ধর্মযাত্রায় আমাকে সঙ্গে নিও - 2
হিন্দু ধর্ম পৃথিবীর একটি অন্যতম ধর্ম। এই একটি স্বচ্ছ, নিরপে, স্বতন্ত্র, প্রতিবাদী, প্রকৃতির ধর্ম, সবার কথা বলে। এই ধর্ম জন্মান্তরবাদ ও দিন বদলে বিশ্বাস করে। আজ থেকে প্রায় সহস্র বছর আগে প্রতিষ্টিত হয়েছিল শুধু মানব মুক্তির জন্য। তবে হিন্দু শব্দটি এসেছে সিন্ধু শব্দ থেকে। কারণ সিন্ধু নদের তীরে অনেক হিন্দু বাস করতেন। এই বসবাসকারী জনগোষ্ঠিরাই হিন্দু। কিন্তু অনেক সময় “স” ধ্বনির উচ্চারন “হ” ধ্বনির মত হয়। যেমন অসমিয়া থেকে অহমিয়া। সেই সময় ফরাসি ভাষার প্রচলন খুব বেশি ছিল বলে ফরাসীতে “স” কে “হ” উচ্চারন করত। তাই বিদেশিরা সিন্ধু উচ্চারন করতে পারত না বলে হিন্দ বলে ডাকত। হিন্দ থেকে ভারতবর্ষে আধুনিক কালের সন্দু নামটি পরিচিতি লাভ করে। তার পর ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, আমেরিকা,
জাপন, ফ্রান্স, জার্মানিসহ আজ নারা বিশ্বে হিন্দু ধর্ম। এর প্রাচিন নাম হল “সনাতন ধর্ম” বা বৈদিক ধর্ম। এই ধর্মের আভিধানিক অর্থ হল চিরন্তন অর্থাৎ যা ছিল, যা আছে, যা থাকবে। তবে সময়ের প্রয়োজনে এ ধর্মটি নতুন নতুন রুপ নিয়েছে। সনাতন ধর্ম সেই ধর্ম যে ধর্ম সব সময় জীব সেবাকে ঈশ্বরসেবা বলে। স্বামী বিবেকানন্দের সেই বিখ্যাত অমর উক্তি,
জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
এই কথা শ্বাশত দিক চিরন্তন সত্য। তাহলে কেন, দূর্গাপুজা, মনসাপুজা, বাসন্তীপুজা, আরো অনেক পূজায় মন্দিরে জীব বলিদান করা হচ্ছে?আর সেইসব জীব বলিদানের মহানায়ক কারা বা কে? উত্তর হচ্ছে,আমরা নিজেরাই এবং আমাদের মধ্যে সব। যেমন ভক্ত,পুরোহিত ঠাকুর, পূজা পরিচালনা কমিটি, অতিথিবৃন্দ তথা সর্বস্তরের মানুষ। আমাদের সামনে এই নির্মম অবলা জীবহত্যা। সুতরাং আমরা যাদের পূজা করি তারা তো কখনো বলেনি আমাদের জীবহত্যা করে পূজা করো। বরং আমরাই পূজা করি কিন্তু জীবের রক্তমাংস কখনো কোন দেবতা বা ঈশ্বর গ্রহন করেনা। শুধু আমাদের সাধুতা ও সত্যতা গ্রহনযোগ্য হবে। কারণ ধর্মের ইতিহাসে কেউ জীবের রক্তমাংস ব্যবহার করে পাপ থেকে মুক্তিলাভ করেনি। এজন্য শ্রীশ্রী ঠাকুর উক্তি,
ঈশ্বর উপাসনায়
হিংসা সাধন পশুবলি
বিশ্বপ্রভু নেয় না প্রভু
যায় না তাতে সে সকলই
এসময় শুনতে পারছে ঠাকুরের আহবান কিন্তু জড়তা কাটিয়ে গতিময় করে তুলতে পারছেনা আপন সত্বাকে। ফলে সমাজ আজ বিশালভাবে চিন্তার নিকট বন্দী।তাদের মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ মানসিক বর ও বলিষ্ট চেতনা। কিন্তু কি করবে একই সমাজের মানুষ এসে বলছে পূজার মূল কথা, জীব বলিদানই পূজার সার্থকথা। আরেকজন এসে বলছে, পূজার মূল কথা হিংসা সাধন, পশুবলি নই, অহিংসাই হচ্ছে পূজার মূল কথা। আমি তার সাথে একমত। এ প্রসঙ্গে ছোট একটা গল্প বলি, একদা এক গ্রামে বাস করত দুই যুবক। তাদের একজন পুলিশ অন্যজন সাংবাদিক। সামাজিক উৎসবে জীব বলি ও বনের দর্শনে তাদের প্রান কেঁদে ওঠে।
তারা খুব ধর্মপ্রাণ মানুষ। গ্রামের সবাই জানে এসব কথা। এখানে সেখানে ধর্ম প্রচার করাই যেন তাদের নৈতিক কাজ।
পুলিশঃ আপনি ছাগল নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? ভক্তঃ মন্দিরে স্যার।
পুলিশঃ জীব বলিদান সম্পর্কে তুমি কি কিছু জান? ভক্তঃ জানি না স্যার। করার কিছু নেই। এটা আগে ছিল, এখনো থাকবে।
