শ্রী গুরু শক্তির অধিকার
গুরু পাদোদকং পেয়ং গুরোরুচ্ছিষ্ট ভোজনম ।
সদায় গুরু মূর্ত্তি ধ্যানং গুরু স্তোত্রং সদায় জপেৎ।॥
অর্থাৎঃ- গুরু শক্তির অধিকারী হইতে হলে শিষ্য সর্ব্বদা গুরুর চরনোদক পান গুরুর প্রসাদ ভোজন নিরন্তর গুরুর মুর্ত্তি ধ্যান এবং গুরু স্তোত্র ও মন্ত্রাদি জপ করিবেন।
তাই বলা হয়েছে ঃ-
চরনামৃত্য অধরামৃত্য ধরে মহাবলে।
পদধূলি এই তিন যদি সদা মিলে ।
চরনামৃত,  অধরামৃত্য  আর পদ ধূলি ।
এই তিন ভজনের মূল।
তাই আমাদের গুরু বন্ধনায় মহাজন সিদ্ধান্ত ঃ-
গুরুকে মনুষ্য জ্ঞান না করবে কখনো,
গুরু নিন্দা কভূ কর্ণে না করবে শ্রবণ ।
আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যেন আমরা কখনো কোন গুরু নিন্দুক লোকের সাথে চলাফেরা না করি । আমার গুরু, তোমার গুরু এমন বিভেদ নাই কোন গুরুদেবের নিন্দা শ্রবণ না করি ॥
*বৃন্দাবন ধামে কৃষ্ণ মানুষ রুপেতে ।
ব্রজবাসি গনে ভজন করিল যে মতে ॥
বিচার করিয়া শ্রীরুপ গোস্বামীগণ ।
গুরু মান্য করি করে শ্রী কৃষ্ণ ভজন ॥
    বৃন্দাবনে ব্রজবাসিগণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে তারা মানুষ রুপেই পেয়েছিল যেমন শ্রীদাম, সুদাম, ধাম বলরাম সবাই ভগবানকে সখ্য প্রেমেই ভজন করিয়াছেন। তাই আমরা সাধারন মনূষ্য আমরা গুরুর আনূগত্য ছাড়া ভজনের যোগ্য দেহ নয়। চৈতন্য চরিতা মৃতে মহাপ্রভূ বলেছেনঃ-
সকল জগতে মোরে করে বিধি ভক্তি ।
বিধি ভক্তে ব্রজ ভাব পেতে নাহি শক্তি।

* শুধু শাস্ত্রানুশাসনের ভয়ে যে ভক্তির অনুষ্ঠান তা বিধি ভক্তি এতে শ্রীকৃষ্ণ কে নিতান্ত আপনার জনজ্ঞানে সুখি করার জন্য প্রাণের টান থাকে না। সুতরাং ঐটি প্রেম ভক্তি নয়, এতে ব্রজ ভাব আসে না।
বিবর্ত্ত বিলাসে বলা হয়েছেঃ-
বেদ বিধির অগোচরে গোপি ভাব হয়।
বেদাতিত নাহইলে কৃষ্ণ প্রাপ্তি নয়।্
গোপি ভাবে কৃষ্ণ সেবা শাস্ত্রের বচন ।
পুংসাচারে নাহি মিলে ব্রজেন্দ্র নন্দন।॥
সুধীজন ব্রজেন্দ্র নন্দন কৃষ্ণ কে পেতে পুরুষ আকৃতিতে পাওয়া যায়না, বেদ বিধির উর্ধ্বে ভজন করতে হয়। আমাদেরও শিাগুরুর নিকট থেকে জানতে হবে। কারণ গ্রন্থে লিখিত আছেঃ-
সাধনের তত্ত্ব যত শিা গুরু দিবে ।
গোপি ভাব তব অঙ্গে প্রকাশ পাইবে॥
    তাই তিলে তিলে মনে পড়ে আমার গুরুদেব শ্রীশ্রীসুধীর রঞ্জন ব্রজ বাসির শ্রীচরনের অভাব বোধ করতেছি গুরুর ।
আপনারা চৈতন্যগুরুর সন্ধান করুন। জয় নিতাই গৌর হরিবল।
শ্রীশ্রী গৌরগণের পরিচয়ঃ-
                     পঞ্চতত্ত্ব ছয় চক্রবর্ত্তী
১। শ্রীবাস    ২। গোকুলানন্দ         ৩। শ্যামদাস
৪  শ্রীদাস     ৫। গোবিন্দ         ৬।  রামচরন।
অষ্ট কবিরাজ

