গোপীপ্রেম - FINAL PART
ওরে কৃপটের মিত্র হে কপটের চুড়ামনি তুই তদপোও কপটতার প্রতি মুর্তি। ভীষণ কপটতা না থাকিলে কপটকে ছলনা করিয়া তাহার সহিত বন্ধুত্ব করা চলে না। উদ্ধব মহারাজের শ্রীমতি পাদ পদ্মে প্রনত হইবার ইচ্ছায় একটু অগ্রসর হইলেন। শ্রী রাধা উদ্ববকে দেখেন নাই ভাবনেত্রে ভ্রমরকে দেখিয়া বলিয়া উঠিলেন ওরে ধুর্তের মিত্র তুই আমার পা স্পর্শ করিস না। উদ্বব মহারাজ মনে মনে বলিতেছিন আমি প্রভুর নিকট হইতে আসিয়াছি তোমার শ্রীচরণে স্পর্শ করিবার অধিকার আমার আছে। শ্রীরাধা ভাব কর্ণে
শুনিতেছেন ঐরূপ কথা ভ্রম বলিতেছে। শুনিয়া শ্রীরাধা বলিতেছেন তুই মদ খেয়ে এসেছিস তা না হলে ঐ বেশে মাতাল ছাড়া কেহ আসে না। তোর মুখে কুঙ্কুমের দাগ মথুরা বাসিনীর সপতিœগণের বুকের কুসুম। এই মুখ নিয়া আসিয়াছিস আমার মান ভাঙ্গাতে। ধিক তোর ধৃষ্টতা দেখ ভ্রমর তোর প্রয়োজন নাই আমার মান ভঞ্জন করিবার। তুই মথুরায় চলিয়া যা সেখানে গিয়া মথুরা বাসিনীদের মান ভঞ্জন কর। সেখানে অনেক মানীনি আছেন একজনের মান ভঞ্জন করিতে করিতে অন্য একজন মানবতী হবেন। তাই তোর জীবন কাটিয়া যাইবে মান প্রসাদন কার্য্য।ে ওখানে যখন তোর এত কাজ তখন এখানে এসেছিস কেন ? দেখিস মথুরায় খুব সাবধানে কার্য করিস, ব্রজের সরল প্রাণ গোপেরা কৃষ্ণের মহাদৌরাত্ম্য সহ্য করিয়াছি তাই বলিয়া মথুরার বীর পুরুষেরা সহ্য করিবে না। বস্তুতঃ তাহা নহে। প্রত্যেকটি উচ্চারিত শব্দই মহাভাবময়ীর ভাবের উদগার। শ্রী রাধার অনুরাগের নিভৃত তলভূমি হইতে সমুদ্ভুত তাহা অনুভব করিবার সামর্থ নাই উদ্ধবের, তাই মনে মনে ভাবতেছেন কৃষ্ণকে ইনি এত কঠোর ভাবে নিন্দা করিতেছেন। সচ্ছিদানন্দে কি নিন্দা কার্য্য সম্ভব ? ভাব কর্ণে শ্রীরাধা শুনিতেছেন ভ্রমর বলিতেছে প্রভুকে এত নিন্দা করিতেছেন কেন ? তিনি কোন দোষের কাজত করেন নাই।শ্রীরাধা বলিতেছেন শোন তবে ভ্রমর । তাঁর দোষ গুরুতর তা কেবল আমাদেরই অনুভব গোচরে অন্যে জানে না। সে আমাদের ধর্ম কর্ম নাশ করিয়াছেন। কোন অস্ত্র শস্ত্র দ্বারা নহে। নিজ অধর সুধা পান করাইয়া এই ভুমন্ডলে কোথাও নাই তার অধর সুধার তুলনা।সে ঐসুধা পান করাইয়া ধর্ম নাশ করিয়া চলিয়া গিয়াছে। তাহারনির্যাতন তোদের মত একথা বলিলে ও কম হয়। তোরা ভ্রমর জাতি মধু পান করিয়া ত্যাগ করিস। আর সে পান করাইয়া ত্যাগ করিয়াছে। তোরা ফুলকে ত্যাগ করিস মধু নাই বলিয়া আর সে ত্যাগ করে সুন্দর সরল মন যাদের কেবল মাত্র দুঃখের সমূদ্র ডুবাইবে বলিয়া।তার অন্তরে একটি মাত্র অভিসন্ধি যারা তার অধর সুধা পান করে তাহাদিগকে গভীর দুঃখে নির্পিষ্ট করা। কপটি তোর প্রভু মনে করিয়াছে যদি তার দুঃখ দেই ব্রজ গোপিদের তবে তারা দুঃখের আঘাতে মরিয়া যাইবে। তারা মরিয়া গেলে কাদের দুঃখ দিয়া আমি সুখি হইব। সেই জন্য বাচাইয়া রাখিয়াছে তাহার অধরা মৃত পান করাইয়া।