পুলিশঃ নতুন কি কোন পদপে নিয়েছেন? ভক্তঃ হ্যাঁ স্যার। মন্দিরের সীমানার বাহিরে হলে ভাল হত।
পুলিশঃ তবুও জীব হত্যা। ভক্তঃ হ্যাঁ স্যার।
পুলিশঃ আপনারা কি কিছু বলবেন? কমিটিঃ আমরা কি বলব স্যার। প্রতি বছর এরকমই পুজা করি।
পুলিশঃ এত ফুল ফল থাকতে জীব হত্যা কেন? অতিথিঃ আমার ও প্রশ্ণ স্যার।
পুলিশঃ তাহলে কে পারবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে? ঠাকুরঃ আমি।
তবে এ গল্পটা শুনেছিলাম আমার দাদা ভাইয়ের কাছ থেকে। অনেক অনেক দিন আগের কথা চেদি দেশের রাজা বসু দেবতা ইন্দ্রের সখা ছিলেন। একদিন দেবতা এবং ব্রাহ্মণদের ম্েযধ ভীষণ তর্ক বিতর্ক হল। পূজা এলে জীব হত্যা কেন। এ নিয়ে এক বিরাট জনসভা বস। উক্ত জনসভার মধ্যমণি চেদিরাজ বসু। বিশেষ বিবেচনা করে তার দৃষ্টিতে জীব্বলি নিষিদ্ধ বলে দেবতাদের সাথে একমত। যদিও ব্রাহ্মণরা এ প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল তবুও তারা ক্রোধে অভিশাপ দিলে চেদিরাজ বসু চিরদিনের জন্য পাতালে চলে যান। দেবতারা অনেক ভেবেচিন্তে সিন্ধান্ত চূড়ান্ত করল যে, চেদিরাজ বসু ভোগের জন্য প্রয়োজন যজ্ঞে বসুধারা দেবার নিয়ম। সেই নিয়ম মানুষ আজও মানছে। বসুধারার নিয়ম অব্যাহত রেখে হিন্দু সমাজ আজও জীব বলিদান করে যাচ্ছে। হাজার বছর আগের এই তর্কবিতর্ক এখনো সমাপ্ত হয় নাই।
সাংবাদিকঃ পুরোহিত ঠাকুর মহাশয়, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ চ্যানেল এস-এ সাাৎকার দেওয়ার জন্য।
ভক্তঃ আপনাকেও ধন্যবাদ। পুলিশঃ ধন্যবাদ সবাইকে। শারদীয় শুভেচ্ছা।
সাংবাদিকঃ দুর্গা পূজা সবার জীবনে বয়ে আনুক এক অনাবিল শান্তি। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।
পুলিশ ও সাংবাদিকের কথা হল তিনি (পুরোহিত ঠাকুর) এ্কজন ধর্মবিশেষজ্ঞ মানুষ। ধর্ম প্রচারই তার কাজ। তাকে সবাই সম্মান করে। তার আদেশ নির্ধেশ মেনে চলে। সে নির্দেশ দিলে হয়তো আর কোন অবলা জীব হত্যা হবে না। মন্দির হবে না রক্তাক্ত। যেহেতু মন্দির পবিত্র স্থান। কারণ যে স্থানে বসে আমরা ঈশ্বরের প্রার্থনা করি (খড়ড়শ ধহফ ংধু) বেদ, পুরাণ, রামায়ন, শ্রীমদ্ভগবদগীত, মহাভারতের মত মহামূল্যবান গ্রন্থ পড়ি যে আমাদের আলোর পথের যাত্রী, প্রতিদিনের পথচলার সাথী। তার সন্তানকে হত্যা করছে। আপনার সামনে যদি কেউ আপনার সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করে তাহলে আপনি কি করবেন। নিশ্চয় তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন। যে মামলার রায় হবে জেল, ফাসি বা মৃত্যুদন্ড। ঠিক তেমনি ঈশ্বরের সন্তানকে যারা হত্যা করে ঈশ্বর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রেখেছেন, যার শাস্তি হবে মর্মান্তিক।
আজকাল যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মানুষের নৈতিক কাজ হয়ে গেছে। যেদিকে তাকাই গ্রেনেড হামলা, বোমা বিষ্ফোরণ, গোলাগুলি, সংঘর্ষ আরো কত কি। তবে আমাদের হিন্দু ধর্মে আজ পর্যন্ত কোন মন্দির বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গ্রেনেড হামলা, বোম বিষ্ফোরণ, গোলাগুলি হয়নি। সেজন্য হিন্দুধর্মকে কোটি কোটি নমষ্কার। সমাজের সবচেয়ে ছোট একটি প্রতিষ্ঠান হল পরিবার বা সংসার। আজ সেই সংসারে একভাই আরেক ভাইকে সামান্য সম্পত্তি বা টাকার জন্য গলাটিপে হত্যা করছে। হত্যা করছে স্নেহের ছোট বোন, বড় বোন, শ্রদ্ধেয় পিতা মাতাকে। পরিষ্কার এটা একটা নরহত্যা বা জীবহত্যা। মোট কথা অধর্ম। আমরা দেশ মাতার সন্তান। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান, জৈন ইহুদী আমরা সবাই ভাই। আমাদের কোন জাতিভেদ নাই। আমাদের আছে দুটি জাতি। একটি স্ত্রী অন্যটি পুরুষ। আর আছে সম্প্রদায়। আমাদের সৃষ্টিকর্তা এক। ভাষা বিভিন্ন। ধর্ম বিভিন্ন। তবে কর্ম এক নয়। আমাদের দেশ এবং ধর্ম পরিচালনা করছি কিন্তু আমাএদর ধর্ম মনুষ্যত্ব। কিন্তু যাদের মধ্যে এই মনুষ্যত্ব জ্ঞান নেই তার অমানুষ। তাদের সব সময় খারাপ চিন্তা, খারাপ আচরণ করার পরিকল্পনা থাকে। যার ফলাফল অশান্তি। আর সেই অশান্তির জন্য যে তার ভাগ্যকে বার বার দোষ দিচ্ছে। এটা হচ্ছে তার কর্মের ফল। কথায় আছে যেমন কর্ম তেমন ফল। সুতরাং এখন অনেক মানুষের ধর্ম দুটি। একটি রাজনীতি অন্যটি অর্থনীতি। রাজনীতি এবং অর্থনীতির জন্য মানুষ যেকোন কৌশল অবলম্বন করতে বাধ্য। কিন্তু ধর্মের জন্য সে রকম কৌশল অবলম্বন করে না। ধর্ম এখন মানুষের মনে প্রাণে নেই। পূজা এলে মানুষ ধর্ম করে। প্রায় তিন চার দিনের জন্য। তাও আবার কেবলমাত্র আনন্দের জন্য, ভক্তিলাভের জন্য নয়। কিন্তু এই কথাতো সবার জানা আছে, ঈশ্বর সব জায়গাতেই আছেন এবং থাকবেন। যেকোন সময় ভক্তিভরে ডাকলেই হবে। আবার কেউ পূজা করে ধন সম্পত্তি লাভের আশায়, সন্তান লাভের আশায়। আবার কেউ কেউ পূজা করে তার পিতা মাতাপূর্ব পুরুষেরা পূজা করত বলে। পূজা যে কেউ করতে পারে। যেকোন শ্রেণীর মানুষ। তবে এরকম না, দিনের বেলায় হরি হরি, রাত হলে চুরি করি। আরো কিছুসংখ্যক ভক্ত আছে যারা পূজার সময় ব্রত রাখেন ধর্মের বিধিবিধান মেনে। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত। কিন্তু বার বার সে পঞ্জিকা দেখছে কখনও ব্রতের সময় শেষ হভে। কেননা, ব্রত শেষ হলেই তো খাওয়া হবে। ব্রতধারী ব্যক্তি যদি বার বার খাওয়ার চিন্তা করে তাহলে ভগবানের চিন্তা কখন করবে। আমার মনে হয় যদি কেউ উপবাস না থাকে, থাকুক না, সে প্রকাশ্যে উদরপূর্তি করে তবে পূজা করুকব। যেহেতু ভগবান কাউকে উপবাস থাকতে বলে নাই। ভক্ত যদি কষ্ঠ পায় তাহলে ভগবান কষ্ঠ পাবেন। ভক্তের সেবায় ভগবান। ভগবান অল্পতেই সন্তুষ্ট হন। অল্পতেই যদি হয় তবে বেশী করার প্রয়োজন কি। ভগবান সবার ডাকে সাড়া দেন। যেমন সাড়া দিয়েছিল হরিভক্ত প্রহাদের ডাকে, ধ্র“বের মত বালকের ডাকে, রতœাকরের মত দস্যুর ডাকে, দধিচীর মত মুনির ডাকে, কুরুত্রে যুদ্ধের মহানায়ক পান্ডব সেনাপতি অর্জ্জুনের ডাকে। আরো অনেক পুরুষ মহাপুরুষের ডাক।ে তাহলে কেন আমাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আমরা তার মানসপুত্র। কিন্তু আমাদের তাদের মত মন পরিষ্কার নেই। আগে মন পরিষ্কার করো তারপর ঈশ্বরকে ডাকো। ঈশ্বর সাড়া দেবেন। এ প্রসঙ্গে একটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক কথা, দিনের মধ্যে শত শতবার মিথ্যা কথা বলবে আর হাতে মালা জপবে এবং মুখে নামকীর্ত্তন করবে, তাতে কোন ফল হবে না। বহুলোক মালা জপে নিশি নামকীর্ত্তন করে ও যেকোন সুফল পাই না তার কারণ তাদের চিত্ত আদৌ পরিস্কার হয় নি। সুফল লাভ করতে হলে চিত্ত পরিষ্কার করো।
শ্রীশ্রীদুর্গা প্রসন্ন পরমহংস দেব
তারপর এবং..................। কোন মৃত্যু বার্ষিক অনুষ্ঠানে গেলে দেখা দেয় একই সমস্যা। শুরুটা ভাল কিন্তু শেষটা ভাল হচ্ছে না। শেষটা যদি ভাল তবে শুরুটা ভাল হচ্ছে না। একটুকুতে ভুল। যে ভুলের জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটাই ভূল। তা হলে লাভ কী হল? আজ কাল মানুষ স্বার্থ ছাড়া হাটে না। তাহলে আমাদের স্বার্থ কোথায়। আমাদের স্বার্থ ঈশ্বর লাভে। ঈশ্বর লাভ করতে হলে আগে ঈশ্বর সম্পর্কে জানতে হবে। তার পর অন্যকে জানাতে হবে। জানার জন্য প্রয়োজন একজন ধর্মীয় শিাগুরু। যিনি আমাদের ধর্মীয় শিায় পারদর্শী করে তুলবেন। তার পর প্রয়োজন দীাগুরুর। শ্রী শ্রী ঠাকুরের-অনুশ্র“ুত
দেব দেবতা হাজার ধরিস
আচার্য্য যারা ইষ্ট নয়
স্পষ্টতর রাখিস মনে
জীবন চলায় নেহাত ভয়।
কারণ যে কোন পূজার আগে গুরুর পূজা আগে করতে হয়। তার পর সিদ্বিদাতা গনেশের, তার পর ......। নতুবা পূজা বিফলে যাবে। শ্রদ্ধেয় দীাগুরু আমাদের সনাতন ধর্মে দীতি করেন। দীতি ছাড়া কোন মানুষ আমাদের সনাতন ধর্মের উত্তরাধীকারী হতে পারবে না। দীতি ব্যক্তি যোগ্য উত্তরাধীকারী। অদীতি ব্যক্তি অযোগ্য উত্তরাধীকারী বলে বিবেচিত হবেন। কারণ অদীীত ব্যক্তি সনাতন ধর্মের পুজা পার্বন থেকে নিষিদ্ধ। তার হাতে কোন কিছু গ্রহন করা ঠিক নয়। সে অপবিত্র। দীতি ব্যক্তি সনাতন ধর্মের নিবেদীত প্রাণ বা বীজ। তবে ভাল ফলের জন্যে ভাল বীজের প্রয়োজন। তবে বিষ বৃ নয়। এ প্রসঙ্গে শ্রী শ্রী ঠাকুর বলেছেনÑ
ক্স সিদ্ধ নয় মন্ত্র দেয়, নিজে ও মরে, অপরকে ও মারে।
ক্স শুধু দীা নিলেই বা দীা দিতে চাইলে দীা দিয়া যায় না।
ক্স দীা দিতে হলে মন্ত্রে সিদ্দ হতে হবে।
কিন্তু আমাদের সমাজে অনেকে মনে করে বৃদ্ধ হলে দীা নেওয়া ভাল। এটা আমাদের ভূল ধারণা। সারা জীবন কোন ধর্ম করলাম না, এখন বয়স হয়েছে বলে মুখে হরির নাম। গয়া কাশী তীর্থ ভ্রমন, মাথায় অর্থাৎ কপালে চন্দনের টিকা। উদাহরণ স্বরুপ একজন ছাত্র যদি সারা বছর পড়ে না, অথচ পরীার আগের দিন একটানা ২৪ঘন্টা পড়লে সে কি পাশ করতে পারবে? কখনো না। আসুন সবাই মিলে সমাজকে দেশকে কুসংস্কার মুক্ত করি। ঝাড়-ফুক-তাবিজ-কবজে বিশ্বাসী সমাজ এখনো অন্ধ বিশ্বাসে ডুবে রয়েছে। এভাবে আর কত দিন...........। সংবৃদ্ধি, সতীকরণ, কুসংস্কার দেশ ও সমাজের জন্য তিকর। বাচতে হলে জানতে হবে ধর্ম কি। খবঃং পড়সব মড় সবাই শরীক হয়ে হিন্দুধর্মের সেই প্রাচীর সত্যকে ফিরিয়ে আনি। এখনই সময় যে কোন কৌশল অবলম্বন করে, ঘরে আলোর দূর্গ গড়ে তুলি। কারণ এবারের সংগ্রাম মানব মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম ধর্ম রার সংগ্রাম, নিরপেতার সংগ্রাম, অন্যায়ের বিরোদ্ধে সংগ্রাম। যাত্রাপথে আমাদের শ্লোগান, ভালবাসা দিয়ে ধর্মত্ব করবো জয়। আমাদের নথী সারথী স্বয়ং ভগবান। আর এই সংগ্রামের মহানায়ক ও তিনি। যতই আসুক বাধাবিঘœ এগিয়ে মোরা যাবো। বর্তমান বিশ্ব এগিয়ে চলেছে। বিজ্ঞান ও আজ থেমে নেই। থেমে নেই এ প্রজন্মের তরুন যুব সমাজ। ওরা আলোর পথের অভিযাত্রী। ওরা নির্ভিক, ওরা দুরন্ত পথিক। ওরা জানে ধর্মের জয়, অধর্মের পরাজয়। দাঁড়াও পথিক....। সূর্যোদয়ে তোমাদের যাত্রা শুরু। হে অরুন পথের তরুন দল আমি তোমাদের সাথীম যাকে তোমরা চেয়েছিলে সেই দূর্বার সৈনিক আমি, ধর্ম যাত্রায় আমাকে সঙ্গে নিও।
