নিবেদন মন্ত্র
গুরু বীজঃ- ঐঁং শ্রীগুরু দেবায় নম ঃ৩বার জপ
গৌর বীজঃ-কীঁং শ্রীঁং হ্রীঁং শ্রী গৌরাঙ্গ দেবায় নম -৩বার
যোগলবীজঃ কীঁং রাধা কৃষ্ণায় নমঃ ৩বার (শিা মন্ত্রি ভক্ত গন অবশ্যই বীজ মন্ত্রে নিবেদন করিবেন)
* (মন্দিরে) আসনে উপবেশন করেঃ - শ্রীগুরু দেবের সেবা কার্যে সহায়তা করবার অনুমতি ভিা করে এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূর ও শ্রীকৃষ্ণের আশির্বাদ ভিা করে নিম্নের প্রার্থনা মন্ত্র গুলি  ঘন্টা ধ্বনি সহকারে তিনবার উচ্চারণ করতে হয়। মনে রাখতে হবে আমি গোবিন্দ সেবার যোগ্য নই তাই আমি গুরুদেবকে সেবা কার্য্য সহায়তার মাধ্যমে কৃপার্প্রাথী এভাবে দীনতা থাকতে হবে মনে।


১। মন্ত্র ঃ-নমঃ ওঁ বিষ্ণুপাদায় কৃষ্ণ প্রেষ্টায় ভূতলে শ্রীমতে শ্রীলো সুধীর গোস্বামী পাদ্মেন ইতি নামিনে ।
অনুবাদঃ-
    ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অতিব প্রিয়জন এবং তার চরণাশ্রিত আমার গুরুদেব শ্রীলো সুধীর গোস্বামী ব্রজ বাসীর উদ্দেশ্যে আমার ভক্তি প্রণত প্রণাম জানাই ।
২। নমো মহাবদ্যান্যায় কৃষ্ণ প্রেম প্রদায়তে কৃষ্ণায় কৃষ্ণ চৈতন্য নামিনে গৌরত্বিষে নমঃ
অনুবাদঃ- হে মহাবদ্যান্য অবতার। আপানি ভগবান শ্রীকৃষ্ণস্বয়ং শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুরুপে আর্বিভূত হয়েছেন। শ্রীমতি রাধারাণীর গৌরাঙ্গ কান্তি নিয়ে আপনি প্রকোটিত হয়েছেন এবং আপনি উদার ভাবে কৃষ্ণ প্রেম বিতরণ করে চলেছেন। আপনার উদ্দেশ্যে আমরা আমাদের শ্রদ্ধা বনত প্রণতি জ্ঞাপন করি।
৩।  নমো ব্রাহ্মন্যায় দেবায় গো ব্রাহ্মন্যহিতায়চ:।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ
অনুবাদঃ- গুণবান ব্রাহ্মনদের নিত্য পূজ্য ও অতিপ্রিয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে আমি পুন পুন আমার ভক্তি প্রণত প্রণাম জানাই। তিনি গোজাতি ব্রাহ্মনকুল এবং সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মান্ড কল্যাণে নিত্য যুক্ত এবং গাভীকুল ভূমি সম্পদ ও ইন্দ্রিয়াদি হিত সাধন করে থাকেন।
*    অনিবেদিত কোন বস্তুু আহার না করা ভাল।সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
*    চৈতন্য গুরুর (কৃষ্ণ তত্ত্ব বেত্তা) নিকট হইতে আরো জেনে শুনে নিত্য সেবা     পূজা করতে হবে।
*    প্রত্যেক বৈষ্ণবব্রত গুলি অবশ্যই পালন করিতে হইবে সর্ব কাজে আপন     আপন গুরুদেবের মত ও পথ সর্বোচ্চ স্থান পাবে। আশ্বিনের শুকা পীয়া     একাদশিতে নিরলস ব্রত ধারন করিবে। প্রত্যেহ রাত্রির শেষভাগে জাগরণ পূর্বক বিশুদ্ধ হইয়া স্তব করিবে।
*    বৈষ্ণব ধর্ম শ্রবণ কীত্তর্ন পূর্বক বৈষ্ণবগণ সহ সানন্দে সংগীতাদি করিয়া     প্রভাত সময়ে ভগবানের আরতি করিবে। (স্বর গৌরাঙ্গ ভজ গৌরাঙ্গ লহ     গৌরাঙ্গেও নাম রে যে জন গৌরাঙ্গ ভজে সে হয় আমার প্রাণরে ।এই গান     কীর্ত্তন করা যায়)।
*    তৎপর নদী প্রভৃতিতে গমণ পূর্বক আচমনান্তে সংকল্প করিয়া প্রভূ সকাশে     প্রার্থনা ও বিধানে অর্ঘ্য সমর্পন করিবে ।

1 comments: