মালাতত্ত
মালে মা ধাতুরুদ্দিষ্ট লা দানে হরি ভল্লাভে,
ভক্তে ভ্যশ্চ সমস্তভ্যস্তেন মালা র্নিগন্যসে।॥
(তথাহি স্কন্ধপুরানে)
মা শব্দে অভিষ্টফল মক্তিকে বুঝায়। লা শব্দেতে দান করা দাতা ধরাযায়, অতএব মালা অর্থে বুঝায় সন্ধান সর্বাভীষ্ট ফল দাতা সেই ভগবান।
তুলসী মালার মাহাত্ম
তুলসী কাষ্ট মালঞ্চ কন্ঠস্থ বহতে ভয়ঃ।
অপমৌচাহ্য নাচারো মানঃ শুচিরেব।
(তদাহী হরিভক্তি বিলাসৌ)
* অপবিত্র অনাচারে হয়ে যেই জন।
তুলসীর মালা কণ্ঠে করয়ে ধারন ॥
দেহস্থিত পাপ তার কভু নাহি রয়।
অশুচি হইবে শুচি শাস্ত্রে হইলে য় ॥
* তুলসীর মালা কণ্ঠে থাকয়ে যাহার।
দৈত্যনিসুদন হরি হরে পাপ তার ॥
তুলসীর মালা থাকে বাহু কিংবা শীরে।
যোজনের পথে থাকি কৃষ্ণ তারে হেরে ॥
অশৌচ কি প্রায়শ্চিত্ত নাহি তার দেহে ।
সমনের ভয় তার সদা দূরে রহে ॥
কণ্ঠে তুলসীর মালা করিয়া ধারন।
দৈব কিংবা পিতৃকার্য করে সম্পাদন ॥
যমরাজ ভয় তার না রয় কখন।
আপনি করেন কৃপা দেব নারায়ন ॥
রোপন লেপন আর দর্শন ষ্পর্শন।
ধেয়ান প্রণাম আর শ্রবণ কীর্ত্তণ ॥
পূজন সহিতে করে নববিধা ভক্তি।
পুর্নজন্ম নাহি তার অবশ্যই মুক্তি ॥
* পঞ্চঅঙ্গে তিলক বিধি *
ললাটে যোগলমুর্তি নাসায় গোবিন্দ।
গোপিনাথ কণ্ঠস্থানে করহে আনন্দ ॥
মদন গোপাল বাহুদ্বয়ে বে গিরিধারী।
পঞ্চ ফোটা পঞ্চস্থানে দিবে শারী শারী ॥
এই মত পঞ্চফোটা তিলক রচিবে।
হস্তদৌত তিলক সব মস্তকে মুছিবে ॥
* পঞ্চফোটা তিলক তত্ব *
ললাট উপরে কৃষ্ণ ঔংকারেতে স্থিতি।
কন্ঠে হাদিনী রাধা বাসিয়াছেন নীতি ॥
দনি বাহুতে বলরাম অধিষ্ঠান।
বাম বাহুতে শ্রীকৃষ্ণের করিবেক ধ্যান ॥
বঃস্থলে শ্রীরুপ মঞ্জুরী স্থিতি জান।
পঞ্চফোটা এই তত্বে দিবে সাধুগণ ॥
ব্রহ্ম বৈবর্তে নারদ শিায় আছয়ে লিখন।
সেই মতে এই গ্রন্থে হরিনু বর্ণন ॥
* পঞ্চ ফোটার তিলক মন্ত্র *
ললাটে = যুগল মুর্ত্তিয়ৈ নমঃ নাসিকায় = গোবিন্দায় নম ঃ
কণ্ঠমূলে = গোপিনাথায় নমঃ বাহুদ্বয়ে = মদন গোপাল নম ঃ
বে = গিরিধারী নম ॥
* জপ মালা *
একশত আটটি (১০৮) মালা সব একবার জপ হইলে এক ফেরা হয়। চারী (৪) ফেরায় এক গ্রন্থি হয়। ষোল (১৬) গ্রন্থিতে রনাল জপ হয়। আপন গুরদেবের মতানুসারে জপ করিবেন ॥
* মালা জপ মন্ত্র *
অবিগ্ন কুরু মালে ত্বং হরিনাম জপেষুচ।
শ্রীরাধা কৃষ্ণ যোদষ্য দেহী মালে তু প্রাপ্ত প্রার্থয়ে ॥
নাম চিন্তামনি রুপং নাদেব পরমাগতি।
