসতেন গো, কি করে আমি এসব ভালবাসা ভূলে থাকি। এই ভাবে হৃদয় ফাটা কাঁন্না কাঁদছেন কিন্তুু গ্রামের ময়মুরব্বী এসে যখন বলেন ওরে, তোমরা আর এভাবে কান্নাঁকাটি করে কি হবে সবই তার ইচ্ছা। রাত্র ১১.০০টা বেজে গেছে তোমরা সব এসো মৃত ব্যক্তির সৎকারের ব্যবস্থা করা হউক। মৃত ব্যাক্তির স্ত্রীকে যদি বলেন ওগো আমরা সবাই শবের দাহ্ কার্যের ব্যবস্থা করতে যাই তুমি তোমার মৃত স্বামী কে একা রেখে যেও না তাই তুমি ঘরে তোমার উত্তর শিরা স্বামীর নিকট একটু থাক। উত্তরে স্ত্রী বললেন, আমি মরা বড় ভয় করি। তাই একা মৃত ব্যক্তির কাছে থাকতে পারিব না। (এ রকম উত্তর আসার সম্ভাবনা বেশী) আমি সারা জীবন মরা ডরাই। মানুষ একটু চিন্তা করুন আমাদের হুশ থাকা প্রয়োজন সবাই যার যার সার্থে কাঁদে। যাক আমরা আমাদের পূর্বের কথায় যাই-
*হেন আত্মজ্ঞান লাভ চাহ করিবারে
সদ্গুরু আশ্রয় কর নিষ্টা ভক্তি ভরে ।
সদ্গুরুর মুখেতে পাবে আত্মার ইতিহাস,
যেবা শুনে তার নাহি হয় গর্ভবাস।
গুরুতত্ত্ব সে বিষয় জানিও ত্বরিতে।
সদ্গুরুর আশ্রয় লও আত্মা উদ্ধারিতে।
ইতি
0 comments:
Post a Comment