কলি যোগের কথা - PART -2 -Final
একথা মহাপ্রভু বলিলা যখন’ মহানন্দ হরিনাম লৈল সর্ব্বজন!! নাম বিতরণ করে আসার সময় পথে হরিদাস জিঞ্জাস করেন এই ভাবে সর্বসুখে সুখি হয়ে নাম নিলে কি ফল হবে। মহাপ্রভু বলেন আগে হৃদয়ে হরিনাম প্রবেশ করুক নামের গুনেই বিষয় ভাষনা থেকে মন সরে আসবে তৈল,মৎস্য স্ত্রীসহবাস থেকে এমনি সরে যাবে। হরিনাম মৃতে যার মৃতে মজিরে রসনা’ তার কাছে তুচ্ছ হবে সংসার বাসনা!! বাজিছে মৃদঙ্গ করে তাথৈ তাথৈ! ভঙ্গি করে নাচিছে ভাল গৌর নিতাই!! মহাপ্রভুর নিত্যের সাথে দেবগন সহ পশুপাখি মহিষ গন্ডার বানর হাতি সবাই এমন তারে আনন্দে ভিবোর হয়ে নাচতেছে অন্ধ আতুর নেড়া নেংড়া সবাই আপে করতেছে কীর্তণ শুনে নাচে যাইতে কিন্তু মঞ্জু কহিছে শুন অন্ধ মোর ভাই’ মোর চু তোর পা কীর্ত্তণেতে যাই !! ঘোড়া বলে কানা কে যে শুন দিয়া মন। চু নাই কিসে ভাই দেখিব কীর্ত্তণ!! কানা বলে চোখ গেছে কান আছে ভাই। কানে শুনিবা কেমন গায় গৌর নিতাই। সমুদ্র বলে ধিকয়ে আমার জীবনে। করি দেহে লয়ে যেথে নারিনু কীর্ত্তণে দিবাকর বলে যদি কীর্ত্তণেতে যাই’ জগৎ আধার হবে মনে ভাবি তাই যুগি জোলা গেলয়ত না যায় ঘর্ণন। বাহু তুলি হরি বলে নাচেন থবন!! এমন ভাব দেখে জমরাজ অভিমান এসে মনে মনে ভাবতেছে এয়েকি অবিচার কীর্ত্তন করে আমার অধিকার হয়ে বঞ্চিত করছেন। তাই সে অভিমান করে বসে আছে। চিত্রগুপ্ত কীর্ত্তণে যাবে বলে মেনেছে জমদুত জোর করে আটকাতে যায় পাপিগনকে। পাপিগন বলতেছে আমাদের যেতে দাও কীর্ত্তণ শুনে যে ফল হবে, তার অর্ধেক তুমাকে দিব। এদিকে কীর্ত্তণ মাহায্য দেখি যতেক থবন। দাড়ি ফেলে তার রাখে মাথায় চৈতন যবনেরা সবাই মহাপ্রভুর কাছে মন্ত্র গ্রহন করে প্রায় ৭০০শত ............ উপস্থিত ছিল। তারা বলে হরি সাধনে কোন কষ্ট নাই শুধু মুখে হরিনাম নিলেই হয়। কিন্তু আমাদের হরিসাধনের বহু কাজ। ওজু করা কাজ খোলা পাঁচ ওকত নামাজ বড়ই শক্ত করিতে তিরিশ রোজা দিনেতে অন্ন নাস্তি ুদায় অঙ্গ ভাজা!! তাই দয়া করে আপনি মন্ত্র দিয়া বৈষ্ণব করুণ। হই শুনিয়া মহা প্রভু সফল যবনকে মন্ত্র দিয়ে হরিনাম উচ্ছারন করিয়ে প্রসাদ দিয়ে বৈষ্ণব করলে। যবনে বাদশা প্রাউবাদি হইে ল মহাপ্রভু ফকির বেশে গিয়া বৈষ্ণবের মহিমা দেখাইতেন ( আলোচনা করাযেতে পারে) কুসঙ্গ নামা করে কাশী বাসী হতে আদেশ দিলেন। তাই বলেছেন কাশির অধিক কাশি বৈষ্ণব যথায়’ কাশী তুষ্ট আছে তথা বৈষ্ণব সেবাই!! এদিগে কলিরাজ আসিয়া মহাপ্রভুকে বলতেছে আমাকে আমার রাজ্য অধিকার দাও। আপনি কালীতে হরিনাম বিতরন করে সবাইকে চেতন করেছেন তাই সবাই চৈতন্য পথে গমন করছে। মহাপ্রভু বলেন এব ব্যবস্থা হয়ে তুমি লোভ দেখিয়ে ইত্যাদি আলোচনা কুমন্ত্রনা দিয়া স্বর্ধম ত্যাগ করাইয়া স্বর্ধম ইত্যাদি এই হয় মহাকাল ঘুরকলিকাল এর মত্য তুমিই মহিপাল। প্রথম কলিতে আমি গৌরাঙ্গ অরতার হয়ে জীবকে দর্শণ দিয়েছি। আমাকে দর্শন করে নামের কারণে তাদের শুপথ পেয়েছে। এই পথম কলিতে তোমার এক কষ্ট হবে। এখনও কৃষ্ণকে বিশ্বাস আছে নামেতে চৈতন্য!! গুরু গোবিন্দ অভেদ বৈষ্ণব ভক্তি যার। তার কাছে নাই কলি তব অধিকার।
প্রথম কলিতে কষ্ট সহ্য কর। মহাকলিতে অনেক পরনিন্দা পরছিদ্র ধার্মিক নিন্দুক জন্ম নিয়ে তোমার ভক্ত তারা!! প্রভুর অঞ্জায় করি মহারাজ অেেঙ্গ সুন্তর জামা পরে মাথায় পাগড়ি বেধে ঘাড় হাতে .িদয়ে রাজ পথে বসেছেন। রন্তমালা নামে এক ব্রানের ছেলে তপ তরতে নদীর তীরে যাচ্ছে কলিরাজ বলতেছে একটু ছাড়াও। কথায় বসিততব কি দুঃখ আশ্রিত। কোন দায় ভস্ম গায়ে পাগলের মত। তৈল বিনা শিরে জটা । অঙ্গে উটে খড়ি। অন্য অভাবে গায়ের মাংস হইল দড়ি। আমি ব্রাহ্মন স্বজাতি ধর্ম আমি পালন করি। আমাদের নীতি হলো তপস্যার বেশে থাকি। কলি বলে আমি হই জাতিয় ব্রান। অতি দুঃখে জাতি ধর্ম করেছি বর্জন। (কতোপকতন পরে) কলির বাজার পথা ব্রান রাজি হয়ে চলে গেলেন। পরম সুন্দরী কন্যা দেখে বিবাহ করাইয়া দিল। পরম সুখে দিনাতী পাত করতেছেন। কিন্তু পাপে পরির্পূণ দেহ হয়ে গেছে তাই। ব্রানী এক শুত্রের ছেলের সাথে দ্রষ্টা হইলেন। ব্রান জানতে পেরে সর্তকে থাকিয়া শুদ্র ছেলেটির সাথে নিজ ঘরে ব্রানী মিলামেশ দেখিতে পাইলে তাই রাগান্তীত হয়ে অভিশাপ দিলেন তুই শুদ্র হয়ে ব্রানীর সঙ্গে বিবাহ করেছিস তোর শরিরে সহস্র ভগ হোউক। ব্রানীকে বললেন শাপ দিলাম তুই পাষান হয়ে থাক। এই শাপ যখন ব্রান দিলেন ব্রানী শুনিয়া হাসিয়া হাসিয়া বলেন হেসে হেসে ব্রানী যে বলেন তখন। আর কি সে দিনত আছে তপোধন। যে দিন সুড়ায়ে সাথা পরেছ টোপর। সেদিন গেছে তেজ ওয়ে দ্বিজধর!! দ্বিজ হয়ে হারাইলে নিজ পরাক্রম। কিবা হেতু হতে ছিতীয় গৌতম!! দুঃশালী রমনী দ্বীজ হেরিয়া নয়নে গৌতমের শাপ বুঝি পড়েছে মনে !! লোভে পড়ে তুমি তোমায় ব্রাহ্মন্ত হারিয়েছি। পৈতা পরতে তোমার লজ্জা করে না। যে ব্রাহ্মন কে দেখে রাজা জুড়িতোদুকর সেই ব্রাহ্মম হয়ে আজ তুমি রাজার চাকর !! আরীআর কি বলব তুমি আমার স্বামী ব্রহ্ম ধর্ম ছাড়িয়া তুমি পাষন্ড হয়েছে আরও কত দন্ড তুমি পাবে!! কি বিদ্যা যে তুমি শিখলে এমন বিদ্যার মুখে ছাই। শুদ্র পদে হাত দিলে না হল গরম। ঘুড়ি গাড়ি চড়ি ধর কানেতে কলম!! এভাবে অনে ভৎসনা করে ব্রাহ্মনি পড়ে স্বামীর চরণ সবিনয়ে বন্ধনা করেন। সতী হন ব্রাহ্মনী দ্রষ্টা যে কভু নয়। মোর উপপতি করি দেখাইনু ভয় !! এই হল প্রথম কলির বিচার !! ব্রাহ্মন নিজ ধর্ম ত্যাগ করিয়া কুপথে আসবে!! মহাকলির কথাঃ- জমল নামে এক ব্যক্তি কৃষ্ণ পরাবন। পরম বৈষ্ণব তার এক ছেলে রজত তার নাম। খুবই পাষান্ত ছেলেটি। মাতা পিতার কথা কোন দিন শুনে না। পুত্রকে বে ম আনাতে ক্রোধ করে বিচার করাতে কলির রাজার নিকট গেল। মহারাজ আমার একটি ছেলে মহাভল্ড আমাকে খুবই যার্তনা দিতেছে সর্বদা আমাকে ভয় দেখায় বিষ পান করাইয়া আমাকে হত্যা করার। তাই কোনদিন বিষ আমকে মেরে ফেলবে ভয়ে আপনাকে সব জানাতে আসিয়াছি। কলি বলতেছে সত্য কথা বল তুমি কোন জাতি তবে বিচার করবো। জমল বলেন আমি জাতে বৈষ্ণব শ্রীকৃষ্ণের পাদ পদ্মে সব সময় তার মতি। সর্বদা ভগবান আমাকে রা করেন। বৈষ্ণব বলেন কলি শুনে হাসি পায়। বিষেতে বৈষ্ণব মরে না শুনি কোথায় এনর বাক্য শুনে আর না পারি হাসিতে। কেবা পারে বিষ পানে বৈষ্ণব নাশীতে!! তোমার ছেলের ভয়ে আমার কােছে প্রাণে ভয়ে হাসি পায় শুনে তব কথা অসম্ভ। বিষে কিসে করে ভয় হইয়া বৈষ্ণব!!অনলে ঘরলে বৈষ্ণব মরে না তার অনেক প্রমান হিরন্য কাশিপু প্রহল্লাদকে বিষ ( ইত্যাদি আলোচনা) বৈষ্ণব বরে প্রহল্লাদ সত্য যুগে অমিত প্রহল্লা নই। কলি বলে তুমিও হরি নাম জগ কর নামের ভিন্ন নাই। হে সত্য কথা বল কলির বৈষ্ণব নয় বৈষ্ণব সাধনে!! কৃষ্ণ দয়াময় কলিকে আদেম দিয়েছেন আমার বৈষ্ণববের যে কোন হিংসা করা না হয়। বৈষ্ণব নিধন নাই এই ত্রিভুবনে। কৃষ্ণ ধর্ম সহায় যার মারে কোন জনে!! এবার ঘুর কলির কথা ঃ ঘুর কলিতে কিছুই থাকবে না মহাপ্রলয় হয়ে শেষ হবে ..
