শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ১৪০৭ শতাব্দে ফাল্গুনী পূর্ণিমার সন্ধ্যা বেলায় সিংহ লজো সিংহরাশিতে চন্দ্রগ্রহণের সময় শচী দেবী ও জগন্নাথ মিশ্রের পূত্ররুপে আবির্ভূত হন। চৈতন্য মহাপ্রভু ভবিষ্যৎ বানী করেছিলেন।
পৃথিবীতে আছে যত নগরাদি গ্রাম
সর্বত্র প্রচার হইবে মোর নাম।
শ্রীল অভয়চরনার বৃন্দ ভক্তিবেদান্তস্বামী ১৯৭১/১৯৭২ সালে সোভিয়েতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রফেসর কটভক্তির আমন্ত্রনে। সেই সময় তিনি কিছুদিন সোভিয়েত রাশিয়ার কৃষ্ণ ভাবনামৃত প্রচার করেছিলেন। ভারতে ফিরে আসার পূর্ব মুহুর্তে একজন রাশিয়ানকে কৃষ্ণমন্ত্রে দীতি করেছিলেন। এই ভাবে তিনি রাশিয়াতে কৃষ্ণপ্রেমেরবীজ বপন করেছিলেন।চৈতন্য মহাপ্রভুর ভবিষ্যৎ বানী আজ পরিপূর্ণ রূপে সার্থক হল। এতদিন বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি কৃষ্ণ ভাবনা মৃত গ্রহন করলে ও তা প্রকাশ্যে গ্রহ ও প্রচার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু শ্রীল প্রভূপাদের সেই বীজ আজ অঙ্কুরিত হয়ে শাখা প্রসাখ্য ্ও ফলে মূলে বিস্তার লাভ করেছেন। এখন সেভিরেত রাশিয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় রাস্তা ঘাটে সবর্ত্র প্রকাশ্যে দলে দলে হাজার লোক হরিনাম করছে। সাম্যবাদীর দেশ এই সেবিরেত রাশিয়া তবে কেন হরিনাম করছে। শুধু কি । অন্ধ বিশ্বসে তারা আজ হরিনাম করছে না। হরিনাম কীর্তন করলে এক দিব্য আনন্দের আন্বাদন লাভ করা যায়। তাতে আতœ প্রসন্ন হয়। তাই সেবিরেত দেশ রাশিয়াও আজ উচ্চস্বরে হরিনাম করছে।
যিনি হরিনাম করবেন, তিনিই তা উপলব্দি করতে পারিবেন। এই দিব্য আনন্দ লাভ করার জন্য কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না। শুধু প্রয়োজন বিশ্বাসের সাথে হরিনাম করা-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
আতœ প্রসন্ন না হলে, তথাকথিত ইন্দ্রিয়লব্দ সূর্যের দ্বারা এই জগতে কোন মানুষ প্রকৃত শান্তি লাভ করিতে পারবে না।
সেই সম্বন্ধে শ্রীমদ্ভাগবতে (১/২/৬) প্রতিপন্ন হয়েছেÑ
বৈ পুংসাৎ পবো ধর্মে যত ভক্তির টোজে
অহৈতুক্য প্রতিহতা যয়াতœা সুপ্রসিদতি।
সমস্ত মানুষের পরম ধর্ম হচ্ছে সেই ধর্ম যার দ্বারা ইন্দ্রিয়জাত জ্ঞানের অতিত শ্রীকৃষ্ণে অহৈতুকি ও অপ্রতিহতা ভক্তি লাভ করা যায়। সেই ভক্তি বলে অনর্থ নিবৃত্ত হরে আতœা যথার্থ প্রসন্নতা লাভ করে। অনাদি কাল ধরে এই জড় জগতে স্বত্ব , রজ ও তমÑমায়ার এই তিনটি গুনের সঙ্গঁ কলে আমাদের হৃদয় কলুষিত। এই কলুষিত হৃদয়কে সার্জন করা প্রয়োজন। শ্রীচৈতন্য মহা প্রভু শিাষ্টকের প্রথম শ্লোকে উল্লেখ করেছেন, চেতোদর্পন মার্জনম্Ñচিত্তরুপ দর্পনকে মার্জন কর, আর সকলের শেষে বলেছেন, বিজয়তে শ্রীকুষ্ণ সংকীর্তনম্ শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্তন বিশেষ রুপে জয়যুক্ত হোক। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করে কলুষিত হৃদয়কে সার্জনের কথা বলেছেন। কলির কলুষতা থেকে মুক্ত হবার জন্য বৃহন্নারদীয় পুরানে প্রতিপন্ন হয়েছেÑ
হরে নাম হরে নাম হরেনামৈব কেবলম।
কলৌ নাস্তোব্য নাস্তেব গতিরন্যতা।
হরিনাম হরিনাম কেবলমাত্র হরিনাম। কলিযুগে অন্যকোন খতি নেই, অন্য কোন খতি নেই, অন্যকোন খতি নেই। তিনবার হরিনাম শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ চিত্তরুপ দর্পনকে কর্জন করে চিন্ময় স্বরুপে অধিষ্ঠিত হতে পেলে এই কলিযুগে হরিনাম কীর্তন করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন বিকল্প সেই। “নাস্ত্যেব” শব্দটির অর্থ হচ্ছে অন্য কোন উপায়ে নয়” এই নাস্ত্যেব শব্দটি তিনবার ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হচ্ছেÑকর্ম জ্ঞান ও যোগ-এই তিন পন্থার মাধ্যমেও আমরা আমাদের পরমসিদ্বি লাভ করতে পারব না। একমাত্র হরিনাম কীর্তন বা ভক্তিযোগের মাধ্যমে আমরা কুলুষিত হৃদয়কে মার্জিত করে পরম দিব্য স্তরে অধিষ্টিত হতে পারি। এই প্রসঙ্গে কলিসন্ডরন উপনিষদে বলা হয়েছেÑ
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
ইতিষোড়শকং নাম্মাং কলিকল্মষনাশনম ॥
নাতঃ পরতরো পায়ঃ সর্ব রেদেষু দৃশ্যতে ॥
হরে কৃষ্ণ প্রভৃতি ষোল নাম কলির কলুষ না শকারী। এর থেকে শ্রেষ্ট উপায় সমস্ত বেদের মধ্যে দৃষ্ট হয় না।
কলিযুগের যুগধর্ম হচ্ছে হরিনাম কীর্তন এবং তা সমস্ত বেদিক শাস্ত্রেই ধীকৃত হয়েছে। সত্য যুগে ৫০/৬০ হাজার বছর ধ্যান করে যে ফল লাভ করা যায় কলিযুগে শুধু মাত্র হরিনাম সংকীর্তনে সেই একই ফল লাভ হয়। সুতরাং সমগ্র জগতের সকল দেশের সকল শ্রেণীর লোকের একমাত্র পরম ধর্ম হচ্ছে হরিনাম সংকীর্তন যজ্ঞে অংশ গ্রহন করা। হরিনাম কীর্তন শুধুন ভগবৎবাসীদের জন্য নয়। বিশ্বের সকলের জন্য। যে হরিনাম কীর্তন করবে, তারই আতœা শুদ্ধ ও প্রসন্ন হবে। হরিনাম সংকীর্তন কোন মশ্র দারিক ধর্ম নয়, তা হচ্ছে যুগধর্ম বিশ্ববাসী সকলের ধর্ম। তা যদি না হবে, বিশ্বের সমস্ত দেশের লোকেরা হরিনামে মেতে উঠবে কেন? রতেœশ্বর কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মাচারী, অধ্য, রঙ্গিরকুল বিদ্যাশ্রম।
পৃথিবীতে আছে যত নগরাদি গ্রাম
সর্বত্র প্রচার হইবে মোর নাম।
শ্রীল অভয়চরনার বৃন্দ ভক্তিবেদান্তস্বামী ১৯৭১/১৯৭২ সালে সোভিয়েতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রফেসর কটভক্তির আমন্ত্রনে। সেই সময় তিনি কিছুদিন সোভিয়েত রাশিয়ার কৃষ্ণ ভাবনামৃত প্রচার করেছিলেন। ভারতে ফিরে আসার পূর্ব মুহুর্তে একজন রাশিয়ানকে কৃষ্ণমন্ত্রে দীতি করেছিলেন। এই ভাবে তিনি রাশিয়াতে কৃষ্ণপ্রেমেরবীজ বপন করেছিলেন।চৈতন্য মহাপ্রভুর ভবিষ্যৎ বানী আজ পরিপূর্ণ রূপে সার্থক হল। এতদিন বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি কৃষ্ণ ভাবনা মৃত গ্রহন করলে ও তা প্রকাশ্যে গ্রহ ও প্রচার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু শ্রীল প্রভূপাদের সেই বীজ আজ অঙ্কুরিত হয়ে শাখা প্রসাখ্য ্ও ফলে মূলে বিস্তার লাভ করেছেন। এখন সেভিরেত রাশিয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় রাস্তা ঘাটে সবর্ত্র প্রকাশ্যে দলে দলে হাজার লোক হরিনাম করছে। সাম্যবাদীর দেশ এই সেবিরেত রাশিয়া তবে কেন হরিনাম করছে। শুধু কি । অন্ধ বিশ্বসে তারা আজ হরিনাম করছে না। হরিনাম কীর্তন করলে এক দিব্য আনন্দের আন্বাদন লাভ করা যায়। তাতে আতœ প্রসন্ন হয়। তাই সেবিরেত দেশ রাশিয়াও আজ উচ্চস্বরে হরিনাম করছে।
যিনি হরিনাম করবেন, তিনিই তা উপলব্দি করতে পারিবেন। এই দিব্য আনন্দ লাভ করার জন্য কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না। শুধু প্রয়োজন বিশ্বাসের সাথে হরিনাম করা-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
আতœ প্রসন্ন না হলে, তথাকথিত ইন্দ্রিয়লব্দ সূর্যের দ্বারা এই জগতে কোন মানুষ প্রকৃত শান্তি লাভ করিতে পারবে না।
সেই সম্বন্ধে শ্রীমদ্ভাগবতে (১/২/৬) প্রতিপন্ন হয়েছেÑ
বৈ পুংসাৎ পবো ধর্মে যত ভক্তির টোজে
অহৈতুক্য প্রতিহতা যয়াতœা সুপ্রসিদতি।
সমস্ত মানুষের পরম ধর্ম হচ্ছে সেই ধর্ম যার দ্বারা ইন্দ্রিয়জাত জ্ঞানের অতিত শ্রীকৃষ্ণে অহৈতুকি ও অপ্রতিহতা ভক্তি লাভ করা যায়। সেই ভক্তি বলে অনর্থ নিবৃত্ত হরে আতœা যথার্থ প্রসন্নতা লাভ করে। অনাদি কাল ধরে এই জড় জগতে স্বত্ব , রজ ও তমÑমায়ার এই তিনটি গুনের সঙ্গঁ কলে আমাদের হৃদয় কলুষিত। এই কলুষিত হৃদয়কে সার্জন করা প্রয়োজন। শ্রীচৈতন্য মহা প্রভু শিাষ্টকের প্রথম শ্লোকে উল্লেখ করেছেন, চেতোদর্পন মার্জনম্Ñচিত্তরুপ দর্পনকে মার্জন কর, আর সকলের শেষে বলেছেন, বিজয়তে শ্রীকুষ্ণ সংকীর্তনম্ শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্তন বিশেষ রুপে জয়যুক্ত হোক। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করে কলুষিত হৃদয়কে সার্জনের কথা বলেছেন। কলির কলুষতা থেকে মুক্ত হবার জন্য বৃহন্নারদীয় পুরানে প্রতিপন্ন হয়েছেÑ
হরে নাম হরে নাম হরেনামৈব কেবলম।
কলৌ নাস্তোব্য নাস্তেব গতিরন্যতা।
হরিনাম হরিনাম কেবলমাত্র হরিনাম। কলিযুগে অন্যকোন খতি নেই, অন্য কোন খতি নেই, অন্যকোন খতি নেই। তিনবার হরিনাম শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ চিত্তরুপ দর্পনকে কর্জন করে চিন্ময় স্বরুপে অধিষ্ঠিত হতে পেলে এই কলিযুগে হরিনাম কীর্তন করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন বিকল্প সেই। “নাস্ত্যেব” শব্দটির অর্থ হচ্ছে অন্য কোন উপায়ে নয়” এই নাস্ত্যেব শব্দটি তিনবার ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হচ্ছেÑকর্ম জ্ঞান ও যোগ-এই তিন পন্থার মাধ্যমেও আমরা আমাদের পরমসিদ্বি লাভ করতে পারব না। একমাত্র হরিনাম কীর্তন বা ভক্তিযোগের মাধ্যমে আমরা কুলুষিত হৃদয়কে মার্জিত করে পরম দিব্য স্তরে অধিষ্টিত হতে পারি। এই প্রসঙ্গে কলিসন্ডরন উপনিষদে বলা হয়েছেÑ
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
ইতিষোড়শকং নাম্মাং কলিকল্মষনাশনম ॥
নাতঃ পরতরো পায়ঃ সর্ব রেদেষু দৃশ্যতে ॥
হরে কৃষ্ণ প্রভৃতি ষোল নাম কলির কলুষ না শকারী। এর থেকে শ্রেষ্ট উপায় সমস্ত বেদের মধ্যে দৃষ্ট হয় না।
কলিযুগের যুগধর্ম হচ্ছে হরিনাম কীর্তন এবং তা সমস্ত বেদিক শাস্ত্রেই ধীকৃত হয়েছে। সত্য যুগে ৫০/৬০ হাজার বছর ধ্যান করে যে ফল লাভ করা যায় কলিযুগে শুধু মাত্র হরিনাম সংকীর্তনে সেই একই ফল লাভ হয়। সুতরাং সমগ্র জগতের সকল দেশের সকল শ্রেণীর লোকের একমাত্র পরম ধর্ম হচ্ছে হরিনাম সংকীর্তন যজ্ঞে অংশ গ্রহন করা। হরিনাম কীর্তন শুধুন ভগবৎবাসীদের জন্য নয়। বিশ্বের সকলের জন্য। যে হরিনাম কীর্তন করবে, তারই আতœা শুদ্ধ ও প্রসন্ন হবে। হরিনাম সংকীর্তন কোন মশ্র দারিক ধর্ম নয়, তা হচ্ছে যুগধর্ম বিশ্ববাসী সকলের ধর্ম। তা যদি না হবে, বিশ্বের সমস্ত দেশের লোকেরা হরিনামে মেতে উঠবে কেন? রতেœশ্বর কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মাচারী, অধ্য, রঙ্গিরকুল বিদ্যাশ্রম।
0 comments:
Post a Comment