সভ্যতার ক্রমবিকাশে নারী সমাজ - Part - 2 end
বশিষ্ট প্রভৃতি সপ্ত মহর্ষি, পুরাকলের সনকাদি চারজন এবং স্বায়ম্ভুব প্রমুখ চর্তুদশ মনু- এঁরা সকলেই আমার ভাবসম্পন্ন এবং আমারই সংকল্পজাত। জগতের সমস্ত প্রজা এঁদের থেকেই সৃষ্টি হবে। এই সপ্ত মহর্ষি হচ্ছেন মরীচি, অঙ্গিরস, অত্রি, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু, বশিষ্ট। সনকাদি চারজন-সনক, সনন্দ, সনাতন এবং সনৎ কুমার আর চতুর্দশ মনু সায়ম্ভুব, স্বরোচিষ, উত্তম, তামস, রৈবত, চাুষ, বৈবস্বত, সাবর্ণি, দ সাবর্ণি, ব্রহ্ম সাবর্ণি, ধর্ম সাবর্ণি, রুদ্র সাবর্ণি, দেব সাবর্ণি এবং ইন্দ্র সাবর্ণি।
আর একটি গুহ্যাতিগুহ্য সংবাদ তোমাকে বলছি হে ঋষি কর্দম, আমার এই ধরাধামে আসতে বড় ইচ্ছা হয়। কিন্তু সেরূপ তপস্বী বীর্য ও ধর্মপ্রাণার গর্ভ ব্যতীত আমি আসতে পারিনা। তোমাদের দ্বারা কিন্তু আমার ধরাধামে অবতীর্ণ হওয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে। শ্রীমদ্ভাগবতমে ভগবানের এই আজ্ঞাটি আছে।
তব েেত্র দেবহূত্যাং প্রণেষ্যে তত্ত্বসংহিতাম।
০৩/২১/৩২
হে মহামুনে ! আমিও নিজ অংশকলারূপে তোমার বীর্যবিন্দুতে তোমার পতœী দেবাহুতির গর্ভে অবতীর্ণ হয়ে সাংখ্যা শাস্ত্র প্রণয়ন করব। মহর্ষি কর্দম যে স্থানে তপস্যা করেছিলেন তা ছিলো সরস্বতী পরিবেষ্টিত বিন্দুসরোবর তীর্থ। এই স্থান থেকে ভগবান নিজ ধামে গমন করলেন।
সায়ম্ভুব মনু আসলেন স্বীয় কন্যা দেবাহূতিকে নিয়ে কর্দম ঋষির তপোবনে। নিবেদন করলেন কন্যাকে তাঁর হস্তে সমার্পনের কথা। ঋষি কর্দম এ প্রস্তাবে সম্মত হলেন দেবাহূতীকে বিবাহের। কিন্তু একটি শর্ত দিলেন। শর্তটি এই-যতদিন পর্যন্ত সন্তান উৎপন্ন না হবে ততদিনই আমি গ্রাহস্থ্য ধর্মানুসারে এঁর সঙ্গে থাকব। তারপর শ্রীভগবানের উপদিষ্ট সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করবো। কর্দম ঋষির প্রস্তাবটির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে সনাতন ধর্মের “পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা”। সন্তান উৎপাদনের জন্যই স্ত্রীসংগ করা যাবে। এর বেশী নয়। স্ত্রী ভোগের বস্তু নয়। সায়ম্ভুব মনু ঋষি কর্দমের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে কন্যাকে উপযুক্ত পাত্রের সঙ্গে বিবাহ দিলেন।
তারপর ভগবান মনু বর্হিষ্মতী পুরীতে পতœী ও সন্তান সন্ততিদের নিয়ে ধর্মের অনুকুলে বস্তুসকল ভোগ করে অনাসক্ত চিত্তে সংসার যাপন করতে লাগলেন এবং সতত হরিকথা শ্রবণ মননে ডুবে থাকতেন। অতপর ভগবতী পার্বতী যেভাবে দেবাদিদেব মহাদেবের সেবা করেছিলেন সেইভাবে সাধ্বী দেবাহূতি প্রতিদিন প্রীতিসহকারে ঋষি কর্দমের সেবা করতে লাগলেন। সেবাপরায়ানা দেবাহূতীর মধ্যে যে দৈবী গুনগুলো প্রকটিত ছিল তা হলো পবিত্রতা, বিশ্বাস, গৌরভ, সংযম, শুশ্র“ষা, প্রেম ও মধুর ভাষন। ঋষি কর্দম তাঁর সেবা পরায়ানতায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে দিব্যবিভূতি সমূহে অধিকার দান করলেন। দেবাহূতির গর্ভের সঞ্চার হলো। একে একে নয়টি কন্যা সন্তান জন্ম হলো। এরপর কর্দম সন্ন্যাস আশ্রম অবলম্বন করতে চাইলে সাধ্বী দেবাহূতি নিবেদন করলেন এই কন্যারতœ সমূহকে সৎপাত্রে দান করতে হবে। আপনি চলে গেলে আমি অসহায় নারী কি করবো ?