একথা মহাপ্রভু বলিলা যখন’ মহানন্দ হরিনাম লৈল সর্ব্বজন!! নাম বিতরণ করে আসার সময় পথে হরিদাস জিঞ্জাস করেন এই ভাবে সর্বসুখে সুখি হয়ে নাম নিলে কি ফল হবে। মহাপ্রভু বলেন আগে হৃদয়ে হরিনাম প্রবেশ করুক নামের গুনেই বিষয় ভাষনা থেকে মন সরে আসবে তৈল,মৎস্য স্ত্রীসহবাস থেকে এমনি সরে যাবে। হরিনাম মৃতে যার মৃতে মজিরে রসনা’ তার কাছে তুচ্ছ হবে সংসার বাসনা!! বাজিছে মৃদঙ্গ করে তাথৈ তাথৈ! ভঙ্গি করে নাচিছে ভাল গৌর নিতাই!! মহাপ্রভুর নিত্যের সাথে দেবগন সহ পশুপাখি মহিষ গন্ডার বানর হাতি সবাই এমন তারে আনন্দে ভিবোর হয়ে নাচতেছে অন্ধ আতুর নেড়া নেংড়া সবাই আপে করতেছে কীর্তণ শুনে নাচে যাইতে কিন্তু মঞ্জু কহিছে শুন অন্ধ মোর ভাই’ মোর চু তোর পা কীর্ত্তণেতে যাই !! ঘোড়া বলে কানা কে যে শুন দিয়া মন। চু নাই কিসে ভাই দেখিব কীর্ত্তণ!! কানা বলে চোখ গেছে কান আছে ভাই। কানে শুনিবা কেমন গায় গৌর নিতাই। সমুদ্র বলে ধিকয়ে আমার জীবনে। করি দেহে লয়ে যেথে নারিনু কীর্ত্তণে দিবাকর বলে যদি কীর্ত্তণেতে যাই’ জগৎ আধার হবে মনে ভাবি তাই যুগি জোলা গেলয়ত না যায় ঘর্ণন। বাহু তুলি হরি বলে নাচেন থবন!! এমন ভাব দেখে জমরাজ অভিমান এসে মনে মনে ভাবতেছে এয়েকি অবিচার কীর্ত্তন করে আমার অধিকার হয়ে বঞ্চিত করছেন। তাই সে অভিমান করে বসে আছে। চিত্রগুপ্ত কীর্ত্তণে যাবে বলে মেনেছে জমদুত জোর করে আটকাতে যায় পাপিগনকে। পাপিগন বলতেছে আমাদের যেতে দাও কীর্ত্তণ শুনে যে ফল হবে, তার অর্ধেক তুমাকে দিব। এদিকে কীর্ত্তণ মাহায্য দেখি যতেক থবন। দাড়ি ফেলে তার রাখে মাথায় চৈতন যবনেরা সবাই মহাপ্রভুর কাছে মন্ত্র গ্রহন করে প্রায় ৭০০শত ............ উপস্থিত ছিল। তারা বলে হরি সাধনে কোন কষ্ট নাই শুধু মুখে হরিনাম নিলেই হয়। কিন্তু আমাদের হরিসাধনের বহু কাজ। ওজু করা কাজ খোলা পাঁচ ওকত নামাজ বড়ই শক্ত করিতে তিরিশ রোজা দিনেতে অন্ন নাস্তি ুদায় অঙ্গ ভাজা!! তাই দয়া করে আপনি মন্ত্র দিয়া বৈষ্ণব করুণ। হই শুনিয়া মহা প্রভু সফল যবনকে মন্ত্র দিয়ে হরিনাম উচ্ছারন করিয়ে প্রসাদ দিয়ে বৈষ্ণব করলে। যবনে বাদশা প্রাউবাদি হইে ল মহাপ্রভু ফকির বেশে গিয়া বৈষ্ণবের মহিমা দেখাইতেন ( আলোচনা করাযেতে পারে) কুসঙ্গ নামা করে কাশী বাসী হতে আদেশ দিলেন। তাই বলেছেন কাশির অধিক কাশি বৈষ্ণব যথায়’ কাশী তুষ্ট আছে তথা বৈষ্ণব সেবাই!! এদিগে কলিরাজ আসিয়া মহাপ্রভুকে বলতেছে আমাকে আমার রাজ্য অধিকার দাও। আপনি কালীতে হরিনাম বিতরন করে সবাইকে চেতন করেছেন তাই সবাই চৈতন্য পথে গমন করছে। মহাপ্রভু বলেন এব ব্যবস্থা হয়ে তুমি লোভ দেখিয়ে ইত্যাদি আলোচনা কুমন্ত্রনা দিয়া স্বর্ধম ত্যাগ করাইয়া স্বর্ধম ইত্যাদি এই হয় মহাকাল ঘুরকলিকাল এর মত্য তুমিই মহিপাল। প্রথম কলিতে আমি গৌরাঙ্গ অরতার হয়ে জীবকে দর্শণ দিয়েছি। আমাকে দর্শন করে নামের কারণে তাদের শুপথ পেয়েছে। এই পথম কলিতে তোমার এক কষ্ট হবে। এখনও কৃষ্ণকে বিশ্বাস আছে নামেতে চৈতন্য!! গুরু গোবিন্দ অভেদ বৈষ্ণব ভক্তি যার। তার কাছে নাই কলি তব অধিকার।
প্রথম কলিতে কষ্ট সহ্য কর। মহাকলিতে অনেক পরনিন্দা পরছিদ্র ধার্মিক নিন্দুক জন্ম নিয়ে তোমার ভক্ত তারা!! প্রভুর অঞ্জায় করি মহারাজ অেেঙ্গ সুন্তর জামা পরে মাথায় পাগড়ি বেধে ঘাড় হাতে .িদয়ে রাজ পথে বসেছেন। রন্তমালা নামে এক ব্রানের ছেলে তপ তরতে নদীর তীরে যাচ্ছে কলিরাজ বলতেছে একটু ছাড়াও। কথায় বসিততব কি দুঃখ আশ্রিত। কোন দায় ভস্ম গায়ে পাগলের মত। তৈল বিনা শিরে জটা । অঙ্গে উটে খড়ি। অন্য অভাবে গায়ের মাংস হইল দড়ি। আমি ব্রাহ্মন স্বজাতি ধর্ম আমি পালন করি। আমাদের নীতি হলো তপস্যার বেশে থাকি। কলি বলে আমি হই জাতিয় ব্রান। অতি দুঃখে জাতি ধর্ম করেছি বর্জন। (কতোপকতন পরে) কলির বাজার পথা ব্রান রাজি হয়ে চলে গেলেন। পরম সুন্দরী কন্যা দেখে বিবাহ করাইয়া দিল। পরম সুখে দিনাতী পাত করতেছেন। কিন্তু পাপে পরির্পূণ দেহ হয়ে গেছে তাই। ব্রানী এক শুত্রের ছেলের সাথে দ্রষ্টা হইলেন। ব্রান জানতে পেরে সর্তকে থাকিয়া শুদ্র ছেলেটির সাথে নিজ ঘরে ব্রানী মিলামেশ দেখিতে পাইলে তাই রাগান্তীত হয়ে অভিশাপ দিলেন তুই শুদ্র হয়ে ব্রানীর সঙ্গে বিবাহ করেছিস তোর শরিরে সহস্র ভগ হোউক। ব্রানীকে বললেন শাপ দিলাম তুই পাষান হয়ে থাক। এই শাপ যখন ব্রান দিলেন ব্রানী শুনিয়া হাসিয়া হাসিয়া বলেন হেসে হেসে ব্রানী যে বলেন তখন। আর কি সে দিনত আছে তপোধন। যে দিন সুড়ায়ে সাথা পরেছ টোপর। সেদিন গেছে তেজ ওয়ে দ্বিজধর!! দ্বিজ হয়ে হারাইলে নিজ পরাক্রম। কিবা হেতু হতে