গোপীপ্রেম Part - 1
শ্রীগুরু কৃপাহি কেবলমঃ
জয় নিতাই গৌর হরিবল।
* অনেকের মনে প্রশ্ন আসে ঃ
ব্রজের মর্ম বিদারী বিরহের কথা শুনিয়া আমাদের লাভ কি? লাভ বিস্তর। আমরা জীব মাত্রে সকলেই কৃষ্ণ হারা। এই কৃষ্ণ হারা বেদনা আমাদের হৃদয়ে জাগে না। ভোগ বাসনার চাপে উহা স্তব্ধ আছে। ব্রজজনের তীব্র বিরহের কথা শুনিতে শুনিতে ধ্যান করিতে করিতে আমাদের হৃদয়ে কৃষ্ণ বিরহ বেদনা জাগিয়া উঠিতে পারে। যদি জাগে আমরা ধন্য হইয়া যাইব। ঐ বেদনাই কৃষ্ণ প্রাপ্তি করাইয়া দিতে পারে। আর কেহ পার
না। ব্যাদনাই ব্যাকুলতা জাগায়। ব্যাকুলতাই প্রাপ্তি ঘটায়। মহা মহিম ডাঃ মহানামব্রত বৃহ্মচারী জীর উদ্ভব সন্দেশ গ্রন্থে আমরা পড়িয়াছি ব্রজ বাসীগণের শ্রীকৃষ্ণ বিরহের কথা শ্রীকৃষ্ণের কুল্লতাত ভাগের আত্মজ শ্রীমান উদ্ভবের কথা। সুতীব্র বিরহ বেদনায় ভরা শ্রীনন্দ রাজার হৃদয়ের কথা। শ্রী রাধা শ্রী কৃষ্ণের বিরহে উম্মাদনার কথা। উক্ত গ্রন্থে ভগবানের পূর্নাঙ্গ আধ্যাতিক সম্বন্ধের অনেক আধ্যাতিক কথা ব্রহ্মচারী জীর শ্রীহস্তে লিখিত হইয়াছে। তন্মধ্যে শ্রী রাধার কিছু কথা আমরা সংগ্রহ করিয়াছি।
গোপিকাগণ বলিতেছে হাঁ উদ্ভব তোমাকে চিনিলাম তুমি যদুপতির লোক। আচ্ছা তোমাকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করি। এই মূল্যবান বেশ ভূষার কি তুমি নিজেই সাজিয়া আসিয়াছ অথবা তোমার প্রভু (কৃষ্ণ) এই বন-বাসিনী কাঙ্গালিনীদিগকে তার ঐশ্বর্য্য দেখাইবার জন্য নিজেই তোমাকে সাজাইয়া গোছাইয়া পাঠাইয়া দিয়াছেন? এই গরু চরাবার মাঠে রাজ পুরুষদের কোন প্রয়োজন থাকিতে পারে না। অন্যদিগকে খবর দিবার জন্য পাঠাইয়াছে তাহা বিশ্বাস করি না তাঁর সহিত কোন সম্বন্ধ নাই বা ছিল না। হ্যাঁ ছিল বঠে একটি সম্বন্ধ প্রীতির সম্বন্ধ- যা স্বীকৃতিতেই বাচে, অস্বীকৃতিতে মরিয়া যায়। তবে হ্যাঁ সবকিছু অস্বীকার করলেও পিতা মাতা ব্রজ রাজ ব্রজেশ্বরীর সঙ্গে সম্বন্ধ অস্বীকার করিতে পারিবে না কিছুতেই। নন্দ যশোমতির স্নেহের অনুবন্ধদুস্তজ। তাই মধুপতি তোমাকে পাঠাইয়াছে। তাবেশ ভাল কথা মনে বড় খেদ হয় ভাবিতে যে কাঙ্গালের ছেলে যদি ভাগ্য বশতঃ রাজপদবী লাভ করে তাহা হইলে কাঙ্গাল পিতা মাতার পুত্রকৃত এইরুপ অবমাননা লাভ করিতে হয়।
তোমার এই ভূষণ বসন পরাইয়া দিয়াছেন পিতা মাতাকে দেখাইবার জন্য ? এরূপ অনেক কথা। বিরহ বেদনায় ঘনায়িত বিগ্রহ দেবী গোকুল পতির বিচ্ছেদ সন্তাপে ভাবছেন এ ব্যর্থ জীবন এখনই ত্যাগ করিব। ললিতা বলিলেন রাধে দেহ ত্যাগ করিলে কি কৃষ্ণ পাবি ? রাধা- আমি পৌর্ণ মাসী দেবির মুখে শুনিয়াছি মানুষ যে সংকল্প করিয়া দেহত্যাগ করে মৃত্যুর পর সে সেই গতি লাভ করে। তাই আমি কৃষ্ণ পাবার সংকল্প নিয়ে দেহত্যাগ করিলে মরিয়াও কৃষ্ণ পাব। ণকাল নীরব রহিয়া