সর্বগুন সম্পন্না দেবাহূতী একদিন স্বামীর চরণতলে বসে অশ্র“সিক্ত নয়নে বলতে লাগলেন, হে ভাগবোত্তম ! আপনার মত স্বামী পেয়ে আমি ধন্য হয়েছি। সন্তান লাভ করে কৃতার্থ হয়েছি। কিন্তু মনে বড় সাধ ভগবানকে পাওয়ার। বিনয় বাক্য শ্রবনে মহর্ষি কর্দম দয়াদ্রচিত্তে দেবাহূতিকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, হে সতি ! তুমি দুঃখ করোনা। পরম পুরুষ ভগবান বিষ্ণু শ্রীঘ্রই তোমার গর্ভে আবির্ভূত হবেন। শ্রীমদ্ভাগবতে এই ভাবে শ্লোকটি আছে,
মা খিদো রাজপুত্রীত্থামাত্মানং প্রত্যনিন্দিতে।
ভগবাংস্তেহরো গর্ভমদূরাৎ সম্প্রপৎস্যতে।
০৩/২৪/০২
হে অনিন্দিতা রাজকন্যা ! তুমি এরকম দুঃখ করোনা, পরমপুরুষ ভগবান বিষ্ণু শীঘ্রই তোমার গর্ভে আবির্ভূত হবেন।
ভগবান তাঁর ভক্তের বাঞ্চা পূরণ করেন। ভক্তের আজ্ঞা পালন করেন। এরকম শত শত কাহীনিতে উজ্জ্বল হয়েছে আমার বিভিন্ন শাস্ত্র গ্রন্থ। ঋষি কর্দমের বাক্য পূরণ হলো। ভগবান কপিল দেব দেবাহূতির পূন্য গর্ভকে আশ্র্র্রয় করে ধরাধামে অবতীর্ণ হলেন।
ভগবানকে পাওয়ার জন্য দেবাহূতিকে হাজার বৎসর তপস্যা করতে হয়নি, যেতে হয়নি জঙ্গলে। নিজ অঙ্কোপরি তিনি লাভ করলেন ভগবানকে। যুগে যুগে ভগবান আসেন মাতৃগর্ভ আশ্রয় করে। মাতৃজাতির কাছে ইহা এক বিস্ময়কর সংবাদ। এমনি মাতা দেবকী, যশোদা, এমনি মাতা শচীমা। তাইতো আমরা পেয়েছি পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে, পেয়েছি কলিপাবনাবতার শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যকে। মায়ের বাৎসল্যরস আস্বাদনে ভগবানের লুলুপতা। তাই তিনি শিশু হয়ে আসেন মাতৃক্রোড়ে। এ যে আনন্দময়ের আনন্দলীলা।
শ্রীমদ্ভাগবতম অবলম্বনে এই গল্পের মধ্যে ফুটে উঠেছে আদর্শ গ্রাহার্¯’্যশ্রমের সুন্দর চিত্রপট। ইহাই আমাদের ঋষিদের দেখিয়ে যাওয়া আদর্শ। এই আদর্শ আজ হারিয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে। এই আদর্শকে আকড়িয়ে ধরতে হবে। নতুবা সভ্যতা বিপন্ন হবে।
আসুন আমরা সকলে আন্তরিকভাবে মাতৃজাগরণ সাধনায় ব্রতী হই। পুরুষকেও নিতে হবে শাস্ত্রের নিরিখে উপযুক্ত ভ’মিকা। দুটি ডানায় ভর করে পাখি উড়ে। সভ্যতার ক্রমবিকাশে এক ডানা পুরুষ আর এক ডানা নারী। তাই উভয়ের সদ্ভাবনায় সমাজ হোক আলোকিত। এই আলোকিত সমাজে আসবে আলোকিত মানুষ। পৃথিবী হবে সুন্দর, হাসবে সভ্যতা ধন্য হবেন ধরিত্রী। পরিশেষে শ্রী শ্রী চন্ডীর একটি শ্লোক উচ্চারণ করেই প্রবন্ধের সমাপ্তি টানছি।
যা দেবী সর্বভূতেষূ মাতৃরূপেন সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ॥
সকল প্রাণীকে মাতৃ ভাবনায় শ্রদ্ধা দিতে পারে নারীর উপযুক্ত সম্মান ও একটি সুস্থ মানব সমাজ।
সেই কাঙ্খিত সুন্দর মানব সমাজের অপো পথ চেয়ে রইলাম। জয় জগদ্বন্ধু হরি ॥
লেখক
শ্রীচৈতন্য গবেষনা কেন্দ্র