হিন্দু ধর্ম পৃথিবীর একটি অন্যতম ধর্ম। এই একটি স্বচ্ছ, নিরপে, স্বতন্ত্র, প্রতিবাদী, প্রকৃতির ধর্ম, সবার কথা বলে। এই ধর্ম জন্মান্তরবাদ ও দিন বদলে বিশ্বাস করে। আজ থেকে প্রায় সহস্র বছর আগে প্রতিষ্টিত হয়েছিল শুধু মানব মুক্তির জন্য। তবে হিন্দু শব্দটি এসেছে সিন্ধু শব্দ থেকে। কারণ সিন্ধু নদের তীরে অনেক হিন্দু বাস করতেন। এই বসবাসকারী জনগোষ্ঠিরাই হিন্দু। কিন্তু অনেক সময় “স” ধ্বনির উচ্চারন “হ” ধ্বনির মত হয়। যেমন অসমিয়া থেকে অহমিয়া। সেই সময় ফরাসি ভাষার প্রচলন খুব বেশি ছিল বলে ফরাসীতে “স” কে “হ” উচ্চারন করত। তাই বিদেশিরা সিন্ধু উচ্চারন করতে পারত না বলে হিন্দ বলে ডাকত। হিন্দ থেকে ভারতবর্ষে আধুনিক কালের সন্দু নামটি পরিচিতি লাভ করে। তার পর ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, আমেরিকা,
জাপন, ফ্রান্স, জার্মানিসহ আজ নারা বিশ্বে হিন্দু ধর্ম। এর প্রাচিন নাম হল “সনাতন ধর্ম” বা বৈদিক ধর্ম। এই ধর্মের আভিধানিক অর্থ হল চিরন্তন অর্থাৎ যা ছিল, যা আছে, যা থাকবে। তবে সময়ের প্রয়োজনে এ ধর্মটি নতুন নতুন রুপ নিয়েছে। সনাতন ধর্ম সেই ধর্ম যে ধর্ম সব সময় জীব সেবাকে ঈশ্বরসেবা বলে। স্বামী বিবেকানন্দের সেই বিখ্যাত অমর উক্তি,
জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
এই কথা শ্বাশত দিক চিরন্তন সত্য। তাহলে কেন, দূর্গাপুজা, মনসাপুজা, বাসন্তীপুজা, আরো অনেক পূজায় মন্দিরে জীব বলিদান করা হচ্ছে?আর সেইসব জীব বলিদানের মহানায়ক কারা বা কে? উত্তর হচ্ছে,আমরা নিজেরাই এবং আমাদের মধ্যে সব। যেমন ভক্ত,পুরোহিত ঠাকুর, পূজা পরিচালনা কমিটি, অতিথিবৃন্দ তথা সর্বস্তরের মানুষ। আমাদের সামনে এই নির্মম অবলা জীবহত্যা। সুতরাং আমরা যাদের পূজা করি তারা তো কখনো বলেনি আমাদের জীবহত্যা করে পূজা করো। বরং আমরাই পূজা করি কিন্তু জীবের রক্তমাংস কখনো কোন দেবতা বা ঈশ্বর গ্রহন করেনা। শুধু আমাদের সাধুতা ও সত্যতা গ্রহনযোগ্য হবে। কারণ ধর্মের ইতিহাসে কেউ জীবের রক্তমাংস ব্যবহার করে পাপ থেকে মুক্তিলাভ করেনি। এজন্য শ্রীশ্রী ঠাকুর উক্তি,
ঈশ্বর উপাসনায়
হিংসা সাধন পশুবলি
বিশ্বপ্রভু নেয় না প্রভু
যায় না তাতে সে সকলই
এসময় শুনতে পারছে ঠাকুরের আহবান কিন্তু জড়তা কাটিয়ে গতিময় করে তুলতে পারছেনা আপন সত্বাকে। ফলে সমাজ আজ বিশালভাবে চিন্তার নিকট বন্দী।তাদের মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ মানসিক বর ও বলিষ্ট চেতনা। কিন্তু কি করবে একই সমাজের মানুষ এসে বলছে পূজার মূল কথা, জীব বলিদানই পূজার সার্থকথা। আরেকজন এসে বলছে, পূজার মূল কথা হিংসা সাধন, পশুবলি নই, অহিংসাই হচ্ছে পূজার মূল কথা। আমি তার সাথে একমত। এ প্রসঙ্গে ছোট একটা গল্প বলি, একদা এক গ্রামে বাস করত দুই যুবক। তাদের একজন পুলিশ অন্যজন সাংবাদিক। সামাজিক উৎসবে জীব বলি ও বনের দর্শনে তাদের প্রান কেঁদে ওঠে।
তারা খুব ধর্মপ্রাণ মানুষ। গ্রামের সবাই জানে এসব কথা। এখানে সেখানে ধর্ম প্রচার করাই যেন তাদের নৈতিক কাজ।
পুলিশঃ আপনি ছাগল নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? ভক্তঃ মন্দিরে স্যার।
পুলিশঃ জীব বলিদান সম্পর্কে তুমি কি কিছু জান? ভক্তঃ জানি না স্যার। করার কিছু নেই। এটা আগে ছিল, এখনো থাকবে।