নাম পরতরং নাস্তি তস্মান্নাম উপ্যাস্যহে ॥
* জপ সমাপন মন্ত্র *
নামোঃ গুহ্যজাতি গুহ্য গোপ্তা ত্বং গৃহানাস্মাৎ কৃতংজপং।
সিন্ধি ভবতু এবং ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দ্দন ॥
অর্থ ঃ হে পরম দেব পর অভিষ্ঠ পরমপ্রিয় শ্রীকৃষ্ণ তুমি গুহ্য ও অতি গুহ্য বস্তুকে রা কর। এমএব আমার এই নাম জপ তুমি গ্রহন কর। হে দেব তোমার প্রসাদে আমার সর্বসিন্ধ লাভ।
* মা প্রার্থনা *
নমো যদরং পরিভ্রস্টং মাত্রা হিনঞ্চ যদ ভবেৎ।
পূর্নং ভবতু তৎ সর্বং ত্বৎ প্রসাদাত জনার্দ্দন ॥
অর্থ ঃ আমার উক্ত কার্যে যদি কোন অর বাদ যাইয়া থাকে বা মাত্রা বিবর্তিত থাকে হে ভগবান তোমার অনুগ্রহে তা পূর্নত্ব প্রাপ্ত হউক।
* শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভুর নিকট মা প্রার্থনা *
সংসার দুঃখ জলধৌ পতিতস্য কাম,
ক্রোধাদি নক্র মকরৌঃ কবলী কৃতস্য।
দুর্বাসনা নিগড়ি তস্য নিরাশ্রয়স্য।
তৈতন্যচন্দ্র মম দেহী পদাবলম্বং ॥
অর্থ ঃ হে চৈতন্যদেব সংসার দুঃখ সমুদ্রে পতিত কাম, ক্রোদ, রুপ, হাঙ্গার কুম্ভির প্রভূতির দ্বারা কবলিত দূর্বাসানা রোগ শৃঙ্খলেবব্ধএই নিরাশ্রয় জনকে ভবদীয় শ্রী চরণে আশ্রয় প্রদান করুন।
মালে মা ধাতুরুদ্দিষ্ট লা দানে হরি ভল্লাভে,
ভক্তে ভ্যশ্চ সমস্তভ্যস্তেন মালা র্নিগন্যসে।॥
(তথাহি স্কন্ধপুরানে)
মা শব্দে অভিষ্টফল মক্তিকে বুঝায়। লা শব্দেতে দান করা দাতা ধরাযায়, অতএব মালা অর্থে বুঝায় সন্ধান সর্বাভীষ্ট ফল দাতা সেই ভগবান।
তুলসী মালার মাহাত্ম
তুলসী কাষ্ট মালঞ্চ কন্ঠস্থ বহতে ভয়ঃ।
অপমৌচাহ্য নাচারো মানঃ শুচিরেব।
(তদাহী হরিভক্তি বিলাসৌ)
* অপবিত্র অনাচারে হয়ে যেই জন।
তুলসীর মালা কণ্ঠে করয়ে ধারন ॥
দেহস্থিত পাপ তার কভু নাহি রয়।
অশুচি হইবে শুচি শাস্ত্রে হইলে য় ॥
* তুলসীর মালা কণ্ঠে থাকয়ে যাহার।
দৈত্যনিসুদন হরি হরে পাপ তার ॥
তুলসীর মালা থাকে বাহু কিংবা শীরে।
যোজনের পথে থাকি কৃষ্ণ তারে হেরে ॥
অশৌচ কি প্রায়শ্চিত্ত নাহি তার দেহে ।
সমনের ভয় তার সদা দূরে রহে ॥
কণ্ঠে তুলসীর মালা করিয়া ধারন।
দৈব কিংবা পিতৃকার্য করে সম্পাদন ॥
যমরাজ ভয় তার না রয় কখন।
আপনি করেন কৃপা দেব নারায়ন ॥
রোপন লেপন আর দর্শন ষ্পর্শন।
ধেয়ান প্রণাম আর শ্রবণ কীর্ত্তণ ॥
পূজন সহিতে করে নববিধা ভক্তি।
পুর্নজন্ম নাহি তার অবশ্যই মুক্তি ॥
* পঞ্চঅঙ্গে তিলক বিধি *
ললাটে যোগলমুর্তি নাসায় গোবিন্দ।