বশিষ্ট প্রভৃতি সপ্ত মহর্ষি, পুরাকলের সনকাদি চারজন এবং স্বায়ম্ভুব প্রমুখ চর্তুদশ মনু- এঁরা সকলেই আমার ভাবসম্পন্ন এবং আমারই সংকল্পজাত। জগতের সমস্ত প্রজা এঁদের থেকেই সৃষ্টি হবে। এই সপ্ত মহর্ষি হচ্ছেন মরীচি, অঙ্গিরস, অত্রি, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু, বশিষ্ট। সনকাদি চারজন-সনক, সনন্দ, সনাতন এবং সনৎ কুমার আর চতুর্দশ মনু সায়ম্ভুব, স্বরোচিষ, উত্তম, তামস, রৈবত, চাুষ, বৈবস্বত, সাবর্ণি, দ সাবর্ণি, ব্রহ্ম সাবর্ণি, ধর্ম সাবর্ণি, রুদ্র সাবর্ণি, দেব সাবর্ণি এবং ইন্দ্র সাবর্ণি।
আর একটি গুহ্যাতিগুহ্য সংবাদ তোমাকে বলছি হে ঋষি কর্দম, আমার এই ধরাধামে আসতে বড় ইচ্ছা হয়। কিন্তু সেরূপ তপস্বী বীর্য ও ধর্মপ্রাণার গর্ভ ব্যতীত আমি আসতে পারিনা। তোমাদের দ্বারা কিন্তু আমার ধরাধামে অবতীর্ণ হওয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে। শ্রীমদ্ভাগবতমে ভগবানের এই আজ্ঞাটি আছে।
তব েেত্র দেবহূত্যাং প্রণেষ্যে তত্ত্বসংহিতাম।
০৩/২১/৩২
হে মহামুনে ! আমিও নিজ অংশকলারূপে তোমার বীর্যবিন্দুতে তোমার পতœী দেবাহুতির গর্ভে অবতীর্ণ হয়ে সাংখ্যা শাস্ত্র প্রণয়ন করব। মহর্ষি কর্দম যে স্থানে তপস্যা করেছিলেন তা ছিলো সরস্বতী পরিবেষ্টিত বিন্দুসরোবর তীর্থ। এই স্থান থেকে ভগবান নিজ ধামে গমন করলেন।
সায়ম্ভুব মনু আসলেন স্বীয় কন্যা দেবাহূতিকে নিয়ে কর্দম ঋষির তপোবনে। নিবেদন করলেন কন্যাকে তাঁর হস্তে সমার্পনের কথা। ঋষি কর্দম এ প্রস্তাবে সম্মত হলেন দেবাহূতীকে বিবাহের। কিন্তু একটি শর্ত দিলেন। শর্তটি এই-যতদিন পর্যন্ত সন্তান উৎপন্ন না হবে ততদিনই আমি গ্রাহস্থ্য ধর্মানুসারে এঁর সঙ্গে থাকব। তারপর শ্রীভগবানের উপদিষ্ট সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করবো। কর্দম ঋষির প্রস্তাবটির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে সনাতন ধর্মের “পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা”। সন্তান উৎপাদনের জন্যই স্ত্রীসংগ করা যাবে। এর বেশী নয়। স্ত্রী ভোগের বস্তু নয়। সায়ম্ভুব মনু ঋষি কর্দমের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে কন্যাকে উপযুক্ত পাত্রের সঙ্গে বিবাহ দিলেন।
তারপর ভগবান মনু বর্হিষ্মতী পুরীতে পতœী ও সন্তান সন্ততিদের নিয়ে ধর্মের অনুকুলে বস্তুসকল ভোগ করে অনাসক্ত চিত্তে সংসার যাপন করতে লাগলেন এবং সতত হরিকথা শ্রবণ মননে ডুবে থাকতেন। অতপর ভগবতী পার্বতী যেভাবে দেবাদিদেব মহাদেবের সেবা করেছিলেন সেইভাবে সাধ্বী দেবাহূতি প্রতিদিন প্রীতিসহকারে ঋষি কর্দমের সেবা করতে লাগলেন। সেবাপরায়ানা দেবাহূতীর মধ্যে যে দৈবী গুনগুলো প্রকটিত ছিল তা হলো পবিত্রতা, বিশ্বাস, গৌরভ, সংযম, শুশ্র“ষা, প্রেম ও মধুর ভাষন। ঋষি কর্দম তাঁর সেবা পরায়ানতায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে দিব্যবিভূতি সমূহে অধিকার দান করলেন। দেবাহূতির গর্ভের সঞ্চার হলো। একে একে নয়টি কন্যা সন্তান জন্ম হলো। এরপর কর্দম সন্ন্যাস আশ্রম অবলম্বন করতে চাইলে সাধ্বী দেবাহূতি নিবেদন করলেন এই কন্যারতœ সমূহকে সৎপাত্রে দান করতে হবে। আপনি চলে গেলে আমি অসহায় নারী কি করবো ?