শ্রীমতি আবার প্রলাপ বলিতেছেন- না আমার তো মরা হয় না মরনে বড় বাধা- তিনি আবার আসিবেন এই শ্রীমুখের উক্তি। হঠাৎ আকাশের দিগে চাইলেন শ্রী রাধা দেখিলেন গগণে একটা কাক উড়িতেছে সে মথুবার অভিমুখে চলিয়াছে দেখিয়া তাহাকে ল করিয়া বলিতে লাগিলেন শোন হে বায়স তুমি মথুরায় চলিয়াছ একটি কথা শুনিয়া যাও- বৃন্দাবন হইতে বাহির হইয়া আর কোন দিকে না গিয়া বরাবর চলিয়া যাও মধুুপুরিতে। সেখানকার রাজাকে প্রনাম করিয়া কহিবে আমার কথা কোন গৃহে যদি আগুন লাগে তবে মানুষের প্রথম কর্তব্য কোন গৃহ পালিত পশু থাকিলে দরজা খুলিয়া তাহাকে ছাড়িয়া দেওয়া। আমার এই দেহ গৃহে প্রবল আগুন লাগিয়াছে সেই লাগাইয়াছে এই আগুন। তাঁহারে বলিও আমার প্রান পশুটা বাহির হইতে পারিতেছে না। না পারার কারন এই দরজায় অর্গল আটা আছে। তাহাকে বলিও অর্গল জেন খুলিয়া দিয়া যান। যদি জানিতে চাহেন অর্গল কি ? বলিও অর্গল জেন খুলিয়া দিয়া যান। যদি জানিতে চাহেন অর্গল কি? বলিও “আবার আসিব” এই আশার বানীই অর্গল। যমুনা তটিনী কুলে কেলিকদম্বের মুলে
মোরে লয়ে চলোহ ত্বরায়
অন্তিমের বন্ধু হয়ে যমুনা মৃত্তিকা লয়ে,
সখী মোর লিপ সর্ব গায় ॥
শ্যাম নাম তদুপরি লিখ সব সহচরী
তুলসী মঞ্জুরী দিও তায়।
আমারে বেষ্টন করি বল সবে হরি হরি ,
যখন পরান বাহরায় ॥ PART 2 NEXT PAGE......................READ MORE
শ্রীগুরু কৃপাহি কেবলমঃ
জয় নিতাই গৌর হরিবল।
* অনেকের মনে প্রশ্ন আসে ঃ
ব্রজের মর্ম বিদারী বিরহের কথা শুনিয়া আমাদের লাভ কি? লাভ বিস্তর। আমরা জীব মাত্রে সকলেই কৃষ্ণ হারা। এই কৃষ্ণ হারা বেদনা আমাদের হৃদয়ে জাগে না। ভোগ বাসনার চাপে উহা স্তব্ধ আছে। ব্রজজনের তীব্র বিরহের কথা শুনিতে শুনিতে ধ্যান করিতে করিতে আমাদের হৃদয়ে কৃষ্ণ বিরহ বেদনা জাগিয়া উঠিতে পারে। যদি জাগে আমরা ধন্য হইয়া যাইব। ঐ বেদনাই কৃষ্ণ প্রাপ্তি করাইয়া দিতে পারে। আর কেহ পার
না। ব্যাদনাই ব্যাকুলতা জাগায়। ব্যাকুলতাই প্রাপ্তি ঘটায়। মহা মহিম ডাঃ মহানামব্রত বৃহ্মচারী জীর উদ্ভব সন্দেশ গ্রন্থে আমরা পড়িয়াছি ব্রজ বাসীগণের শ্রীকৃষ্ণ বিরহের কথা শ্রীকৃষ্ণের কুল্লতাত ভাগের আত্মজ শ্রীমান উদ্ভবের কথা। সুতীব্র বিরহ বেদনায় ভরা শ্রীনন্দ রাজার হৃদয়ের কথা। শ্রী রাধা শ্রী কৃষ্ণের বিরহে উম্মাদনার কথা। উক্ত গ্রন্থে ভগবানের পূর্নাঙ্গ আধ্যাতিক সম্বন্ধের অনেক আধ্যাতিক কথা ব্রহ্মচারী জীর শ্রীহস্তে লিখিত হইয়াছে। তন্মধ্যে শ্রী রাধার কিছু কথা আমরা সংগ্রহ করিয়াছি।
