গোপীপ্রেম - Part - 2
এতাদৃর্শ দেখিয়া শুনিয়া উদ্ভব চিনিলেন যাহার কথা বহু শুনিয়াছি ঘুমের মধ্যেও আমার প্রভু যাহার নাম বলিয়া নিশ্বাস ফেলেন এই সেই শ্রীরাধা ।
শ্রীশুকদের শ্রীরাধার নাম কবেন নাই, বলিয়াছেন “কাচিৎ”
শ্রীরাধা শ্রীকৃষ্ণ বিরহে দিব্যোম্মদ অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছেন কথা বলিতে গেলে শব্দগুলি লুন্ঠিত হইতেছে। ণে ণে মুর্ছা দশা দেখা দিতেছে মুর্চ্ছা হইতে কথঞ্চিৎ চেতনা লাভ করিয়া বলিতেছেন সখি কাননে কোকিল ডাকিতেছে ওকে নিষেধ কর কর্নপটকে বজ্রাঘাতের মত লাগিতেছে। চাঁদআলো দিতেছে ওকে ঢাকিয়া রাখ দেহে দাবাগ্নি দহন বোধ হইতেছে।
বিবহে শ্রীরাধার প্রান কন্ঠগত দেখিয়া লীলাশক্তি যোগমায়া তীব্র বেদনার মহাসমুদ্রে মানের এক নব তরঙ্গ তুলিয়া বিরহিনীর প্রাণ রার ব্যবস্থা করিলেন। দুর্বিষহ বিরহাগ্নির মধ্যে মান। এ এক বিচিত্র কথা তবু মোদ নাখ্য মাহভাবসাম্ভরে কিছুই অসম্ভব নয়। শ্রীরাধা ভাবনেত্রে দেখিলেন শ্রীকৃষ্ণ কোন মথুরা বাসিনী প্রিয়জনার সঙ্গে আনন্দ করিতেছেন তার পর তাহাকে ছাড়িয়া শ্র্রীরাধার কাছে আসিয়াছেন তাহাকে দেখিয়া বিরহিনী মানিনী হইয়াছেন অনেক চেষ্টা করিয়া মান ভজন করিতে না পারিয়া তিনি চলিয়া গিয়াছেন তার পর এক কালো ভ্রমরকে দুত করিয়া মান ভঞ্জন করিতে না পারিয়া তিনি চলিয়া গিযাছেন। তার পর এক কালো ভ্রমরকে দুত করিয়া তাহার নিকট পাঠাইয়াছেন মান প্রসাদনের জন্য ভ্রমর আসিয়া শ্রীরাধা শ্রীচরণ পার্শ্বে গুঞ্জন করিতেছে। বিরহের তীব্র তায় স্কুর্তিকে সাাৎকার মনে হইতেছে। ভাবিতেছেন প্রান বল্লভ অন্যের অলেিত আমার কাছে আসিয়া আবার গুপ্ত ভাবে চলিয়া যায়। মথুরা নগরে তার অনেক প্রিয়তমা আছেন, নতুবা গুপ্ত ভাবে আসিয়া আবার চলিয়া যাইবে কেন? ভাবিতে ভাবিতে শ্যামের সঙ্গে মথুরা বাসিনীর মিলন দেখিয়া মানের উদয়। মান ভঙ্গ অবস্থায় নির্বেদ নামক সঞ্চারী ভাবের ঢেউ আসিল। তাহাতে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি দোষ দৃষ্টি বশতঃ পর্যাপ্ত বুদ্ধি আসিল অশেষ দোষের আকর শ্রীকৃষ্ণের প্রীতিতে আর কোন প্রয়োজন নাই। তাই ভ্রমরকে বলিতে লাগিলেন। ঠিক এই সময় শ্রীমান উদ্ধব আসিয়া শ্রী রাধার নিকটে দন্ডায়মান হইয়াছেন। ভাব বিহ্বলা শ্রীরাধা উদ্ধবকে দেখিতে পান নাই কিন্তু বলিতেছেন যাহা তাহা সবই শুনিছেন উদ্ধব। শ্রী রাধা বলিতেছেন ঃ-আরে রে কপটের বন্ধু তুই ধৃষ্টতা করছিস কেন ? আমার সম্মুখে দাড়াইয়া এখান হইতে এখনি চলিয়া যা। তোন পে ধৃষ্টতা ও অনুপযুক্ত নয় কারন মধ্য পান করেছিস। তোর প্রভূতো মধুপতি তাই এত মধু পান করেছিস। প্রভু ভূত্যের মিলন ভালই হইয়াছে। দেখ সখিগণ এই দুতকে যত সরল মনে করিতেছ তত সরল নয়। মদের নেশায় বিপ্তি চিত্ত হওয়ায় সরল মনে হইতেছে আসলে ওয়ে কত ধুর্ত।
(Part 3 and end page )