ছিতীয় গৌতম!! দুঃশালী রমনী দ্বীজ হেরিয়া নয়নে গৌতমের শাপ বুঝি পড়েছে মনে !! লোভে পড়ে তুমি তোমায় ব্রাহ্মন্ত হারিয়েছি। পৈতা পরতে তোমার লজ্জা করে না। যে ব্রাহ্মন কে দেখে রাজা জুড়িতোদুকর সেই ব্রাহ্মম হয়ে আজ তুমি রাজার চাকর !! আরীআর কি বলব তুমি আমার স্বামী ব্রহ্ম ধর্ম ছাড়িয়া তুমি পাষন্ড হয়েছে আরও কত দন্ড তুমি পাবে!! কি বিদ্যা যে তুমি শিখলে এমন বিদ্যার মুখে ছাই। শুদ্র পদে হাত দিলে না হল গরম। ঘুড়ি গাড়ি চড়ি ধর কানেতে কলম!! এভাবে অনে ভৎসনা করে ব্রাহ্মনি পড়ে স্বামীর চরণ সবিনয়ে বন্ধনা করেন। সতী হন ব্রাহ্মনী দ্রষ্টা যে কভু নয়। মোর উপপতি করি দেখাইনু ভয় !! এই হল প্রথম কলির বিচার !! ব্রাহ্মন নিজ ধর্ম ত্যাগ করিয়া কুপথে আসবে!! মহাকলির কথাঃ- জমল নামে এক ব্যক্তি কৃষ্ণ পরাবন। পরম বৈষ্ণব তার এক ছেলে রজত তার নাম। খুবই পাষান্ত ছেলেটি। মাতা পিতার কথা কোন দিন শুনে না। পুত্রকে বে ম আনাতে ক্রোধ করে বিচার করাতে কলির রাজার নিকট গেল। মহারাজ আমার একটি ছেলে মহাভল্ড আমাকে খুবই যার্তনা দিতেছে সর্বদা আমাকে ভয় দেখায় বিষ পান করাইয়া আমাকে হত্যা করার। তাই কোনদিন বিষ আমকে মেরে ফেলবে ভয়ে আপনাকে সব জানাতে আসিয়াছি। কলি বলতেছে সত্য কথা বল তুমি কোন জাতি তবে বিচার করবো। জমল বলেন আমি জাতে বৈষ্ণব শ্রীকৃষ্ণের পাদ পদ্মে সব সময় তার মতি। সর্বদা ভগবান আমাকে রা করেন। বৈষ্ণব বলেন কলি শুনে হাসি পায়। বিষেতে বৈষ্ণব মরে না শুনি কোথায় এনর বাক্য শুনে আর না পারি হাসিতে। কেবা পারে বিষ পানে বৈষ্ণব নাশীতে!! তোমার ছেলের ভয়ে আমার কােছে প্রাণে ভয়ে হাসি পায় শুনে তব কথা অসম্ভ। বিষে কিসে করে ভয় হইয়া বৈষ্ণব!!অনলে ঘরলে বৈষ্ণব মরে না তার অনেক প্রমান হিরন্য কাশিপু প্রহল্লাদকে বিষ ( ইত্যাদি আলোচনা) বৈষ্ণব বরে প্রহল্লাদ সত্য যুগে অমিত প্রহল্লা নই। কলি বলে তুমিও হরি নাম জগ কর নামের ভিন্ন নাই। হে সত্য কথা বল কলির বৈষ্ণব নয় বৈষ্ণব সাধনে!! কৃষ্ণ দয়াময় কলিকে আদেম দিয়েছেন আমার বৈষ্ণববের যে কোন হিংসা করা না হয়। বৈষ্ণব নিধন নাই এই ত্রিভুবনে। কৃষ্ণ ধর্ম সহায় যার মারে কোন জনে!! এবার ঘুর কলির কথা ঃ ঘুর কলিতে কিছুই থাকবে না মহাপ্রলয় হয়ে শেষ হবে ..
0 comments:
Post a Comment