সর্বগুন সম্পন্না দেবাহূতী একদিন স্বামীর চরণতলে বসে অশ্র“সিক্ত নয়নে বলতে লাগলেন, হে ভাগবোত্তম ! আপনার মত স্বামী পেয়ে আমি ধন্য হয়েছি। সন্তান লাভ করে কৃতার্থ হয়েছি। কিন্তু মনে বড় সাধ ভগবানকে পাওয়ার। বিনয় বাক্য শ্রবনে মহর্ষি কর্দম দয়াদ্রচিত্তে দেবাহূতিকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, হে সতি ! তুমি দুঃখ করোনা। পরম পুরুষ ভগবান বিষ্ণু শ্রীঘ্রই তোমার গর্ভে আবির্ভূত হবেন। শ্রীমদ্ভাগবতে এই ভাবে শ্লোকটি আছে,
মা খিদো রাজপুত্রীত্থামাত্মানং প্রত্যনিন্দিতে।
ভগবাংস্তেহরো গর্ভমদূরাৎ সম্প্রপৎস্যতে।
০৩/২৪/০২
হে অনিন্দিতা রাজকন্যা ! তুমি এরকম দুঃখ করোনা, পরমপুরুষ ভগবান বিষ্ণু শীঘ্রই তোমার গর্ভে আবির্ভূত হবেন।
ভগবান তাঁর ভক্তের বাঞ্চা পূরণ করেন। ভক্তের আজ্ঞা পালন করেন। এরকম শত শত কাহীনিতে উজ্জ্বল হয়েছে আমার বিভিন্ন শাস্ত্র গ্রন্থ। ঋষি কর্দমের বাক্য পূরণ হলো। ভগবান কপিল দেব দেবাহূতির পূন্য গর্ভকে আশ্র্র্রয় করে ধরাধামে অবতীর্ণ হলেন।
ভগবানকে পাওয়ার জন্য দেবাহূতিকে হাজার বৎসর তপস্যা করতে হয়নি, যেতে হয়নি জঙ্গলে। নিজ অঙ্কোপরি তিনি লাভ করলেন ভগবানকে। যুগে যুগে ভগবান আসেন মাতৃগর্ভ আশ্রয় করে। মাতৃজাতির কাছে ইহা এক বিস্ময়কর সংবাদ। এমনি মাতা দেবকী, যশোদা, এমনি মাতা শচীমা। তাইতো আমরা পেয়েছি পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে, পেয়েছি কলিপাবনাবতার শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যকে। মায়ের বাৎসল্যরস আস্বাদনে ভগবানের লুলুপতা। তাই তিনি শিশু হয়ে আসেন মাতৃক্রোড়ে। এ যে আনন্দময়ের আনন্দলীলা।
শ্রীমদ্ভাগবতম অবলম্বনে এই গল্পের মধ্যে ফুটে উঠেছে আদর্শ গ্রাহার্¯’্যশ্রমের সুন্দর চিত্রপট। ইহাই আমাদের ঋষিদের দেখিয়ে যাওয়া আদর্শ। এই আদর্শ আজ হারিয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে। এই আদর্শকে আকড়িয়ে ধরতে হবে। নতুবা সভ্যতা বিপন্ন হবে।
আসুন আমরা সকলে আন্তরিকভাবে মাতৃজাগরণ সাধনায় ব্রতী হই। পুরুষকেও নিতে হবে শাস্ত্রের নিরিখে উপযুক্ত ভ’মিকা। দুটি ডানায় ভর করে পাখি উড়ে। সভ্যতার ক্রমবিকাশে এক ডানা পুরুষ আর এক ডানা নারী। তাই উভয়ের সদ্ভাবনায় সমাজ হোক আলোকিত। এই আলোকিত সমাজে আসবে আলোকিত মানুষ। পৃথিবী হবে সুন্দর, হাসবে সভ্যতা ধন্য হবেন ধরিত্রী। পরিশেষে শ্রী শ্রী চন্ডীর একটি শ্লোক উচ্চারণ করেই প্রবন্ধের সমাপ্তি টানছি।
যা দেবী সর্বভূতেষূ মাতৃরূপেন সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ॥
সকল প্রাণীকে মাতৃ ভাবনায় শ্রদ্ধা দিতে পারে নারীর উপযুক্ত সম্মান ও একটি সুস্থ মানব সমাজ।
সেই কাঙ্খিত সুন্দর মানব সমাজের অপো পথ চেয়ে রইলাম। জয় জগদ্বন্ধু হরি ॥
লেখক
শ্রীচৈতন্য গবেষনা কেন্দ্র
0 comments:
Post a Comment