ওরে ভ্রমর তুই গুন গুন করে আর গান গাইস না। যাহারা গৃহ হারা তাদের সম্মুখে। যারা ঐশ্বর্য্যশালী ,তাদের কথা শোনাবার কি দরকার? শুধু তাইনয় আমাদের গৃহ হীন করিয়া সে বাস করতেছে মথুবার ঐশ্বর্য্যময় গৃহে। আমি গৃহ হারা বনবাসী কাঙ্গালিনী হইয়াছি তোর ঐ বন্ধুটির জন্য। মাথুরায় তোর সখা যে সকল নারিদের ব বেদনা দুর কারয়াছে তাদের কাছে গিয়া প্রাণ খুলিয়া গান কর। শোন তবে ভ্রমর মথুরার নাগরিগণ পতিব্রতা তা আমিও জানি। কিন্তু বলদেখি দেবলোক মর্তলোক পাতালে কোন নারি আছে তোর প্রভুর বশ্যতা প্রাপ্ত না হইয়া পারে? আমি হিংসা বিদ্দেশ বশতঃ বলিতেছি না, বলিতেছি তাদের কল্যাণের আকাঙ্খায়। ওরে ভ্রমর তুই কি বলিতেছিস যে, কৃষ্ণ যদি এতই দোষি তা হইলে এখন পর্যন্ত তার প্রতি এত লালসা কেন? বলি শুন স্বয়ং লি যিনি সর্বেশ্বরী হইয়াও যেখানে তার পদ ধুলি পতিত হয় সেই খানে গিয়া ভজন পূজন করিয়া থাকেন আর আমরা ুদ্র মানুষী গোয়ালীণী আমরা কেমন করিয়া পারি তার প্রতি আসক্তি ত্যাগ করিতে। তোর কপট সখা সর্বাগ্রে বশিভুত করিয়াছে। লি দেবিকে। কারণ নারির প্রধান লি দেবী। তাহাকে বশীভুত রাখিতে পারিলে পৃথিবীর সকল নারী কে প্রতারণা করা যাইবে এই উদ্দেশ্যেই। দিব্যোন্মদাবস্থায় ভাবতেছে ভ্রমর শ্রীকৃষ্ণ কৃত অপরধের মা চাইতেছে উষ্কব তাই বলতেছেন। ওরে ভ্রমর তুই কি বলিতেছিস তোকে একটুও সুযোগ দিলামনা তোর উদ্দেশ্য ব্যক্ত করিবার। কথা কিছু বলিবারও নাই শুনিবারও নাই তুই সরিয়া যা জানিতে বাকি নাই তোর অন্তরের কথা। তুই তোর মনিবের কাছে চাটুকারীতা বিদ্যা শিখিয়া এখন তার দৌত্য কার্য্যে ব্রতী হইয়াছিস। তোষামোদে করিবার অসাধারণ মতা ছিল তোর মনিবের। গলবস্ত্রে দেহি পদ পল্লবমুদারম বলিয়া ভুলাইয়া দিত চাটু বাক্যে। আর পারবিনা ভুলাইতে অচতুরা নই অমরা লি দেবীর মত। আবার বলিতেছিস প্রিয় তমের সহিত বিবাদ না করিয়া সন্ধি সংস্থাপন করুন। মুখে আনিস না আরও কথা। কপটতা চলিতে পারে ততন যতন উহাধরা না পড়ে। শোনরে ভ্রমর আর তুলিস না শ্যামের সঙ্গে সখ্যের কথা। তাহার কুটিলতা, নির্মমতাও অধার্মিকতার পরিসীমা নাই। যদি বলিস কি প্রমান? বলিতবে শোন বানরের রাজা ছিল বালী। গোপনে থাকিয়া বানবিদ্ধ করিয়া মারিয়াছিল। হীন চরিত্র ব্যাধেরা পর্যন্ত বানর বধ করেনা কারণ ওদের মাংস অভ্য। আবার দেখ সুপর্নখার নাসিকা কর্ণ ছেদন ব্যাপারটা। সুর্পনখার দোষ এই মাত্র য়ে তার রুপ দেখিয়া মোহিত হইয়া তাহাকে স্বামী করিতে ইচ্ছা করিয়াছিল। বিবাহ তো করিলইনা