গোপিকাগণ বলিতেছে হাঁ উদ্ভব তোমাকে চিনিলাম তুমি যদুপতির লোক। আচ্ছা তোমাকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করি। এই মূল্যবান বেশ ভূষার কি তুমি নিজেই সাজিয়া আসিয়াছ অথবা তোমার প্রভু (কৃষ্ণ) এই বন-বাসিনী কাঙ্গালিনীদিগকে তার ঐশ্বর্য্য দেখাইবার জন্য নিজেই তোমাকে সাজাইয়া গোছাইয়া পাঠাইয়া দিয়াছেন? এই গরু চরাবার মাঠে রাজ পুরুষদের কোন প্রয়োজন থাকিতে পারে না। অন্যদিগকে খবর দিবার জন্য পাঠাইয়াছে তাহা বিশ্বাস করি না তাঁর সহিত কোন সম্বন্ধ নাই বা ছিল না। হ্যাঁ ছিল বঠে একটি সম্বন্ধ প্রীতির সম্বন্ধ- যা স্বীকৃতিতেই বাচে, অস্বীকৃতিতে মরিয়া যায়। তবে হ্যাঁ সবকিছু অস্বীকার করলেও পিতা মাতা ব্রজ রাজ ব্রজেশ্বরীর সঙ্গে সম্বন্ধ অস্বীকার করিতে পারিবে না কিছুতেই। নন্দ যশোমতির স্নেহের অনুবন্ধদুস্তজ। তাই মধুপতি তোমাকে পাঠাইয়াছে। তাবেশ ভাল কথা মনে বড় খেদ হয় ভাবিতে যে কাঙ্গালের ছেলে যদি ভাগ্য বশতঃ রাজপদবী লাভ করে তাহা হইলে কাঙ্গাল পিতা মাতার পুত্রকৃত এইরুপ অবমাননা লাভ করিতে হয়।
তোমার এই ভূষণ বসন পরাইয়া দিয়াছেন পিতা মাতাকে দেখাইবার জন্য ? এরূপ অনেক কথা। বিরহ বেদনায় ঘনায়িত বিগ্রহ দেবী গোকুল পতির বিচ্ছেদ সন্তাপে ভাবছেন এ ব্যর্থ জীবন এখনই ত্যাগ করিব। ললিতা বলিলেন রাধে দেহ ত্যাগ করিলে কি কৃষ্ণ পাবি ? রাধা- আমি পৌর্ণ মাসী দেবির মুখে শুনিয়াছি মানুষ যে সংকল্প করিয়া দেহত্যাগ করে মৃত্যুর পর সে সেই গতি লাভ করে। তাই আমি কৃষ্ণ পাবার সংকল্প নিয়ে দেহত্যাগ করিলে মরিয়াও কৃষ্ণ পাব। ণকাল নীরব রহিয়া শ্রীমতি আবার প্রলাপ বলিতেছেন- না আমার তো মরা হয় না মরনে বড় বাধা- তিনি আবার আসিবেন এই শ্রীমুখের উক্তি। হঠাৎ আকাশের দিগে চাইলেন শ্রী রাধা দেখিলেন গগণে একটা কাক উড়িতেছে সে মথুবার অভিমুখে চলিয়াছে দেখিয়া তাহাকে ল করিয়া বলিতে লাগিলেন শোন হে বায়স তুমি মথুরায় চলিয়াছ একটি কথা শুনিয়া যাও- বৃন্দাবন হইতে বাহির হইয়া আর কোন দিকে না গিয়া বরাবর চলিয়া যাও মধুুপুরিতে। সেখানকার রাজাকে প্রনাম করিয়া কহিবে আমার কথা কোন গৃহে যদি আগুন লাগে তবে মানুষের প্রথম কর্তব্য কোন গৃহ পালিত পশু থাকিলে দরজা খুলিয়া তাহাকে ছাড়িয়া দেওয়া। আমার এই দেহ গৃহে প্রবল আগুন লাগিয়াছে সেই লাগাইয়াছে এই আগুন। তাঁহারে বলিও আমার প্রান পশুটা বাহির হইতে পারিতেছে না। না পারার কারন এই দরজায় অর্গল আটা আছে। তাহাকে বলিও অর্গল জেন খুলিয়া দিয়া যান। যদি জানিতে চাহেন অর্গল কি ? বলিও অর্গল জেন খুলিয়া দিয়া যান। যদি জানিতে চাহেন অর্গল কি? বলিও “আবার আসিব” এই আশার বানীই অর্গল। যমুনা তটিনী কুলে কেলিকদম্বের মুলে
মোরে লয়ে চলোহ ত্বরায়
অন্তিমের বন্ধু হয়ে যমুনা মৃত্তিকা লয়ে,
সখী মোর লিপ সর্ব গায় ॥
শ্যাম নাম তদুপরি লিখ সব সহচরী
তুলসী মঞ্জুরী দিও তায়।
আমারে বেষ্টন করি বল সবে হরি হরি ,
যখন পরান বাহরায় ॥ PART 2 NEXT PAGE......................READ MORE
0 comments:
Post a Comment