১। রামচন্দ্র     ২। গোবিন্দ         ৩। কর্নপুর     ৪। নৃসিংহ
৫। ভগবান    ৬। বল্লভ দাস         ৭। গোকুল     ৮। গোপিরমন।
ছয় গোস্বামী
১ । রূপ (রূপ মঞ্জুরী)          ২ । সনাতন (লবঞ্চ মঞ্জুরী)
৩ । রঘুনাথ ভট্ট(রাস মঞ্জুরী)     ৪।  শ্রীজীব (বিলাস মঞ্জুরী)
৫।  গোপাল ভট্ট(গুন মঞ্জুরী)     ৬।  রঘুনাথ দাস(রতি মঞ্জুরী)।

    স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ  শ্রীরাধার ভাব কান্তি সহ নবদ্বীপে শ্রীচৈতন্য রুপে অবতীর্ন হয়েছেন, ব্রজের প্রিয় গোপ-গোপি এবং দেবগন পার্ষদ রূপে অবীর্তন হইয়াছেন তাহাদের পরিচয়ঃ-
শ্রীগৌরাঙ্গ --------------শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধার মিলিত তনু
নিত্যানন্দ --------------বলরাম
অদৈত্য-----------------মহাবিষ্ণু/সদাশিব
জগন্নাথ মিশ্র-------------নন্দ
শচীদেবী-----------------যশোদা
গদাধর ------------------শ্রী রাধার ভাব ময় বিগ্রহ।
শ্রীবাস----------নারদ---------সুন্দরানন্দ----সুদাম----------
মুরারীগুপ্ত---হনুমান------অভিরাম---------শ্রীদাম-----------কেশব ভারতী-অত্র“র------ধনঞ্জয় পন্ডিত ---------------বসুধাম---- বাসুদেব সাব্বভৌম  বৃহস্পতি-----গৌরিদাস ---------সুবল-----কৃষ্ণদাস কবিরাজ -----শুকদেব  শ্রীধর পন্ডিত ------মধুমঙ্গল---পুন্ডরীক বিদ্যানিধি---বৃষভানু ---উদ্ধারন দত্ত সুবাহু নীলাম্বর চক্রবর্ত্তী---গর্গাচার্য্য--সদাশিব কবিরাজ---চন্দ্রাবলী
বৃন্দাবন দাস---বেদব্যাস---হরিদাস হচীক মুনির পুত্র ব্রহ্মা গঙ্গাদাস----দুর্ব্বাসা   মুকুন্দদাস ---বৃন্দাদেবী, ঘাড়াই পন্ডিত ---বসুদেব   --লীদেবী---রুক্সিনী
গোপিনাথ আচার্য্য ----ব্রহ্মা ---জগদানন্দ ---সত্যভামা
পরমানন্দপুরী---উদ্ভব ---সীতাদেবী ---যোগমায়া
জগদ্বীস হিরন্য---যজ্ঞপতœী –---প্রতাপ রুদ্র--ইন্দ্রদ্যুম্ম
স্বরূপদামোদর----ললিতা, রামানন্দরায় ------বিশাখা
শিবানন্দ সেন ------চিত্রা বা বীরাদুতী, বসু রামানন্দ ----চম্পকলতা
মাধবঘোষ-------তুঙ্গ বিদ্যা, গোবিন্দানন্দ ঠাকুর----ইন্দ্ররেখা
গোবিন্দঘোষ----রঙ্গদেবী, বাসুদেবঘোষ---সূদেবী

0 comments:

Post a Comment