পুলিশঃ নতুন কি কোন পদপে নিয়েছেন? ভক্তঃ হ্যাঁ স্যার। মন্দিরের সীমানার বাহিরে হলে ভাল হত।
পুলিশঃ তবুও জীব হত্যা। ভক্তঃ হ্যাঁ স্যার।
পুলিশঃ আপনারা কি কিছু বলবেন? কমিটিঃ আমরা কি বলব স্যার। প্রতি বছর এরকমই পুজা করি।
পুলিশঃ এত ফুল ফল থাকতে জীব হত্যা কেন? অতিথিঃ আমার ও প্রশ্ণ স্যার।
পুলিশঃ তাহলে কে পারবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে? ঠাকুরঃ আমি।
তবে এ গল্পটা শুনেছিলাম আমার দাদা ভাইয়ের কাছ থেকে। অনেক অনেক দিন আগের কথা চেদি দেশের রাজা বসু দেবতা ইন্দ্রের সখা ছিলেন। একদিন দেবতা এবং ব্রাহ্মণদের ম্েযধ ভীষণ তর্ক বিতর্ক হল। পূজা এলে জীব হত্যা কেন। এ নিয়ে এক বিরাট জনসভা বস। উক্ত জনসভার মধ্যমণি চেদিরাজ বসু। বিশেষ বিবেচনা করে তার দৃষ্টিতে জীব্বলি নিষিদ্ধ বলে দেবতাদের সাথে একমত। যদিও ব্রাহ্মণরা এ প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল তবুও তারা ক্রোধে অভিশাপ দিলে চেদিরাজ বসু চিরদিনের জন্য পাতালে চলে যান। দেবতারা অনেক ভেবেচিন্তে সিন্ধান্ত চূড়ান্ত করল যে, চেদিরাজ বসু ভোগের জন্য প্রয়োজন যজ্ঞে বসুধারা দেবার নিয়ম। সেই নিয়ম মানুষ আজও মানছে। বসুধারার নিয়ম অব্যাহত রেখে হিন্দু সমাজ আজও জীব বলিদান করে যাচ্ছে। হাজার বছর আগের এই তর্কবিতর্ক এখনো সমাপ্ত হয় নাই।
সাংবাদিকঃ পুরোহিত ঠাকুর মহাশয়, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ চ্যানেল এস-এ সাাৎকার দেওয়ার জন্য।
ভক্তঃ আপনাকেও ধন্যবাদ। পুলিশঃ ধন্যবাদ সবাইকে। শারদীয় শুভেচ্ছা।
সাংবাদিকঃ দুর্গা পূজা সবার জীবনে বয়ে আনুক এক অনাবিল শান্তি। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।
পুলিশ ও সাংবাদিকের কথা হল তিনি (পুরোহিত ঠাকুর) এ্কজন ধর্মবিশেষজ্ঞ মানুষ। ধর্ম প্রচারই তার কাজ। তাকে সবাই সম্মান করে। তার আদেশ নির্ধেশ মেনে চলে। সে নির্দেশ দিলে হয়তো আর কোন অবলা জীব হত্যা হবে না। মন্দির হবে না রক্তাক্ত। যেহেতু মন্দির পবিত্র স্থান। কারণ যে স্থানে বসে আমরা ঈশ্বরের প্রার্থনা করি (খড়ড়শ ধহফ ংধু) বেদ, পুরাণ, রামায়ন, শ্রীমদ্ভগবদগীত, মহাভারতের মত মহামূল্যবান গ্রন্থ পড়ি যে আমাদের আলোর পথের যাত্রী, প্রতিদিনের পথচলার সাথী। তার সন্তানকে হত্যা করছে। আপনার সামনে যদি কেউ আপনার সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করে তাহলে আপনি কি করবেন। নিশ্চয় তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন। যে মামলার রায় হবে জেল, ফাসি বা মৃত্যুদন্ড। ঠিক তেমনি ঈশ্বরের সন্তানকে যারা হত্যা করে ঈশ্বর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রেখেছেন, যার শাস্তি হবে মর্মান্তিক।
আজকাল যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মানুষের নৈতিক কাজ হয়ে গেছে। যেদিকে তাকাই গ্রেনেড হামলা, বোমা বিষ্ফোরণ, গোলাগুলি, সংঘর্ষ আরো কত কি। তবে আমাদের হিন্দু ধর্মে আজ পর্যন্ত কোন মন্দির বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গ্রেনেড হামলা, বোম বিষ্ফোরণ, গোলাগুলি হয়নি। সেজন্য হিন্দুধর্মকে কোটি কোটি নমষ্কার। সমাজের সবচেয়ে ছোট একটি প্রতিষ্ঠান হল পরিবার বা সংসার। আজ সেই সংসারে একভাই আরেক ভাইকে সামান্য সম্পত্তি বা টাকার জন্য গলাটিপে হত্যা করছে। হত্যা করছে স্নেহের ছোট বোন, বড় বোন, শ্রদ্ধেয় পিতা মাতাকে। পরিষ্কার এটা একটা নরহত্যা বা জীবহত্যা। মোট কথা অধর্ম। আমরা দেশ মাতার সন্তান। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান, জৈন ইহুদী আমরা সবাই ভাই। আমাদের কোন জাতিভেদ নাই। আমাদের আছে দুটি জাতি। একটি স্ত্রী অন্যটি পুরুষ। আর আছে সম্প্রদায়। আমাদের সৃষ্টিকর্তা এক। ভাষা বিভিন্ন। ধর্ম বিভিন্ন। তবে কর্ম এক নয়। আমাদের দেশ এবং ধর্ম পরিচালনা করছি কিন্তু আমাএদর ধর্ম মনুষ্যত্ব। কিন্তু যাদের মধ্যে এই মনুষ্যত্ব জ্ঞান নেই তার অমানুষ। তাদের সব সময় খারাপ চিন্তা, খারাপ আচরণ করার পরিকল্পনা থাকে। যার ফলাফল অশান্তি। আর সেই অশান্তির জন্য যে তার ভাগ্যকে বার বার দোষ দিচ্ছে। এটা হচ্ছে তার কর্মের ফল। কথায় আছে যেমন কর্ম তেমন ফল। সুতরাং এখন অনেক মানুষের ধর্ম দুটি। একটি রাজনীতি অন্যটি অর্থনীতি। রাজনীতি এবং অর্থনীতির জন্য মানুষ যেকোন কৌশল অবলম্বন করতে বাধ্য। কিন্তু ধর্মের জন্য সে রকম কৌশল অবলম্বন করে না। ধর্ম এখন মানুষের মনে প্রাণে নেই। পূজা এলে মানুষ ধর্ম করে। প্রায় তিন চার দিনের জন্য। তাও আবার কেবলমাত্র আনন্দের জন্য, ভক্তিলাভের জন্য নয়। কিন্তু এই কথাতো সবার জানা আছে, ঈশ্বর সব জায়গাতেই আছেন এবং থাকবেন। যেকোন সময় ভক্তিভরে ডাকলেই হবে। আবার কেউ পূজা করে ধন সম্পত্তি লাভের আশায়, সন্তান লাভের আশায়। আবার কেউ কেউ পূজা করে তার পিতা মাতাপূর্ব পুরুষেরা পূজা করত বলে। পূজা যে কেউ করতে পারে। যেকোন শ্রেণীর মানুষ। তবে এরকম না, দিনের বেলায় হরি হরি, রাত হলে চুরি করি। আরো কিছুসংখ্যক ভক্ত আছে যারা পূজার সময় ব্রত রাখেন ধর্মের বিধিবিধান মেনে। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত। কিন্তু বার বার সে পঞ্জিকা দেখছে কখনও ব্রতের সময় শেষ হভে। কেননা, ব্রত শেষ হলেই তো খাওয়া হবে। ব্রতধারী ব্যক্তি যদি বার বার খাওয়ার চিন্তা করে তাহলে ভগবানের চিন্তা কখন করবে। আমার মনে হয় যদি কেউ উপবাস না থাকে, থাকুক না, সে প্রকাশ্যে উদরপূর্তি করে তবে পূজা করুকব। যেহেতু ভগবান কাউকে উপবাস থাকতে বলে নাই। ভক্ত যদি কষ্ঠ পায় তাহলে ভগবান কষ্ঠ পাবেন। ভক্তের সেবায় ভগবান। ভগবান অল্পতেই সন্তুষ্ট হন। অল্পতেই যদি হয় তবে বেশী করার প্রয়োজন কি। ভগবান সবার ডাকে সাড়া দেন। যেমন সাড়া দিয়েছিল হরিভক্ত প্রহাদের ডাকে, ধ্র“বের মত বালকের ডাকে, রতœাকরের মত দস্যুর ডাকে, দধিচীর মত মুনির ডাকে, কুরুত্রে যুদ্ধের মহানায়ক পান্ডব সেনাপতি অর্জ্জুনের ডাকে। আরো অনেক পুরুষ মহাপুরুষের ডাক।ে তাহলে কেন আমাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আমরা তার মানসপুত্র। কিন্তু আমাদের তাদের মত মন পরিষ্কার নেই। আগে মন পরিষ্কার করো তারপর ঈশ্বরকে ডাকো। ঈশ্বর সাড়া দেবেন। এ প্রসঙ্গে একটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক কথা, দিনের মধ্যে শত শতবার মিথ্যা কথা বলবে আর হাতে মালা জপবে এবং মুখে নামকীর্ত্তন করবে, তাতে কোন ফল হবে না। বহুলোক মালা জপে নিশি নামকীর্ত্তন করে ও যেকোন সুফল পাই না তার কারণ তাদের চিত্ত আদৌ পরিস্কার হয় নি। সুফল লাভ করতে হলে চিত্ত পরিষ্কার করো।
শ্রীশ্রীদুর্গা প্রসন্ন পরমহংস দেব