পর্যন্ত কেহ যাহাতে তাহাকে গ্রহণ করিতে পারে সেই জন্য অঙ্গ কাটিয়া বিরুপ করিয়া দিল। হ্যাঁ যদি বুঝিতাম তিনি তপশ্বী ব্রহ্মচারী। ব্রত পালনে বনে আছেন তার কাছে বিবাহ প্রস্থাব নিতান্ত অশোভনীয় কার্য হইয়াছে তা তো নয় স্ত্রীটি সঙ্গে সঙ্গে হাত মিলাইয়া আছে। যদি অপর কাহাকেও গ্রহণ করিতে ইচ্ছা নাই তা হইলে এত রুপ সৌন্দর্য বিস্তার করিবার দরকার কি ছিল। বলি মহারাজের লাঞ্চনার কথা। বলিরাজের দোষটা কি? সে ব্রহ্মচারী ব্রাহ্মন কুমারকে ত্রিপাদ ভুমি দানের প্রতিশ্র“তি দিয়াছে। বলির পূজা গ্রহণ কালে দেখাইলেন কচি কচি পা তার পর কোথা হইতে কি ভাবে প্রকান্ড ভীষন পা গুলি বাহির করিলেন। দুই ভীষন পদবিেেপ আক্রমন করিলেন জগৎ ব্রহ্মান্ড। শেষে তৃতীয় পা তোথায় রাখিব বলিয়া ছল করিয়া বন্ধন করিয়া রাখিলেন নিয়া রসাতলে। এভাবে আরও অনেক কথা রসরাজ্যর রসিক ভক্তে জন্য লিখিত হয়েছে মহারাজজীর উদ্ধব সন্দেহ গ্রন্থে। আমরা গ্রন্থের প্রশারতা ভেবে সেদিকে যাচ্ছি না ।
পূর্ব জন্মে রামহঞা, বালী কপি বিনাশিয়া
যেহ কৈল ব্যাধের আচার।
সুপর্নখার নাসাকর্ণ, তাহা কৈল ছিন্ন ভিন্ন ,
বড়ই নির্দয় মন তার ॥
পুনশ্চ বামন হইয়া, বলির সর্বস্ব লঞা,
দৃঢ় বন্ধন করিলে তাহার,
হেন কৃষ্ণবর্ণ য়ে তার সখ্য চাহে কে,
তবু তার কথা ছাড়াদায় ॥
THE END
ওরে কৃপটের মিত্র হে কপটের চুড়ামনি তুই তদপোও কপটতার প্রতি মুর্তি। ভীষণ কপটতা না থাকিলে কপটকে ছলনা করিয়া তাহার সহিত বন্ধুত্ব করা চলে না। উদ্ধব মহারাজের শ্রীমতি পাদ পদ্মে প্রনত হইবার ইচ্ছায় একটু অগ্রসর হইলেন। শ্রী রাধা উদ্ববকে দেখেন নাই ভাবনেত্রে ভ্রমরকে দেখিয়া বলিয়া উঠিলেন ওরে ধুর্তের মিত্র তুই আমার পা স্পর্শ করিস না। উদ্বব মহারাজ মনে মনে বলিতেছিন আমি প্রভুর নিকট হইতে আসিয়াছি তোমার শ্রীচরণে স্পর্শ করিবার অধিকার আমার আছে। শ্রীরাধা ভাব কর্ণে
শুনিতেছেন ঐরূপ কথা ভ্রম বলিতেছে। শুনিয়া শ্রীরাধা বলিতেছেন তুই মদ খেয়ে এসেছিস তা না হলে ঐ বেশে মাতাল ছাড়া কেহ আসে না। তোর মুখে কুঙ্কুমের দাগ মথুরা বাসিনীর সপতিœগণের বুকের কুসুম। এই মুখ নিয়া আসিয়াছিস আমার মান ভাঙ্গাতে। ধিক তোর ধৃষ্টতা দেখ ভ্রমর তোর প্রয়োজন নাই আমার মান ভঞ্জন করিবার। তুই মথুরায় চলিয়া যা সেখানে গিয়া মথুরা বাসিনীদের মান ভঞ্জন কর। সেখানে অনেক মানীনি আছেন একজনের মান ভঞ্জন করিতে করিতে অন্য একজন মানবতী হবেন। তাই তোর জীবন কাটিয়া যাইবে মান প্রসাদন কার্য্য।