এতাদৃর্শ দেখিয়া শুনিয়া উদ্ভব চিনিলেন যাহার কথা বহু শুনিয়াছি ঘুমের মধ্যেও আমার প্রভু যাহার নাম বলিয়া নিশ্বাস ফেলেন এই সেই শ্রীরাধা ।
শ্রীশুকদের শ্রীরাধার নাম কবেন নাই, বলিয়াছেন “কাচিৎ”
শ্রীরাধা শ্রীকৃষ্ণ বিরহে দিব্যোম্মদ অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছেন কথা বলিতে গেলে শব্দগুলি লুন্ঠিত হইতেছে। ণে ণে মুর্ছা দশা দেখা দিতেছে মুর্চ্ছা হইতে কথঞ্চিৎ চেতনা লাভ করিয়া বলিতেছেন সখি কাননে কোকিল ডাকিতেছে ওকে নিষেধ কর কর্নপটকে বজ্রাঘাতের মত লাগিতেছে। চাঁদআলো দিতেছে ওকে ঢাকিয়া রাখ দেহে দাবাগ্নি দহন বোধ হইতেছে।
বিবহে শ্রীরাধার প্রান কন্ঠগত দেখিয়া লীলাশক্তি যোগমায়া তীব্র বেদনার মহাসমুদ্রে মানের এক নব তরঙ্গ তুলিয়া বিরহিনীর প্রাণ রার ব্যবস্থা করিলেন। দুর্বিষহ বিরহাগ্নির মধ্যে মান। এ এক বিচিত্র কথা তবু মোদ নাখ্য মাহভাবসাম্ভরে কিছুই অসম্ভব নয়। শ্রীরাধা ভাবনেত্রে দেখিলেন শ্রীকৃষ্ণ কোন মথুরা বাসিনী প্রিয়জনার সঙ্গে আনন্দ করিতেছেন তার পর তাহাকে ছাড়িয়া শ্র্রীরাধার কাছে আসিয়াছেন তাহাকে দেখিয়া বিরহিনী মানিনী হইয়াছেন অনেক চেষ্টা করিয়া মান ভজন করিতে না পারিয়া তিনি চলিয়া গিয়াছেন তার পর এক কালো ভ্রমরকে দুত করিয়া মান ভঞ্জন করিতে না পারিয়া তিনি চলিয়া গিযাছেন। তার পর এক কালো ভ্রমরকে দুত করিয়া তাহার নিকট পাঠাইয়াছেন মান প্রসাদনের জন্য ভ্রমর আসিয়া শ্রীরাধা শ্রীচরণ পার্শ্বে গুঞ্জন করিতেছে। বিরহের তীব্র তায় স্কুর্তিকে সাাৎকার মনে হইতেছে। ভাবিতেছেন প্রান বল্লভ অন্যের অলেিত আমার কাছে আসিয়া আবার গুপ্ত ভাবে চলিয়া যায়। মথুরা নগরে তার অনেক প্রিয়তমা আছেন, নতুবা গুপ্ত ভাবে আসিয়া আবার চলিয়া যাইবে কেন? ভাবিতে ভাবিতে শ্যামের সঙ্গে মথুরা বাসিনীর মিলন দেখিয়া মানের উদয়। মান ভঙ্গ অবস্থায় নির্বেদ নামক সঞ্চারী ভাবের ঢেউ আসিল। তাহাতে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি দোষ দৃষ্টি বশতঃ পর্যাপ্ত বুদ্ধি আসিল অশেষ দোষের আকর শ্রীকৃষ্ণের প্রীতিতে আর কোন প্রয়োজন নাই। তাই ভ্রমরকে বলিতে লাগিলেন। ঠিক এই সময় শ্রীমান উদ্ধব আসিয়া শ্রী রাধার নিকটে দন্ডায়মান হইয়াছেন। ভাব বিহ্বলা শ্রীরাধা উদ্ধবকে দেখিতে পান নাই কিন্তু বলিতেছেন যাহা তাহা সবই শুনিছেন উদ্ধব। শ্রী রাধা বলিতেছেন ঃ-আরে রে কপটের বন্ধু তুই ধৃষ্টতা করছিস কেন ? আমার সম্মুখে দাড়াইয়া এখান হইতে এখনি চলিয়া যা। তোন পে ধৃষ্টতা ও অনুপযুক্ত নয় কারন মধ্য পান করেছিস। তোর প্রভূতো মধুপতি তাই এত মধু পান করেছিস। প্রভু ভূত্যের মিলন ভালই হইয়াছে। দেখ সখিগণ এই দুতকে যত সরল মনে করিতেছ তত সরল নয়। মদের নেশায় বিপ্তি চিত্ত হওয়ায় সরল মনে হইতেছে আসলে ওয়ে কত ধুর্ত।
(Part 3 and end page )
0 comments:
Post a Comment