তারপর এবং..................। কোন মৃত্যু বার্ষিক অনুষ্ঠানে গেলে দেখা দেয় একই সমস্যা। শুরুটা ভাল কিন্তু শেষটা ভাল হচ্ছে না। শেষটা যদি ভাল তবে শুরুটা ভাল হচ্ছে না। একটুকুতে ভুল। যে ভুলের জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটাই ভূল। তা হলে লাভ কী হল? আজ কাল মানুষ স্বার্থ ছাড়া হাটে না। তাহলে আমাদের স্বার্থ কোথায়। আমাদের স্বার্থ ঈশ্বর লাভে। ঈশ্বর লাভ করতে হলে আগে ঈশ্বর সম্পর্কে জানতে হবে। তার পর অন্যকে জানাতে হবে। জানার জন্য প্রয়োজন একজন ধর্মীয় শিাগুরু। যিনি আমাদের ধর্মীয় শিায় পারদর্শী করে তুলবেন। তার পর প্রয়োজন দীাগুরুর। শ্রী শ্রী ঠাকুরের-অনুশ্র“ুত
দেব দেবতা হাজার ধরিস
আচার্য্য যারা ইষ্ট নয়
স্পষ্টতর রাখিস মনে
জীবন চলায় নেহাত ভয়।
কারণ যে কোন পূজার আগে গুরুর পূজা আগে করতে হয়। তার পর সিদ্বিদাতা গনেশের, তার পর ......। নতুবা পূজা বিফলে যাবে। শ্রদ্ধেয় দীাগুরু আমাদের সনাতন ধর্মে দীতি করেন। দীতি ছাড়া কোন মানুষ আমাদের সনাতন ধর্মের উত্তরাধীকারী হতে পারবে না। দীতি ব্যক্তি যোগ্য উত্তরাধীকারী। অদীতি ব্যক্তি অযোগ্য উত্তরাধীকারী বলে বিবেচিত হবেন। কারণ অদীীত ব্যক্তি সনাতন ধর্মের পুজা পার্বন থেকে নিষিদ্ধ। তার হাতে কোন কিছু গ্রহন করা ঠিক নয়। সে অপবিত্র। দীতি ব্যক্তি সনাতন ধর্মের নিবেদীত প্রাণ বা বীজ। তবে ভাল ফলের জন্যে ভাল বীজের প্রয়োজন। তবে বিষ বৃ নয়। এ প্রসঙ্গে শ্রী শ্রী ঠাকুর বলেছেনÑ
ক্স সিদ্ধ নয় মন্ত্র দেয়, নিজে ও মরে, অপরকে ও মারে।
ক্স শুধু দীা নিলেই বা দীা দিতে চাইলে দীা দিয়া যায় না।
ক্স দীা দিতে হলে মন্ত্রে সিদ্দ হতে হবে।
কিন্তু আমাদের সমাজে অনেকে মনে করে বৃদ্ধ হলে দীা নেওয়া ভাল। এটা আমাদের ভূল ধারণা। সারা জীবন কোন ধর্ম করলাম না, এখন বয়স হয়েছে বলে মুখে হরির নাম। গয়া কাশী তীর্থ ভ্রমন, মাথায় অর্থাৎ কপালে চন্দনের টিকা। উদাহরণ স্বরুপ একজন ছাত্র যদি সারা বছর পড়ে না, অথচ পরীার আগের দিন একটানা ২৪ঘন্টা পড়লে সে কি পাশ করতে পারবে? কখনো না। আসুন সবাই মিলে সমাজকে দেশকে কুসংস্কার মুক্ত করি। ঝাড়-ফুক-তাবিজ-কবজে বিশ্বাসী সমাজ এখনো অন্ধ বিশ্বাসে ডুবে রয়েছে। এভাবে আর কত দিন...........। সংবৃদ্ধি, সতীকরণ, কুসংস্কার দেশ ও সমাজের জন্য তিকর। বাচতে হলে জানতে হবে ধর্ম কি। খবঃং পড়সব মড় সবাই শরীক হয়ে হিন্দুধর্মের সেই প্রাচীর সত্যকে ফিরিয়ে আনি। এখনই সময় যে কোন কৌশল অবলম্বন করে, ঘরে আলোর দূর্গ গড়ে তুলি। কারণ এবারের সংগ্রাম মানব মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম ধর্ম রার সংগ্রাম, নিরপেতার সংগ্রাম, অন্যায়ের বিরোদ্ধে সংগ্রাম। যাত্রাপথে আমাদের শ্লোগান, ভালবাসা দিয়ে ধর্মত্ব করবো জয়। আমাদের নথী সারথী স্বয়ং ভগবান। আর এই সংগ্রামের মহানায়ক ও তিনি। যতই আসুক বাধাবিঘœ এগিয়ে মোরা যাবো। বর্তমান বিশ্ব এগিয়ে চলেছে। বিজ্ঞান ও আজ থেমে নেই। থেমে নেই এ প্রজন্মের তরুন যুব সমাজ। ওরা আলোর পথের অভিযাত্রী। ওরা নির্ভিক, ওরা দুরন্ত পথিক। ওরা জানে ধর্মের জয়, অধর্মের পরাজয়। দাঁড়াও পথিক....। সূর্যোদয়ে তোমাদের যাত্রা শুরু। হে অরুন পথের তরুন দল আমি তোমাদের সাথীম যাকে তোমরা চেয়েছিলে সেই দূর্বার সৈনিক আমি, ধর্ম যাত্রায় আমাকে সঙ্গে নিও।
0 comments:
Post a Comment