ে ওখানে যখন তোর এত কাজ তখন এখানে এসেছিস কেন ? দেখিস মথুরায় খুব সাবধানে কার্য করিস, ব্রজের সরল প্রাণ গোপেরা কৃষ্ণের মহাদৌরাত্ম্য সহ্য করিয়াছি তাই বলিয়া মথুরার বীর পুরুষেরা সহ্য করিবে না। বস্তুতঃ তাহা নহে। প্রত্যেকটি উচ্চারিত শব্দই মহাভাবময়ীর ভাবের উদগার। শ্রী রাধার অনুরাগের নিভৃত তলভূমি হইতে সমুদ্ভুত তাহা অনুভব করিবার সামর্থ নাই উদ্ধবের, তাই মনে মনে ভাবতেছেন কৃষ্ণকে ইনি এত কঠোর ভাবে নিন্দা করিতেছেন। সচ্ছিদানন্দে কি নিন্দা কার্য্য সম্ভব ? ভাব কর্ণে শ্রীরাধা শুনিতেছেন ভ্রমর বলিতেছে প্রভুকে এত নিন্দা করিতেছেন কেন ? তিনি কোন দোষের কাজত করেন নাই।শ্রীরাধা বলিতেছেন শোন তবে ভ্রমর । তাঁর দোষ গুরুতর তা কেবল আমাদেরই অনুভব গোচরে অন্যে জানে না। সে আমাদের ধর্ম কর্ম নাশ করিয়াছেন। কোন অস্ত্র শস্ত্র দ্বারা নহে। নিজ অধর সুধা পান করাইয়া এই ভুমন্ডলে কোথাও নাই তার অধর সুধার তুলনা।সে ঐসুধা পান করাইয়া ধর্ম নাশ করিয়া চলিয়া গিয়াছে। তাহারনির্যাতন তোদের মত একথা বলিলে ও কম হয়। তোরা ভ্রমর জাতি মধু পান করিয়া ত্যাগ করিস। আর সে পান করাইয়া ত্যাগ করিয়াছে। তোরা ফুলকে ত্যাগ করিস মধু নাই বলিয়া আর সে ত্যাগ করে সুন্দর সরল মন যাদের কেবল মাত্র দুঃখের সমূদ্র ডুবাইবে বলিয়া।তার অন্তরে একটি মাত্র অভিসন্ধি যারা তার অধর সুধা পান করে তাহাদিগকে গভীর দুঃখে নির্পিষ্ট করা। কপটি তোর প্রভু মনে করিয়াছে যদি তার দুঃখ দেই ব্রজ গোপিদের তবে তারা দুঃখের আঘাতে মরিয়া যাইবে। তারা মরিয়া গেলে কাদের দুঃখ দিয়া আমি সুখি হইব। সেই জন্য বাচাইয়া রাখিয়াছে তাহার অধরা মৃত পান করাইয়া।ওরে ভ্রমর তুই গুন গুন করে আর গান গাইস না। যাহারা গৃহ হারা তাদের সম্মুখে। যারা ঐশ্বর্য্যশালী ,তাদের কথা শোনাবার কি দরকার? শুধু তাইনয় আমাদের গৃহ হীন করিয়া সে বাস করতেছে মথুবার ঐশ্বর্য্যময় গৃহে। আমি গৃহ হারা বনবাসী কাঙ্গালিনী হইয়াছি তোর ঐ বন্ধুটির জন্য। মাথুরায় তোর সখা যে সকল নারিদের ব বেদনা দুর কারয়াছে তাদের কাছে গিয়া প্রাণ খুলিয়া গান কর। শোন তবে ভ্রমর মথুরার নাগরিগণ পতিব্রতা তা আমিও জানি। কিন্তু বলদেখি দেবলোক মর্তলোক পাতালে কোন নারি আছে তোর প্রভুর বশ্যতা প্রাপ্ত না হইয়া পারে? আমি হিংসা বিদ্দেশ বশতঃ বলিতেছি না, বলিতেছি তাদের কল্যাণের আকাঙ্খায়। ওরে ভ্রমর তুই কি বলিতেছিস যে, কৃষ্ণ যদি এতই দোষি তা হইলে এখন পর্যন্ত তার প্রতি এত লালসা কেন? বলি শুন স্বয়ং লি যিনি সর্বেশ্বরী হইয়াও যেখানে তার পদ ধুলি পতিত হয় সেই খানে গিয়া ভজন পূজন করিয়া থাকেন আর আমরা ুদ্র মানুষী গোয়ালীণী আমরা কেমন করিয়া পারি তার প্রতি আসক্তি ত্যাগ করিতে। তোর কপট সখা সর্বাগ্রে বশিভুত করিয়াছে। লি দেবিকে। কারণ নারির প্রধান লি দেবী। তাহাকে বশীভুত রাখিতে পারিলে পৃথিবীর সকল নারী কে