গোপিনাথ কণ্ঠস্থানে করহে আনন্দ ॥
মদন গোপাল বাহুদ্বয়ে বে গিরিধারী।
পঞ্চ ফোটা পঞ্চস্থানে দিবে শারী শারী ॥
এই মত পঞ্চফোটা তিলক রচিবে।
হস্তদৌত তিলক সব মস্তকে মুছিবে ॥
* পঞ্চফোটা তিলক তত্ব *
ললাট উপরে কৃষ্ণ ঔংকারেতে স্থিতি।
কন্ঠে হাদিনী রাধা বাসিয়াছেন নীতি ॥
দনি বাহুতে বলরাম অধিষ্ঠান।
বাম বাহুতে শ্রীকৃষ্ণের করিবেক ধ্যান ॥
বঃস্থলে শ্রীরুপ মঞ্জুরী স্থিতি জান।
পঞ্চফোটা এই তত্বে দিবে সাধুগণ ॥
ব্রহ্ম বৈবর্তে নারদ শিায় আছয়ে লিখন।
সেই মতে এই গ্রন্থে হরিনু বর্ণন ॥
* পঞ্চ ফোটার তিলক মন্ত্র *
ললাটে = যুগল মুর্ত্তিয়ৈ নমঃ নাসিকায় = গোবিন্দায় নম ঃ
কণ্ঠমূলে = গোপিনাথায় নমঃ বাহুদ্বয়ে = মদন গোপাল নম ঃ
বে = গিরিধারী নম ॥
* জপ মালা *
একশত আটটি (১০৮) মালা সব একবার জপ হইলে এক ফেরা হয়। চারী (৪) ফেরায় এক গ্রন্থি হয়। ষোল (১৬) গ্রন্থিতে রনাল জপ হয়। আপন গুরদেবের মতানুসারে জপ করিবেন ॥
* মালা জপ মন্ত্র *
অবিগ্ন কুরু মালে ত্বং হরিনাম জপেষুচ।
শ্রীরাধা কৃষ্ণ যোদষ্য দেহী মালে তু প্রাপ্ত প্রার্থয়ে ॥
নাম চিন্তামনি রুপং নাদেব পরমাগতি।
নাম পরতরং নাস্তি তস্মান্নাম উপ্যাস্যহে ॥
* জপ সমাপন মন্ত্র *
নামোঃ গুহ্যজাতি গুহ্য গোপ্তা ত্বং গৃহানাস্মাৎ কৃতংজপং।
সিন্ধি ভবতু এবং ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দ্দন ॥
অর্থ ঃ হে পরম দেব পর অভিষ্ঠ পরমপ্রিয় শ্রীকৃষ্ণ তুমি গুহ্য ও অতি গুহ্য বস্তুকে রা কর। এমএব আমার এই নাম জপ তুমি গ্রহন কর। হে দেব তোমার প্রসাদে আমার সর্বসিন্ধ লাভ।
* মা প্রার্থনা *
নমো যদরং পরিভ্রস্টং মাত্রা হিনঞ্চ যদ ভবেৎ।
পূর্নং ভবতু তৎ সর্বং ত্বৎ প্রসাদাত জনার্দ্দন ॥
অর্থ ঃ আমার উক্ত কার্যে যদি কোন অর বাদ যাইয়া থাকে বা মাত্রা বিবর্তিত থাকে হে ভগবান তোমার অনুগ্রহে তা পূর্নত্ব প্রাপ্ত হউক।
* শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভুর নিকট মা প্রার্থনা *
সংসার দুঃখ জলধৌ পতিতস্য কাম,
ক্রোধাদি নক্র মকরৌঃ কবলী কৃতস্য।
দুর্বাসনা নিগড়ি তস্য নিরাশ্রয়স্য।
তৈতন্যচন্দ্র মম দেহী পদাবলম্বং ॥
অর্থ ঃ হে চৈতন্যদেব সংসার দুঃখ সমুদ্রে পতিত কাম, ক্রোদ, রুপ, হাঙ্গার কুম্ভির প্রভূতির দ্বারা কবলিত দূর্বাসানা রোগ শৃঙ্খলেবব্ধএই নিরাশ্রয় জনকে ভবদীয় শ্রী চরণে আশ্রয় প্রদান করুন।
0 comments:
Post a Comment