কলি যোগের কথা - Part - 1
“শ্রীগুরু কৃপাহি কেবলম্”
“জয় নিতাই, গৌর হরিবল”
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পান্ডবলীলা সমাপন করে বলেতেছে পঞ্চ ভাই এবার স্বর্গে আরোহন কর আমি দেহ রাখিবার সময় হয়েছে “কলিযুগে আগত তাই পাপেতে পরিপূর্ণ হবে এই বসুন্ধরা আনিত্য সংসার আর কতদিন রবে। কলি অধিকারে +++ কত কষ্ট ===। কলি কথা শুনি কহে যুধিষ্টির রাজন। কহ শুনি দয়াময় সে কলি কেমন । কলির রূপ কি কি মুর্ত্তি ধারণ করবে কলি। কলির কথা শুনে আমার ভয় হইতেছে তাই প্রকাশ করে বলুন কলির রাজা কি রূপ তার রাজত্বই বাকি রূপ কোন ধর্মইবা আচরণ করিবে বলী।
তাই প্রকাশিয়া বলুন শুনিতে ইচ্ছা হয় যদি কৃপা করে আপনি বলেন। কৃষ্ণ বলেন শুন যুধিষ্টির রাজন। কহিব কলির কথা করহ শ্রবণ। সত্য ত্রেতা দ্বাপর এই তিন যুগে রাজা প্রজা সকলেই সত্যবাদী ছিল। পশুপী, বাঘ হাতী ভূচর চলচর, সকলে ছিলে ধর্মপথে সত্যবাদী। কাম্য বনে এক শৃগাল বাস করত চিত্রসেন নামে রাজা সেই বনে শীকারে গিয়ে অজাগর নামের এক সর্পতার মাথার মনি রেখে আহারের জন্য চলে গেছে। মানিক দেখে রাজার লোভ হয়েছে তাই আনতে গিয়ে দেখে ঐ শৃগালটি বসে আছে। রাজা বলেন শৃগাল আমি মানিকটি নিয়ে যাই তুমি কাহাকে বলিও না তোমাকে যতদিন বেছে থাকার খাদ্য, মাংস আহার দেব। তবুও শৃগাল ... ইত্যাদি। মিত্যা কথা মোরে কেন বলহ কহিতে ! পূর্ব জন্মে কত আমি হয়ে মিথ্যাবাদী । সে পাপে নরক ভোগ করি নিরবধি !! ...........!! এই শৃগালারেমত ধার্মিক কলিতে থাকবে না। রাজাও প্রজার প্রতি অবিচার করবে’ স্বধর্মেত কেহই থাকবেনা। পরধ্যন পরপ্রেিত সাদা মন থাকবে। দাতায়ে অদাতা হবে হাড়ি কল্পতরু তুচ্ছ উচ্ছপদ পাবে নাপিত হবে গুরু !! তাই সামান্য এই রাজপদ ত্যাগকরে এই বলিয়া পঞ্চ পন্ডবকে কোল দিলেন নিম্ববৃরে তলেবসে নীল ব্যাধের আমির আগাতে দেহ রাখলে শ্রীকৃষ্ণ। পঞ্চ পান্ডব মিলে সৎকার্য্য করলেন!! পান্ডব লীলা সমাপন। তারপরে পাপপ্রান্ত জীবেরে নাশিতে দয়াময়। নদীয়াতে শচীর জীবে জন্ম লয় !! শচীর স্তনপান হেতু নানাধি কারণ স্তনপান কৈল হরি হরিনাম গ্রহন । আর অনেক কথা আলোচনা করবেন। জগাই মাধারাই কথা আলোচনা হবে। এতক শুনিয়া তবে জগাই মাধাই হরিনাম কর্ণে তারা নিল দুই ভাই। পরে হরিদাসকে নাম দিতে আদেশ দিলেন গ্রামে গ্রামে গিয়া হরিদাসনাম দিবেন। অনেক আলোচনার পর হরিদাসকে বলতেছে। হরিনাম লাই বারে আছে এই বেদ। তৈল মৎস্য নারি সঙ্গ করিতে নিষেধ। এতে শুনি বলেয়ত নরনারিগন কি কথা বলিলি ওরে মূর্খ অভাজন। তুই মূর্খ জানিসনা পাপি দুরাচারী সংসারে প্রধান সুখ তৈল মৎস্য নারী” ইহা বলি নারিগনে কতগালিে দেয় ! কৌপিন ধরি টানি কেহ ঝুলি কেড়েলয়। কেহ বলে দুর দুর কেনরে এখানে’ হাড়ি ফেলি সারে কেহ টিকি ধরি টানে!! কেহ এসে বলে তোর হরি কি সুশীল। কেহ ধেয়ে গিয়েতার গাড়ে দেয় কিল!! কেহ বলে বেটার কি চৈতনের দৃটা মাথায় রেখেছে যেন তরমুজের বোঁটা নামা বলি কেড়ে লও গিন্নির ভাল হবে। মাঘ মাসে গায় দিয়া গঙ্গাস্থানে যাবে। আরও অনেক বিদ্রপ করেছে তাই’ হরিদাস মহাপ্রভুর মাঝে যে যেভাবে যা হয়েছে সব বললেন। মহাপ্রভু বলে শুনশুন হরিদাস। কৃষ্ণক হইয়া তুমি নাহি জান চাষ !! তুমি এক সাথে তাদের উপর এতভার তুমি তৈল মৎস্য নারি ছাড়বার কথা বলে তাদের বিমুখ করে তুলেছে। চল আমি নিজে গিয়ে হরিনাম দিব। মহাপ্রভু গিয়ে নাম দিলেন। বললে তোমাদের কিছু ছাড়তে হবে না ইত্যাদি!! কিছুতে সন্দেহ নাই সংসারে বিশ্রাম ........ সুখে সদাই তরে হরিনাম। “জয় নিতাই, গৌর হরিবল”
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পান্ডবলীলা সমাপন করে বলেতেছে পঞ্চ ভাই এবার স্বর্গে আরোহন কর আমি দেহ রাখিবার সময় হয়েছে “কলিযুগে আগত তাই পাপেতে পরিপূর্ণ হবে এই বসুন্ধরা আনিত্য সংসার আর কতদিন রবে। কলি অধিকারে +++ কত কষ্ট ===। কলি কথা শুনি কহে যুধিষ্টির রাজন। কহ শুনি দয়াময় সে কলি কেমন । কলির রূপ কি কি মুর্ত্তি ধারণ করবে কলি। কলির কথা শুনে আমার ভয় হইতেছে তাই প্রকাশ করে বলুন কলির রাজা কি রূপ তার রাজত্বই বাকি রূপ কোন ধর্মইবা আচরণ করিবে বলী।
0 comments:
Post a Comment