প্রতারণা করা যাইবে এই উদ্দেশ্যেই। দিব্যোন্মদাবস্থায় ভাবতেছে ভ্রমর শ্রীকৃষ্ণ কৃত অপরধের মা চাইতেছে উষ্কব তাই বলতেছেন। ওরে ভ্রমর তুই কি বলিতেছিস তোকে একটুও সুযোগ দিলামনা তোর উদ্দেশ্য ব্যক্ত করিবার। কথা কিছু বলিবারও নাই শুনিবারও নাই তুই সরিয়া যা জানিতে বাকি নাই তোর অন্তরের কথা। তুই তোর মনিবের কাছে চাটুকারীতা বিদ্যা শিখিয়া এখন তার দৌত্য কার্য্যে ব্রতী হইয়াছিস। তোষামোদে করিবার অসাধারণ মতা ছিল তোর মনিবের। গলবস্ত্রে দেহি পদ পল্লবমুদারম বলিয়া ভুলাইয়া দিত চাটু বাক্যে। আর পারবিনা ভুলাইতে অচতুরা নই অমরা লি দেবীর মত। আবার বলিতেছিস প্রিয় তমের সহিত বিবাদ না করিয়া সন্ধি সংস্থাপন করুন। মুখে আনিস না আরও কথা। কপটতা চলিতে পারে ততন যতন উহাধরা না পড়ে। শোনরে ভ্রমর আর তুলিস না শ্যামের সঙ্গে সখ্যের কথা। তাহার কুটিলতা, নির্মমতাও অধার্মিকতার পরিসীমা নাই। যদি বলিস কি প্রমান? বলিতবে শোন বানরের রাজা ছিল বালী। গোপনে থাকিয়া বানবিদ্ধ করিয়া মারিয়াছিল। হীন চরিত্র ব্যাধেরা পর্যন্ত বানর বধ করেনা কারণ ওদের মাংস অভ্য। আবার দেখ সুপর্নখার নাসিকা কর্ণ ছেদন ব্যাপারটা। সুর্পনখার দোষ এই মাত্র য়ে তার রুপ দেখিয়া মোহিত হইয়া তাহাকে স্বামী করিতে ইচ্ছা করিয়াছিল। বিবাহ তো করিলইনা পর্যন্ত কেহ যাহাতে তাহাকে গ্রহণ করিতে পারে সেই জন্য অঙ্গ কাটিয়া বিরুপ করিয়া দিল। হ্যাঁ যদি বুঝিতাম তিনি তপশ্বী ব্রহ্মচারী। ব্রত পালনে বনে আছেন তার কাছে বিবাহ প্রস্থাব নিতান্ত অশোভনীয় কার্য হইয়াছে তা তো নয় স্ত্রীটি সঙ্গে সঙ্গে হাত মিলাইয়া আছে। যদি অপর কাহাকেও গ্রহণ করিতে ইচ্ছা নাই তা হইলে এত রুপ সৌন্দর্য বিস্তার করিবার দরকার কি ছিল। বলি মহারাজের লাঞ্চনার কথা। বলিরাজের দোষটা কি? সে ব্রহ্মচারী ব্রাহ্মন কুমারকে ত্রিপাদ ভুমি দানের প্রতিশ্র“তি দিয়াছে। বলির পূজা গ্রহণ কালে দেখাইলেন কচি কচি পা তার পর কোথা হইতে কি ভাবে প্রকান্ড ভীষন পা গুলি বাহির করিলেন। দুই ভীষন পদবিেেপ আক্রমন করিলেন জগৎ ব্রহ্মান্ড। শেষে তৃতীয় পা তোথায় রাখিব বলিয়া ছল করিয়া বন্ধন করিয়া রাখিলেন নিয়া রসাতলে। এভাবে আরও অনেক কথা রসরাজ্যর রসিক ভক্তে জন্য লিখিত হয়েছে মহারাজজীর উদ্ধব সন্দেহ গ্রন্থে। আমরা গ্রন্থের প্রশারতা ভেবে সেদিকে যাচ্ছি না ।
পূর্ব জন্মে রামহঞা, বালী কপি বিনাশিয়া
যেহ কৈল ব্যাধের আচার।
সুপর্নখার নাসাকর্ণ, তাহা কৈল ছিন্ন ভিন্ন ,
বড়ই নির্দয় মন তার ॥
পুনশ্চ বামন হইয়া, বলির সর্বস্ব লঞা,
দৃঢ় বন্ধন করিলে তাহার,
হেন কৃষ্ণবর্ণ য়ে তার সখ্য চাহে কে,
তবু তার কথা ছাড়াদায় ॥
THE END
0 comments:
Post a Comment